গরিবের প্রতি কেন এত অবহেলা
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আমাদের সমাজে ধনী গরিব নিয়ে বসবাস। আসলে ধনী-গরীবের মধ্যে যদি পার্থক্য না থাকতো তাহলে সমাজে অন্যরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হতো। গরিবরা আছে বলেই ধনীদের এত দাম। আর যদি সবাই ধনী হতো তাহলে ধনীদের কোন দামই থাকত না। তাই সমাজে ধনীদের দাম হল এই গরিবদের নিয়ে, কিন্তু এই গরিবেরা সবসময় অবহেলিত তাদের যেন কোনো সম্মান নেই। তাদের যেন কোন শ্রদ্ধা করা হয় না। কিন্তু কেন, তারা কি মানুষ নয়। তাদের অর্থ সম্পদ নেই বললে তারা সম্মান পায় না, তারা মর্যাদা পায় না। অর্থ সম্পাদে কি সকল মর্যাদা এবং সম্মানের মূল। আসলে মানুষের ব্যক্তিত্ব অনেক কিছু নির্ভর করে এই সম্মানের উপরে। কিন্তু আমরা সমাজের মানুষ যার টাকা পয়সা রয়েছে তাকে সম্মান দিয়ে থাকি। তাকেই শ্রদ্ধা করে থাকি। আর এই গরীবদের প্রতিনিয়ত আমরা অবহেলা করে যায়।
আমাদের এই সমাজে গরিবরা আর কতটা অবহেলিত তাতে কতটা অবহেলা করা হয়, এই বিষয়ে আজকে আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আসলে এটি বাস্তব ঘটনা আর এই ঘটনাটি তিন-চার দিন আগেই আমার সামনেই ঘটে গেছে, আসলে এই ঘটনাটি দেখার পর আমি অবাক হয়ে গেছি।আসলে আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে। যাদের মনুষ্যত্ব বোধ নেই, তারা নিজেদেরকে অনেক বড় মনে করে এবং অন্যদেরকে খুব ছোট মনে করে। যারা এই সকল মন মানসিকতা নিয়ে সমাজে বসবাস করে। তারা কখনোই সম্মান পাওয়ার যোগ্য নয়, হয়তো তার টাকা পয়সা ধন সম্পদ রয়েছে। যার কারণে সে সম্মানী ব্যক্তি। কিন্তু আসলেই কি তারা সম্মানী ব্যক্তি। তাদের এই ব্যবহারে তো কখনোই মনে হয় না। যাইহোক আমাদের সমাজে গরিবদের বেশিরভাগই অবহেলা করা হয়। তাদের এই অর্থ সম্পদ না থাকার কারণে। যদি তারাও অর্থ সম্পদ অধিকারী হতো, তাহলে তাদেরকে তার সম্মান দেওয়া হতো।
মাহে রমজান মাসের রহমতে বরকতের মাস, এই মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় সকলেই একটু স্বাভাবিক ভালো ব্যবহার এবং সুন্দর ভাবে চলাচল করে। এই মাসে অনেক ধরনের খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা হয়। যার কারণে এই মাসে সকলকে সম্মান করা হয়। অনেক বড় বড় ব্যক্তি রয়েছে তারাও এই মাসে গরিব দুঃখীদের সাথে ভালো ব্যবহার করে এবং তাদের সম্মান করে। আর এই মাসটা যেন রহমতের মাস। যার কারণে এই মাসে সকলেই খুবই ভালোভাবে ব্যবহার করে সবার সাথে। তাই সবার সাথে মিলেমিশে চলাফেরা করে। কিন্তু আমি যখন তিন চারদিন আগে বাজারে গিয়েছিলাম,দেখলাম এক রিক্সা চালক তার রিকশাতে একজন ধনী ব্যক্তিকে নিয়ে বাজারে ভিতরে আসলো। সেই ধনী ব্যক্তি বাজার করবে। কিন্তু বাজার করার জন্য সে অনেক টাকা পয়সা নিয়ে এসেছে। সে অনেক বাজার করবে, তার পোষাক দেখে অনেক বড় ধরী ব্যক্তি মনে হলো।
পোশাক দেখে কি সকল ব্যক্তির মনুষ্যত্ব বোঝা যায় এবং তার ব্যবহার বোঝা যায়,বোঝা যায় না। আর সে যে রিক্সায় করে নিয়ে এসেছে, তার বাসা থেকে সেখান থেকে রিক্সা ভাড়া মিটে আসেনি। বাজারে এসে রিকশাচালুকে ২০ টাকা দিচ্ছে, কিন্তু য চালক বলছে তার ভাড়া ৪০ টাকাম হয়তো ঈদের কারণে সে ১০ টাকা বেশি চেয়েছে, কিন্তু তার মূলত ভাড়া 30 টাকা। তখন রিক্সা চালক বলছে আচ্ছা ঠিক আছে আপনি আমাকে ৩০ টাকায় দিন। কিন্তু সেই ধনী ব্যক্তি বলছে তোকে আমি ২০ টাকার এক টাকা বেশি দিব না। তখন রিক্সা চালক বলল যে আমি ৩০ টাকা কম নেব না। ঠিক তখন ধনী ব্যক্তি মুখ খারাপ করতে লাগলো। তার মুখের ভাষা ছিল খুবই বাজে। যে বড়লোক হতে পারে ধনী হতে পারে কিন্তু তার ভাষা এতটাই খারাপ সকলে ছিলো সে যেন সমাজের একজন নিম্ন শ্রেণীর মানুষ । তখন সেখানে অনেক মানুষ আসলো,আমিও আসলাম। তারপরে রিক্সা চালক বলছে দেখেন আমি রোজাদার আপনি আমাকে এভাবে মুখ করতে পারেন না।
আপনি অনেক ধনী ব্যক্তি কিন্তু আপনের ব্যবহার দেখে ধনী মনে হচ্ছে না। আপনি মাত্র ৩০ টাকার জন্য এভাবে আমাকে মুখ খারাপ করছেন। তখন বলছেন যে তোর আসলে ফকিরের জাত, টাকা দেখলেই লোভ সামলাতে পারস না। যার কারণে টাকা দেখলেই বাড়িয়ে চাস। তখনই যেন সেই গরিব লোকটি বলল যে আপনার টাকা লাগবে না, আপনাকে আমি ফ্রি নিয়ে এসেছি। আমার এই ভাড়ার টাকা আমি আল্লাহর নামে দান করে দিয়েছি। এই কথা শুনে ধনী লোকটি বলছে তুই আমাকে দান করার কে ফকিরের বাচ্চা। এই বলে রিক্সা চালকের গালের একটা চড় মেরে দিল। আসলে রোজাধার ব্যক্তি এভাবে চড় মারার দৃশ্যটি দেখে আমার খুবই খারাপ লাগলো। সেখানকার আশেপাশের লোকজন তখন সেই ধনী ব্যক্তিকে বলল আপনি তো মানুষই না মিয়া।আপনার ব্যবহার এত খারাপ, আপনি তো অনেক নিম্ন শ্রেণীর লোক। আপনার বাবা-মা হয়তো গরিব ছিল। আপনি হঠাৎ করে বড়লোক হয়ে গেছেন। যার কারণে আপনার এই এত টাকার অহংকার বেড়েছে। আসলে সমাজে এই লোকগুলোই বেশি অহংকারী হয়। যারা হঠাৎ করে বড়লোক হয়ে যায়। আর হঠাৎ করে বড়লোক হওয়ার কারণেই তাদের ভিতরে যেন এই অহংকার বেশি থাকে।
https://twitter.com/rayhan111s/status/1773263480373629062?t=1tsJtNs5WF3stYlVSH_97Q&s=19
ভাইয়া আপনার পোস্ট এর এই অংশটুকু পড়ার পর আমি বেশ কিছুক্ষণের জন্য নিরব হয়েছিলাম। আসলে একজন মানুষ কি করে এরকম ব্যবহার করতে পারেন সামান্য একজন রিক্সা চালকের সাথে। তার থেকেও সব থেকে বেশি খারাপ লেগেছে আমার কাছে যে একজন রোজাদারের গায়ে হাত উঠাতে। একদম অন্তরের অন্তস্থল থেকে সেই ধনী লোকের প্রতি আমি ঘৃণা নিক্ষেপ করছি। যাইহোক ভাইয়া আপনি দারুন একটি গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলেই টাকা পয়সা হলেই যে মনুষ্যত্ব ঠিক হবে তা না। কিছু ধনী লোকের মধ্যেও অমানুষিকতা বিরাজমান করে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপডেট একটি খবর আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই আসলে আমাদের সমাজে ধনী গরিব মিলেই সকলের বসবাস। আসলে আমাদের সমাজে যদি গরিব মানুষ না থাকতো তাহলে ধনী মানুষের কোন দাম থাকতো না। তবে আমাদের সমাজের মানুষ গরিবদের সম্মান দিতে জানে না। আমি মনে করি এখনকার শিক্ষিত যুবসমাজ গরিবদের সম্মান দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপনি একটা কথা ঠিক বলেছেন গরিবেরা আছে বলেই হয়তো ধনীদের এত দাম। যাই হোক আপনার পুরো ঘটনাটা শুনে যতটুকু বুঝতে পারলাম প্রথমে রিক্সাচালক ওই ধনী ব্যক্তির কাছে ১০ টাকা বেশি আবদার করেছিল। কিন্তু ঐই ধনী ব্যক্তি টা উল্টো রিক্সা চালককে দশ টাকা কম দিতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু এতে রিক্সাওয়ালা তার কথায় রাজি হচ্ছিল না। আর যার কারণে ওই ধনী ব্যক্তিটা অনেক খারাপ ব্যবহার করে যেটা মোটেও কাম্য নয়। আর এই নিয়ে অনেক কথা কাটাকাটি হয়ে আর একপর্যায়ে রিক্সাওয়ালা ভাড়া নিতে না চাইলে তখন ধনী লোকটা তাকে চড় মেরে দেয়। সত্যি এটা জেনে খারাপ লাগলো কারণ তোমার ক্ষমতা আছে বলেই কি তুমি যার তার গায়ে হাত তুলে দিবা। এই ক্ষমতা তো আজ আছে কিন্তু কাল না থাকতে পারে। রিক্সাওয়ালা প্রথমে যদিও বা ভুল করেছেন কারণ তিনি দশ টাকা ভাড়া বেশি চেয়েছে। তবে তিনি যদি ওনাকে বলে বোনাস হিসেবে চেয়ে থাকেন তাহলে সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু আমি যদি আসল ভাড়াটা জানি তাহলে শুধু শুধু এত বাড়াবাড়ি না করে বোনাসের ভাড়া টা বাদ দিয়ে তার আসল ভাড়াটা দিয়ে চলে গেলে তো আর এত ঝামেলা হতো না। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গরিবরা আছে বলে ধনীদের এত দাম। ধনীরা সবসময় গরিবদের খাটিয়ে নেয়। ঠিক মত পারিশ্রমিক দেয় না। একটা গরীব ঘরে বড়লোক গেলে তাকে যেভাবে আপ্যায়ন করা হয়, তেমনি একটা বড়লোক ঘরে গরিব গেলে তেমনভাবে আপ্যায়ন করা হয় না। রমজান মাস রহমতের মাস। মানুষ যতই পাপ কাজ করুক না কেন, রমজান মাসে সব কাজ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করে। বর্তমানে পোশাক দেখে আসলেই মনুষত্ব বোঝা যায় না। ভালো মানুষ বুঝতে হলে তার সাথে আগে মিশতে হবে। ১০ টাকার জন্য কত কি না বললো আর কত টাকা কত জায়গায় নষ্ট করে বড়লোকরা। হঠাৎ করে যারা বড়লোক হয় তাদের ভিতরেই অহংকার বেশি দেখা যায়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আমাদের সবসময় গরীবদের সম্মান করতে হবে তাদের কারণে আজকে আমরা ভালো অবস্থানে।
ব্যাপার টা আসলেই খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। আমি বলব ঐ লোকের শিক্ষার অভাব আছে। আমরা তো এমনিতেই কত টাকা কতদিকে দেয়। রিক্সাওয়ালাকে কিছু টাকা বাড়িয়ে দিলে আমি ক্ষতির কিছু দেখি না। কিন্তু ঐ লোকের ব্যবহার খুবই খারাপ। শুধুমাত্র গরীব এবং অসহায় বলেই ঐ লোকের গায়ে হাতটা তুলতে পারল। না হলে কখনোই পারত না।
আসলে ভাই আমাদের সমাজে ধনী ব্যক্তিরা নিজেদেরকে অনেক অহংকারী মনে করে। তবে সব ধনী ব্যক্তি নয় সমাজে কিছু ধনী ব্যক্তি রয়েছে যারা খুব অল্পতেই ধনী হয়ে যায়। তাদের এই মন মানসিকতা এরকম থাকে। তারা গরিবদের দেখতে পারেনা। মাত্র 10 টাকার জন্য রিক্সা চালকের সাথে এত খারাপ ব্যবহার। সে বাজার করতে এসেছে হাজার হাজার টাকার সেখানে কিছুই না। দশ টাকা নিয়ে এত কাহিনী এবং শেষমেষ থাপ্পর মারলো।
আসলে গরিব মানুষদেরকে অনেকে মানুষই মনে করে না এবং তারা এমন একটা ভাব নিয়ে চলে যেন তারাই সব কিছু৷ তারা যা করবে তাই ঠিক৷ আসলে এরকম করা কখনোই ঠিক নয়৷ সে গরিব হলেও সে মানুষের সমান মর্যাদাই পাবে৷ যারা তাদেরকে সে সম্মান দেয় না তারাই আসলে অমানুষ৷ আর এই রিক্সাওয়ালাকে শুধুমাত্র কয়েক টাকা বাড়িয়ে দিলে তাদেরকে কি এমন ক্ষতি হয় যেত। ওই ব্যক্তি যেভাবে রিক্সাওয়ালাকে চড় মারলো তার থেকে বড় কষ্টের বিষয়ে আর কিছুই হতে পারে না। এরকম একটি বিষয় আমি গতকালকে দেখেছিলাম এবং সেটির মধ্যেও এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। আসলে আপনার এই পোস্টটি পড়ে এবং সেই ভিডিওতে দেখে খুব ভালোভাবে এটি বুঝতে পারলাম। এটি দেখে মনের মধ্যে অনেকটাই কষ্ট হচ্ছিল। এরকম খারাপ মানুষও যে হয় তাও দেখে নিলাম৷