বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প // পর্ব-২
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
স্কুল জীবনে অনেক স্মৃতিময় গল্প রয়েছে। সেই স্মৃতিময় গল্পগুলো এখন ভাবতে খুবই ভালো লাগে। আসলে স্কুল জীবনের মত এত আনন্দময় মুহূর্ত আর কখনো পায়নি। স্কুল জীবনের সকল আনন্দ এবং মুহূর্তটা অনেক ভাল লেগেছে। বন্ধুরা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ছিলাম স্কুল জীবনে পিকনিকে যাওয়ার অনুভূতির গল্প। আসলে আমাদের স্কুল থেকে নবম ও দশম শ্রেণী ছাত্র ছাত্রীদের ছাড়া পিকনিকে নেওয়া হয় না। আর এই পিকনিকে যাওয়ার অনুভূতি ছিল ক্লাস সিক্সে থেকেই। তো বন্ধুদের সাথে এবং স্যারদের সাথে পিকনিকে যাবার সেই মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের ছিল। আজকে তাই আপনাদের সাথে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আশাকরি দ্বিতীয় পর্বে আপনাদের ভালো লাগবে।
পিকনিকে যাওয়ার অনুভূতি সত্যি অসাধারণ ছিল। বাসের ভিতর অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। প্রায় তিন ঘন্টা যাত্রা ভ্রমণ ছিল, আর এই তিন ঘন্টা বাসের ভিতর স্যার ও বন্ধুদের সাথে নিয়ে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করলাম। প্রায় তিন ঘন্টা ভ্রমনের পরে যখন আমরা রাজবাড়ীতে প্রবেশ করলাম। তখন বাস থেকে নেমে আমরা নাটোর রাজবাড়িতে ঢুকলাম এবং সেখানে অনেক সুন্দর একটি তাবু টানানো হয়েছে, আমাদের জন্য। আমরা অনেক স্টুডেন্ট ছিলাম। যার কারণে এই ব্যবস্থা করেছে।এবং সেখানে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের সবাইকে সেখানে নিয়ে গেলো।এবং আমাদের বললো সবাই একসাথে ভ্রমণ করব। এখানে নতুন জায়গা। আর নাটোরের রাজবাড়ি অনেক পুরোনো জায়গা।যার কারণে একা ভ্রমণ করা যাবে না। তোমরা ৩/৪জন বন্ধু মিলে একটা দল বেঁধে ভ্রমণ করব। তখন স্যার বলল যে ১ঘন্টা ভ্রমণ করবা।তারপর পরে আমরা খাবার খাব। খাবার খাবার পরে আবারো ভ্রমণ করব। তাই বন্ধুদের সাথে নিয়ে আমরা পাঁচজন দল বেঁধে রাজবাড়ীর সুন্দর দৃশ্য দেখার জন্য বের হলাম।
আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে নাটোরের রাজবাড়ি এই সুন্দর দৃশ্য দেখার জন্য বের হয়েছি। সত্যিই নাটোরের রাজবাড়ি এত সুন্দর একটি জায়গা। দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আর এই রাজবাড়ী রাস্তার পাশ দিয়ে নারিকেল গাছের সারি বেঁধে দৃশ্য। এই দৃশ্য গুলো দেখে আমি খুবই মুগ্ধ হলাম। সত্যিই এত সুন্দর পরিবেশে সামনে বিশাল বড় একটি পুকুর রয়েছে। আর এই পুকুরে অনেক সুন্দর সুন্দর মাছ চাষ করা হয়েছে। পুকুরের পাশে গিয়ে আমরা বসলাম এবং সেখানে মাছকে খাবার দিলাম। মাছগুলো এসে যেন খাবার খাচ্ছিল। সেই মুহূর্তটা ছিল অসাধারণ ছিলো।আমার খুবই ভালো লাগছিল। এই মাছের সাথে সময় পার করলাম।তার পরে সেখান থেকে আমরা রাজবারির রাজমহলের ভিতরে প্রবেশ করলাম। রাজমহলের অপরূপ সুন্দর দৃশ্য দেখলাম।এত সুন্দর ভাবে এটি তৈরি করা হয়েছে। সত্যি দেখে খুবই ভালো লাগলো।
রাজমহলের ভিতরের সৌন্দর্যময় দৃশ্য গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। এখানে রাজা-বাদশারা বসবাস করত। আর তারা যেন খুবই সৌখিন ছিল। আসলে রাজা-বাদশারা সৌখিনভাবে তাদের জীবন পার করত। তারা যেন সৌন্দর্যময় ঘেরা এই রাজমহলটি তৈরি করেছে। তাজমহলের সামনে দেখতে পেলাম ঘোড়ার গাড়ি। ঘোড়ার গাড়ি করে ভ্রমণ করতে হবে। আসলে রাজমহল অনেক বড় ছিল। আর এত বড় মহলটি হেঁটে ভ্রমণ করে অনেক সময় লাগবে। তাই আমরা একটি ঘোড়ার গাড়িতে করে ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আর এই গাড়িতে ভ্রমণের জন্য আমাদের৫০ টাকা করে নিল এবং আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে ঘোড়ার গাড়িতে উঠলাম এবং রাজমহলের সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখতে লাগলাম।সত্যিই ঘোড়ার গাড়িতে করে ভ্রমণের সেই মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল।
ঘোড়ার গাড়ি করে রাজমহলের সুন্দর দৃশ্য দেখতে লাগলাম এবং পুরনো স্মৃতিময় স্থানগুলো ভ্রমণ করলাম। রাজা-বাদশারা এখানে কিভাবে তাদের রাজ্য পরিচালনা করত, কারাগার কোথায় রেখেছে এবং কারাগারে অপরাধীদের ধরে রাখতো সেই দৃশ্যগুলো সত্যি দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাদের রাজ্য পরিচালনা করার সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেলো। ভ্রমণের মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। তারপরে আমরা এক ঘন্টায় ভ্রমণ করার পরে আবারও আমাদের ক্যাম্পে চলে আসলাম এবং সকল বন্ধুরা এক জায়গায় হয়ে খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। আমাদের খাবার দিয়েছিলো এবং খাবারের মান অনেক ভাল ছিল। এই রাজমহলের পাশের মানুষ গুলো খাবার তৈরি করেছে। তাদের হাতের খাবার খুবই সুস্বাদু ছিলো।সকল বন্ধুরা এবং স্যাররা এক সাথে খাবার খেলাম, সত্যি সেই মুহূর্তটা খুবই ভালো লেগেছিলো।
গল্পটি চলমান
প্রথম পর্ব https://steemit.com/hive-129948/@rayhan111/6pn5qv
স্কুলের স্মৃতিগুলো কখনো ভোলা যায় না।তাছাড়া বন্ধুরা মিলে পিকনিকে যাওয়ার মজাই আলাদা।নাটোরের কাঁচাগোল্লার নাম খুব শুনেছি।নিশ্চয়ই দারুণ সময় পার করেছিলেন, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আসলে আমাদের সবার জীবনেই কিছু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে স্কুল জীবন নিয়ে। স্কুল জীবনের সেই আনন্দময় স্মৃতিগুলো কখনো ভোলার নয়। সত্যি স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো সারাজীবন মনে থেকে যায়। বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাওয়ার স্মৃতিময়ী গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম আজকে দ্বিতীয় পর্ব পড়ে ভালো লেগেছে ভীষণ। খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। গানের বিজয়ী কে হয়েছিল এবং কি পুরস্কার ছিল তা পরবর্তী পর্বে দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
পিকনিকে যাওয়ার সময় বাসেই বেশি মজা হয়।সব ফ্রেন্ড স্যার সবাই মিলে উপভোগ করা যায় মুহূর্ত গুলো।আপনাদের পিকনিক স্পট রাজমহলে হওয়ার জন্য বেশি মজা হয়েছিল বুঝলাম।স্কুলের পিকনিকে সত্যি অনেক আনন্দ হয়।আমরাও খুব মজা করেছিলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বন্ধুদের সাথে পিকনিকে গিয়ে খুবই মজা করেছিলেন আপনারা আপনার পোস্টটি দেখেই আমি বুঝতে পেরেছি এই পোস্টের প্রথম পর্ব ও আমি পড়েছিলাম। আপনার স্যারেরা বলেছিল গান গাওয়ার জন্য এবং যার গান বেশি সুন্দর হবে তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে। ফলাফল প্রকাশের বিষয়টা আপনি পরবর্তী পর্বে শেয়ার করবেন জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে, আমার পোস্টে এত চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
নাটোরের রাজবাড়ি আমিও গিয়েছিলাম। যেদিন আমি এই রাজবাড়ী দেখতে গিয়েছিলাম, সেদিন এই রাজবাড়ী দেখামাত্রই আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। যাইহোক ভাই, স্কুল জীবনে বন্ধুদের নিয়ে পিকনিক করার মজাই আলাদা। তাই আপনার বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনার স্মৃতিময় গল্পটুকু শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
বাহ স্কুল জীবনে বন্ধুদের সাথে পিকনিকে তাও আবার নাটোরের রাজবাড়ি। যদিও আমার আপনার এই পোষ্টের প্রথম পর্বটি পড়া হয়নি। তবে দ্বিতীয় পর্ব পড়ে বুঝলাম আপনারা বেশ মজা করেছেন। গানের প্রতিযোগিতার বিষয়টা কিন্তু বেশ ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আনন্দ মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করেছেন, সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ