কক্সবাজার যাওয়ার অনুভূতি
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
দীর্ঘ তিন বছর পরে আবারো কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে আসলাম। আর এই কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে আসার মুহূর্ত ছিল সত্যিই অসাধারণ। বিশেষ করে এবারই প্রথম আমি আমার আম্মাকে সাথে নিয়ে কক্সবাজারে এসেছি। আসলে কক্সবাজার আমার ছোট বোন আর বোনের জামাই বসবাস করে। তাদের ওখানে ব্যবসা রয়েছে। যার কারণে আমার আম্মা অনেকদিন পর ছোট বোনকে দেখার জন্য বারবার বলতেছিল। তাই আম্মাকে সাথে নিয়ে কক্সবাজারে আসলাম। আসলে আম্মাকে সাথে নিয়ে কক্সবাজার আসবো এটা জানতে পেরে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কারণ মায়ের সাথে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের আনন্দময় মুহূর্তগুলো উপভোগ করব। যার কারণে আমি মাকে সাথে নিয়ে কক্সবাজার আসার জন্য রাজি হলাম এবং রাত ৯ টার টিকেট কাটলাম।
আমাদের সিরাজগঞ্জ থেকে কক্সবাজারে আসতে মোটামুটি ১০-১২ ঘন্টা সময় লাগে। আসলে ভালোভাবে যদি আসা যায় রাস্তায় জ্যাম না থাকে তাহলে সর্বোচ্চ ১০ ঘন্টা সময় লাগে, কিন্তু আমি যখন কালকে রাত 9 টায় রওনা দিয়েছি আসতে আসতে অনেক বেশি সময় লেগেছে। দুপুর 12 টা বেজে গেছে ১৬ ঘন্টা, এত সময় বাসের ভিতরে সত্যি আমার এত কষ্ট হয়েছে যা বলার মত না।এমনিতে আমি বাস জার্নি করতে পারি না।আসলে বাস জার্নি করলেই আমার খুবই খারাপ লাগে এবং আমি বমি করি। যার কারণে অনেক বেশি কষ্ট হয়। আর বমি যারা করে তারাই বোঝে বাস জার্নিটা কতটা কষ্টকর হয়ে থাকে। মনে হয় জীবনটা বের হয়ে যাবে। আর এত সময় বাসের মধ্যে সত্যিই আমার অনেক বেশি কষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে অনেক গরম ছিল যার কারণে আরো বেশি খারাপ লেগেছে। বমি করেছি অনেকবার মনে হয় জীবনটা বের হয়ে যাবে। এমন অবস্থা হয়েছিল। মনে হয় আমাকে বাস থেকে নেমে দিলে আমি হেঁটে যেতাম। বা এখানে কোথাও বসে থাকতাম। তাও ভালো লাগতো। যাই হোক আম্মাকে সাথে নিয়ে তারপরেও আসলাম। আসলে প্রচন্ড রোদ আর গরম ছিল যার কারণে আম্মার প্রেসার বেড়ে গিয়েছিল, ওষুধ খেয়ে কমানো হয়েছে। অবশেষে দুপুর ১২:২০ এ আমরা ডলফিন মোড়ে এসে নামলাম।
কক্সবাজার ডলফিন মোড় থেকে আমার ছোট বোনের বাসায় একদম কাছে। এক কিলোমিটার রাস্তা হবে।আমি একটা অটো নিয়ে চলে আসলাম বাসায়। আর বাসায় আসার পরেই সব কিছু বাসায় রেখে আমি গোসল করলাম এবং গোসল করে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। কারণ প্রায় ১৬ ঘন্টা বাস জার্নি করেছি তাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কারণে শরীর একদম ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে গভীর ঘুমে ছিলাম।আর ঘুম থেকে উঠেছি বিকাল পাঁচটায়।ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হলাম, কারণ সমুদ্র সৈকতেরপাড়া যাব। আর আমার বোনের বাসা থেকে সুগন্ধা বেচ একদম কাছে। যার কারণে আমি ফ্রেশ হয়ে সুগন্ধির পাড়ের দিকে রওনা দিলাম।
সুগন্ধার পাড়ে এসে দেখতে পেলাম হাজার হাজার মানুষ। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পাড়ে হাজার মানুষের ভিড় দেখতে পেলাম। আসলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আসলেই অনেক ভালো লাগে। সমুদ্রের ঢেউ এর শব্দ এবং অপরূপ সৌন্দর্যময় সূর্য অস্তা যাওয়ার দৃশ্যগুলো দেখার জন্যই হাজার হাজার মানুষ এখানে আসে। আর সমুদ্র সৈকতে আসলেই মন ভালো হয়ে যায়। বিকেলবেলা অনেক মানুষের মাঝে সমুদ্র সৈকতের পারে কিছু মুহূর্ত কাটালাম এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করলাম। এই মুহূর্তগুলো সত্যি অসাধারণ ছিল।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | general-written |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাস জার্নিতে যদি জ্যাম থাকে তাহলে খুবই কষ্টকর হয়ে যায়।অনেক টা পথ অতিক্রম করার পর খুবই ক্লান্ত লাগে।এরপর আপনার মাকে নিয়ে ডলফিন মোড়ে গিয়েছেন।এরপর ছোট বোনের বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়েছেন। জার্নি করার পর ঠিক মত ঘুম না হলে খুবই খারাপ লাগে।অবশেষে আবারো ঘুরতে বের হয়েছিলেন ।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
কক্সবাজার যাওয়ার অনুভূতি জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। তবে বাসের ভিতর আপনি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন এটা জানতে পেরে খারাপ লাগলো। যাইহোক কক্সবাজার গিয়ে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করবেন সেই মুহূর্তের দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকত হলো কক্সবাজার যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি। এমন জায়গায় বারবার যেতে খুব ইচ্ছে করে। আপনি কক্সবাজার গিয়েছেন জেনে খুব খুশি হলাম। যাওয়ার সময় কিছুটা অসুস্থ হলেও নিশ্চয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করলে ভালো হয়ে যাবেন। কক্সবাজার যাওয়ার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।