স্মৃতির পাতায় থেকে বন্ধুদের সাথে নিয়ে মেলায় যাওয়ার গল্প //পর্ব-২(শেষ পর্ব)[১০% @shy-fox ]🌹
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
বন্ধুদের সাথে নিয়ে গ্রাম্য মেলাতে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এসেই স্মৃতিময় গল্পটির আজকে শেষের পর্বটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। আসলে বন্ধুদের সাথে স্মৃতিময় দিনটি আমার খুব মনে পড়ছে। গ্রাম্য মেলা আসলে সেই দিনের কথা মনে পড়ে অনেক ভালো লেগে। বন্ধুদের সাথে এই স্মৃতিময় দিনটি অনেক ধন্যবাদ সাথে উপভোগ করেছি। আমরা বন্ধু মিলে ক্লাস থেকে বের হয়ে যায় এবং স্যারের অনুমতি ছাড়া। আমরা স্যারকে অনেক রিকোয়েস্ট করেছিলাম। কিন্তু স্যার আমাদের কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তাই আমরা বন্ধুরা মিলে বের হয়ে যায় এবং আমাদের কিছু বড় ভাইয়ের সাথে আমরা বৈঠক করে মেলাতে যায়। মেলাতে গিয়ে আমরা ৫ কেজি জেলাপি কিনে মাঠে বসে খাচ্ছিলাম। একসাথে আড্ডা দিয়েছি। সেই মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে বাকি অংশটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। তো বন্ধুরা চলুন শেষে পর্বটি পড়া শুরু করা যাক।
আমরা ২০ বন্ধুরা যখন মাঠের মধ্যে গোল হয়ে বসে জেলাপি খাচ্ছিলাম তখন সেই মুহূর্তে অনেক আনন্দের ছিল। সত্যি সকল বন্ধুরা একসাথে কত স্মৃতিময় কথা বলতেছিলাম।যখন জেলাপি খাওয়া শেষ হলে। আমি বললাম চল আমরা এখন মেলার ভিতরে গিয়ে সার্কাস দেখব। আমি আগে কখন সার্কাস দেখি নাই তাই আসার ইচ্ছা হলো যাই হোক আমরা সার্কাস দেখার জন্য মেলার মধ্যে আসলাম এবং সার্কাসের টিকিট কেনার জন্য আসলাম। সেখানে এসে দেখি প্রতি টিকেটের মূল্য ২০ টাকা করে। আমরা কম দিতে চাইলাম।হাসান তখন বলল আমারা সবাই স্টুডেন্ট। আমাদের স্কুলে পাশেই মেলা হচ্ছে।আমাদের থেকে কম নিতে হবে।তখন তারা বললো ঠিক আছে তোমাদের থেকে কম নেওয়া হবে। তোমাদের থেকে দশ টাকা করে নেওয়া হবে। হাসানের সেই কথার কারণে আমার ১০ টাকা করে দিয়েছিলাম। আর বন্ধু সবাই যখন একসাথে সার্কাসের ভিতরে আসলাম। পুরো সার্কাসের দেখার মূহুর্তেটা অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি।
তো আমরা সার্কাস দেখার জন্য সকল বন্ধুরা প্যান্ডেলের ভিতরে ঢুকে গেলাম এবং ওখানে অনেক ধরনের খেলা দেখালো। কিছু কিছু খেলা দেখে আমি অবাক। সত্যি ছোট ছোট বাচ্চারা কি সুন্দর অবাক করা খেলা দেখালো।সার্কাসের বামনবীর তিন জন মানুষ ছিল তারা খেলা দেখালো। অনেক হাসাহাসি করলো। সত্যিই এই সার্কাসের ভিতরে মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের ছিল। যেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। সকল বন্ধুরা মিলে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করতেছিলাম। সার্কাস দেখার সময় একটি বড় হাতি একটি ফুটবল দিয়ে খেলা দেখাচ্ছিল এবং হাতিটি বলটি দশর্কদের দিকে ছুরে মারতে ছিলো। আমার বন্ধুরা অনেক বার বলটি ধরে ছিলো।সময়টা আমরা অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম। আর সেই হাতিটি ছিল বিশাল বড় আর এই হাতির খেলা দেখতে আমাদের অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
তো সকল বন্ধুরা সার্কাস দেখার মুহূর্তে অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করলাম। সত্যি অনেক বেশী ভাল লাগল সময়টা তারপর সার্কাস দেখা শেষ হলো আমরা বের হলাম। বের হওয়ার পরে আমি হাসান, সজিব এবং তিনজন বন্ধু মিলে আমরা নাগরদোলায় উঠলাম। আমি কখনো উঠিনি। এটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম নাগরদোলা ওঠা। আমি জানিনা যে রকম লাগবে। আমরা যখন নাগরদোলায় উঠলাম তখন খুবই ভালো লাগলো যখন ঘুরতে শুরু করলো তখন অনেক বেশি ভয় লাগলো। আমি আমার বন্ধুকে জড়িয়ে ধরেছিলাম এবং নাগরদোলা উপর থেকে যখন নিচে নামতে ছিলাম মনে হচ্ছিল আমার কোনো শক্তি নেই। আমি পরে যাচ্ছি এই মুহুর্তটা আমি অনেক ভয়ে ছিলাম।আমার জীবনের প্রথম নাগরদোলা ওটা ছিল। যার কারণে আমার খুবই ভয় লেগেছে এবং নাগরদোলা থেকে নেমে আমি অনেকক্ষণ বসে থাকলাম। মাথাও যেন কেমন ঘুরতে ছিল। যাইহোক তো বন্ধুর সাথে মেলাতে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করলাম এবং বন্ধুদের সাথে এই মুহূর্তগুলো সত্যিই অনেক আনন্দের ছিল।মেলাতে ঘুরাঘুরি করার পরে বাড়ির দিকে চলে যাওয়া সিদ্ধান্ত নিলাম।হাসান বললো পরদিন স্কুলে সবাই আসিস। স্যার হয়তো আমাদের সাথে অন্য রকম ব্যবহার করতে পারে। দেখি কী করে। এই বলে আমরা সবাই বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
পরের দিন সকাল বেলা সবাই স্কুলে আসলাম। স্কুলে আসার পরে পরিবেশ মোটামুটি শান্তি দেখতে পেলাম। তবে আমরা দপ্তরী চাচাকে বললাম চাচা স্যার কি খুব রেগে গিয়েছিল। আমাদের কি আজকে খুব শাস্তি দিবে।চাচা বলল না তোমাদের সাথে বেশি খারাপ ব্যবহার করব না। কিন্তু তোমরা যাওয়ার পরে সকল স্যার একসাথে বসে ছিল এবং সবাই মিলে হেডস্যারকে বলেছিল যে প্রতি বছর এই দিন ছিটি থাকে আর আপনি যদি ছুটি না দিবেন তাহলে তাদের কেন কথা দিয়েছিলেন।দপ্তরী চাচার কথা শুনে ভালো লাগলো এবং আমরা প্রিয় রফিক স্যারের সাথে দেখা করলাম। রফিক স্যার বলল আসলে তোমরা যে কাজটা করেছে এটা ঠিক আছে। তোমার দিক দিয়ে। কিন্তু হেডস্যার কথা না শুনে ওভাবে বেড় হয়ে যাওয়ার ঠিক হয়নি।বলল যে একটু পরে তোমাদের হেড স্যার ডাকবে। সেখানে আমি তোমাদের বকব তোমরা চুপ করে শুনবা বললা স্যার ওভাবে যাওয়া ঠিক হয়নি। আমরা বললাম ঠিক আছে স্যার। একটু পরে আমাদের হেড স্যার আমাদের ডাকলো। আমরা গেলাম সেখানে আরো কিছু স্যার এবং বড় ভাইরা কয়েকজন ছিলো।
তো আমরা যখন হেডস্যাবের রুমে আসলাম।পরে হেডস্যার কিছু বলার আগেই রফিক স্যার আমাদের বললো তোমরা যে কাজটা সেটা বড় ভুল করেছো।স্যার আদেশ না মেনে ওভাবে বের হয়ে যাওয়া তোমাদের অন্যায় হয়েছে। তখন হাসান বলল জ্বি স্যার আমাদের অনেক বড় অন্যায় হয়েছে। তবে এই দিনটা আমরা স্কুল ছুটি থাকে।আর স্যারও ছুটি দেয়ার কথা ছিল যার কারণে আমাদের একটু মন খারাপ হয়েছে এবং আমরা অনেক প্ল্যান করেছিলাম। তাই এই অন্যায় করেছি। আমাদের মাফ করে দেন। আমাদের ক্ষমা করে দিন স্যার, এরকম কাজ আর করবো না।হেডস্যার বলল আচ্ছা ঠিক আছে। তোমাদের ক্ষমা করে দেয়া হলো এবং আমার ভুল ছিল আমি তোমাদের কথা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম যে তোমাদের চারটা ক্লাস করার পরে যেতে দেবো।এরকম ভুল যেন আর কোনদিন না হয়। এবার আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম। তখন স্যারকে অনেক ধন্যবাদ দিলাম। খুবই ভালো লাগলো আমরা তখন ক্লাসে চলে আসলাম।ক্লাসে এসে স্যার আমাদের ক্ষমা করে দিয়েছে। এই কথাটা বললাম ক্লাশের সবাই অনেক খুশি হল। সত্যি সেদিন অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
আপনার আজকের স্মৃতির পাতা থেকে নেওয়া বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার মুহূর্তগুলো সত্যি ই অনেক মজার ছিল। সেই সাথে আমারও বেশ কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দিল। আসলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া ঘুরাঘুরি করা সার্কাস দেখা আরো অনেক রকম বিষয় থাকে যেগুলো খুবই আনন্দদায়ক হয়ে থাকে। সত্যি বলতে এগুলা স্মৃতিতেই আটকে থাকে যা পরবর্তীতে আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয়। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের এই আনন্দদায়ক মুহূর্তগুলো পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া🌻🌹
স্মৃতির পাতায় থেকে বন্ধুদের সাথে নিয়ে মেলায় যাওয়ার গল্পের শেষ পর্ব পড়ে খুব ভালো লেগেছে। আমার জীবনে এমন একটি ঘটনা আছে তবে আপনার এটা থেকে একটু ভিন্ন। একদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। স্কুলে সবারই এমন কিছু স্যার থাকে যাদের ভালোবাসার কথা সারা জীবন মনে থাকে। আপনার এই পোস্ট পড়ে আমার ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
ভাইয়া আপনাদের বন্ধুদের গল্পটা পড়ে অনেক ভাল লাগলো। আপনি তো বন্ধুদের সাথে সার্কাস দেখেছেন, নাগর দোলায় উঠেছেন। আমি এই দুইটার একটিও করার সুযোগ পায়নি। আপনাদের রফিক স্যারের মত প্রতি স্কুল কলেজেই এমন একজন স্যার থাকে যে সব সময় ছাত্রদের পক্ষে থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া।