আসসালামু আলাইকুম/আদাব🌺
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আমরা কমবেশি সবাই চানাচুর খেতে খুবই পছন্দ করি। বিশেষ করে আমার চানাচুর খুবই প্রিয়। আর আমি চানাচুর দিয়ে মুড়ি বানিয়ে খেতে খুবই পছন্দ করি। বিশেষ করে আমি যখন ম্যাসে দিলাম তখন আমার বন্ধুরা সবাই মাঝেমধ্যে শুক্রবার কিংবা বৃহস্পতিবার এ পার্টি করতাম।সকল বন্ধুরা এক রুমে হয়ে চানাচুর দিয়ে মুড়ি মেখে মজা করে খেয়েছি। আর এই মুহূর্তগুলো সত্যিই অনেক আনন্দের ছিল আর বাজারে চানাচুরের অনেক ভেজাল থাকে যার কারণে এই চানাচুর খেলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমি ভাবলাম বাসায় তৈরি করব এই চানাচুর রেসিপি। আসলে বাসায় স্বাস্থ্যকর ভাবে চানাচুর রেসিপি তৈরি করার ইচ্ছা আমার কয়দিন হলো হচ্ছিল। আজকে তাই স্বাস্থ্যকর বাসায় চানাচুর তৈরি করলাম। আসলে বাসায় স্বাস্থ্যকর ভাবে চানাচুর রেসিপি তৈরি করতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে।তাই আপনাদের সাথে আমার চানাচুর রেসিপি শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি আমার রেসিপি দেখে আপনাদের ভালো লাগবে, তো বন্ধুরা চলুন স্বাস্থ্যকর চানাচুর রেসিপি তৈরি করা শুরু করা যাক,,,।
বাসায় তৈরি স্বাস্থ্যকর মুচমুচে চানাচুর রেসিপি🍿
🥗প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপাদান | পরিমাণ |
১) বেসন- | ১/২ কাপ। |
২)লবণ- | পরিমানমতো। |
৩) হলুদের গুঁড়া | পরিমানমতো। |
৪) পানি | পরিমানমতো। |
৫) বিট লবণ | পরিমানমতো। |
৬)সয়াবিন তেল | ৩০০ গ্রাম। |
৭)কাঁচা বাদাম | ১০০ গ্রাম। |
৮)বরবটি | ১০০ গ্রাম । |
৯)চানাচুরের মসলা | পরিমানমতো। |
১০)মরিচের গুঁড়া- | পরিমানমতো। |
সকল উপকরণ নিয়ে স্বাস্থ্যকর মুচমুচে চানাচুর রেসিপি তৈরি করা শুরু করে দিলাম,যেভাবে তৈরি করেছি আপনাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করছি। |
চানাচুর তৈরি করার জন্য, প্রথমে আমি একটি পাত্রের মধ্যে বেসন, তারপরে মরিচের গুরা, হলুদের গুরা তারপরে চানাচুরের মসলা একটি পাত্রে নিয়ে নিলাম।
চানাচুর তৈরি সকল উপকরণ একটি পাত্রের মধ্যে নেওয়ার পরে, পরিমাণমতো পানি দিয়ে আমি এই উপকরণগুলো গুলিয়ে নিলাম।
তারপরে কড়াইয়ের মধ্যে আমি তেল নিয়ে নিলাম এবং এই আটা গুলো একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে আমি উপর থেকে এই তেলের মধ্যে ছড়িয়ে দিলাম এবং তেলে ভালো করে ভাজতে লাগলাম।
ডুবন্ত তেলের মধ্যে আমি ভাল করে ভেজে ছাকনি দিয়ে তুলে একটি পাত্রে রেখে দিলাম।
চানাচুর এর মধ্যে আমি মটরশুঁটির দিব, তাই মটরশুঁটির গুলো আমি তেলের মধ্যে ভাল করে ভেজে নিলাম।
চানাচুর মধ্যে আমি বাদাম দিবো,সে জন্য কাঁচা বাদাম গুলো আমি তেলের মধ্যে ভাল করে ভেজে নিলাম।
চানাচুর মটরশুঁটি ও কাঁচা বাদাম আমি ভাল করে ভেজে নিয়েছি। এখন এগুলো আমি চানাচুর মসলা দিয়ে মাখিয়ে নেব।
অবশেষে স্বাস্থ্যকর মজাদার চানাচুর রেসিপি তৈরির শেষের ধাপে এসে পৌঁছেছি। শেষের ধাপে এসে পৌঁছাতে পারে আমার খুবই ভালো লাগছে। চানাচুর মটরশুঁটি, কাঁচা বাদাম একসাথে করে মসলা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিলাম।
এভাবেই স্বাস্থ্যকর মজাদার মুচমুচে চানাচুর রেসিপি আমি তৈরী করে নিলাম। আসলে চানাচুর রেসিপি আমি প্রথম তৈরি করলাম। তাই আমার খুবই ভালো লাগছে। আর চানাচুর রেসিপি খেতেও খুবই মজাদার হয়েছিল। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করছি বাসায় তৈরি স্বাস্থ্যকর চানাচুর রেসিপি দেখে আপনাদের ভাল লেগেছে। পরবর্তীতে আরো সুস্বাদু রেসিপি নিয়ে আবার আপনাদের মাঝে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল।🍲🙏🍲।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
ধরণ | বাসায় তৈরি স্বাস্থ্যকর মুচমুচে চানাচুর রেসিপি🍿 |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।
👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
চানাচুর খেতে সবসময় খুব ভালো লাগে। বিকেল বেলা মুড়ি অথবা ছোলা দিয়ে চানাচুর মাখা হলে আর কোন কিছুই প্রয়োজন পড়ে না। চানাচুর কিভাবে বানাতে হয় সেটা আমি জানতাম না। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিতে পারব। অনেক ধন্যবাদ ভাই ইউনিক রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু মুড়ি এবং চানাচুর মাখানো খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমার রেসিপি দেখে আপনি শিখতে পেরেছেন জেনে আমি আনন্দিত।
ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন বাইরের ভেজাল চানাচুর খেলে মাঝে মাঝে সত্যি পেটের সমস্যা হয়।যেকোন খাবার বাসায় স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরি করে খাওয়াটাই ভালো তাতে করে শরীর খারাপ হওয়ার কোন ঝুঁকি থাকেনা। চানাচুর খুবই পছন্দের একটা খাবার। চানাচুর অনেক খাওয়া হয় কিন্তু কিভাবে তৈরি করে এটা জানা ছিল না, আজকে প্রথম দেখলাম চানাচুর বানানোর পদ্ধতি। আপনি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে সকালের প্রিয় চানাচুর রেসিপি টি তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে, আমার রেসিপি দেখে আপনি শিখতে পেরেছেন।আশা করি পরবর্তীতে তৈরি করবেন শেয়ার করবেন।
বিশ্বাস করেন ভাই। আমি ছবি দেখার পর ভেবেছি এটি হয়তো চানাচুর মাখানো। পরে তো পোস্ট পড়ে আমি অবাক। কি সুন্দর ভাবে আপনি চানাচুর বানিয়ে ফেললেন। একটা প্রশ্ন হচ্ছে এগুলো চানাচুর এর আকার এ আসলো কিভাবে।
আসলে ভাইয়া চিকন করার জন্য একটি পাত্রের মজে চানাচুরের গোলা নিয়েছিলাম। আর সেই পাত্র থেকে তেলের ভিতরে ঢেলে দিয়েছি। যার কারণে চিকন হয়ে তেলের ভিতরে চানাচুর তৈরি হয়েছে।
আপনার চানাচুর গুলো দেখে তো আমার খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। এভাবে যে বাসায় চানাচুর তৈরি করা যায় এটা আমার একদমই জানা ছিল না। আজকে প্রথম আপনার কাছে এমন একটি রেসিপি দেখলাম। বাইরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো চানাচুর খাওয়ার চেয়ে এভাবে বাসায় তৈরি করা ভালো। প্রয়োজনীয় উপকরণের মধ্যে আপনি বরবটি লিখেছেন। সে ক্ষেত্রে আপনার হয়তো কিছুটা ভুল হয়েছে। আশা করি ঠিক করে নেবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আমার বাসায় তৈরি স্বাস্থ্যকর চানাচুর রেসিপি দেখে আপনিও শিখে ফেলেছেন। আশা করি পরবর্তীতে তৈরি করে আবার আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
ওয়াও অসাধারণ একটি অনেক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে আমার চোখে জল চলে এসেছে। মুচমুচে চানাচুর কমবেশি আমাদের সবারই অনেক প্রিয় একটি মুখরোচক খাবার।বাসায় তৈরি স্বাস্থ্যকর মুচমুচে চানাচুর রেসিপি। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাইয়া মুচমুচে মজাদার চানাচুর রেসিপি তৈরি করতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার মতামত পেয়ে আরো বেশি ভালো লাগলো।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বাসায় মুচমুচে চানাচুর তৈরি করেছেন। সুন্দরভাবে তৈরি করা পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনার চানাচুরের রেসিপি পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে।আপনি ঠিকই বলেছেন বাজারে চানাচুরে অনেক ভেজাল মিশ্রিত থাকে যার জন্য আমাদের পেটের অসুখ দেখা দেয়। চানাচুর আমার খুব ভালো লাগে। আপনার চানাচুরের আকৃতি গুলো দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করেছেন, সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
আমার বাংলা ব্লগে এই প্রথম চানাচুর বানানোর রেসিপি দেখলাম। ব্যাপারটা সত্যিই অবাক করা ছিল। আমি ভেবেছিলাম মেশিন ছাড়া হয়তো এটা তৈরি করা সম্ভব না। বাড়িতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে এমনভাবে যে তৈরি করা সম্ভব, এই জিনিসটা দেখে এবং শিখে ভীষণ ভালো লাগছে। সত্যি বলতে বাজারের চানাচুর খেলে আমার নিজেরও গ্যাস্ট্রিকের খুব প্রবলেম হয়। আপনার মত আমিও ভার্সিটি লাইফে প্রচুর চানাচুর মুড়ি পার্টি করতাম। এই জিনিসটার মজাই আলাদা। লেখাটা পড়তে পড়তে পুরনো দিনে ফিরে গিয়েছিলাম। যাই হোক,, রেসিপিটা ভীষণই ইউনিক এবং পছন্দ হয়েছে আমার। ঝামেলা খুব একটা নেই এই জিনিসটা বেশি ভালো।
জি ভাইয়া আমার বাংলা ব্লগে চানাচুর রেসিপি এটাই প্রথম ছিল। আর জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনার রেসিপিটা ভালো লেগেছে।আর খুব সহজে এটা চানাচুর রেসিপি তৈরি করা শিখে ফেলেছেন, আসলেই ঝামেলা খুব একটা নেই।