ভিন্ন পদ্ধতিতে পটল ভাজি রেসিপি।||10% beneficiaries @shy-fox. ||…
হ্যালো,,,,!
আমার বাংলা ব্লগ বাসি,
আসসালামু আলাইকুম,
আজ ০৪ নভেম্বর, ২০২১.
বৃহস্পতিবার।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই খুব ভালো আছেন। আবারও হাজির হয়ে গেলাম, আমার আরেকটা নতুন পোষ্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সাথে গ্রামীণ একটা নতুন রেসিপি শেয়ার করব, আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে।
বাঙালিরা একটা জিনিস দিয়ে নানা ধরনের রেসিপি খুব সহজেই এবং সুস্বাদু ভাবে বানিয়ে ফেলতে পারে। কারণ, তারা খুব খাদ্য রসিক। তাই খাওয়ার দিক দিয়ে তারা খুব চালক বলা যায়। একটা জিনিস দিয়ে তৈরি করে মজার মজার স্বাদের সব নানা বাহারি নামের খাবার। আজকে আমি গ্রামীণ পদ্ধতির একটা সুন্দর সহজ রেসিপি শেয়ার করব। পটল দিয়ে আমরা অনেক সময় নানা ধরনের রেসিপি দেখেছি। পটল ভাজিও আমাদের সবার কাছে বেশ প্রিয়। আমার নিজের কাছে তো অনেক ভালো লাগে। তবে সেই ভাজিটা যদি হয় একটু ভিন্ন রকমে এবং বেশি সমস্যা না দেওয়া হয়, আমার মনে হয় সেটার স্বাদটা এবং পুষ্টিগুণটাও একটু বেশি হবে। আজকে আমি একটা পটলকে আস্ত করে একটু ভিন্ন পদ্ধতিতে ভাজি করেছি। সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের রেসিপিটা---
ভিন্ন পদ্ধতি ও স্বাদে গ্রামীণ পদ্ধতিতে পটল ভাজি
উপকরণ-
১.পটল।
২.হলুদ গুড়া।
৩.লবণ।
৪.সোয়াবিনের তেল।
ধাপ- ১.
প্রথমে আমি কয়েকটা পটল নিয়ে নিলাম। তারপর সেগুলোকে ভি আকৃতি করে আস্ত অবস্থায় কেটে নিতে হবে। পটলের দুই পাশেই ভি আকৃতির করে খাজ কাটা করে পূরা পটলের গাঁ টা কেটে নিতে হবে।আমার দেখানো ছবির মতো কেটে নিলেই হবে।
ধাপ-২.
এরপর সকল পটল গুলো নিয়ম অনুযায়ী কেটে একটা প্লেটের উপর রাখতে হবে। পটলকে কিন্তু আস্ত অবস্থায়ই রাখতে হবে।
ধাপ- ৩.
এবার পটলগুলোর উপর কিছুটা হলুদ এবং লবণ গুড়া দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ- ৪.
হলুদ এবং লবণ দিয়ে পটলগুলো খুব ভালো ভাবে মাখিয়ে নিতে হবে।
ধাপ- ৫.
এরপর একটা চুলাতে কড়াই বসিয়ে তাতে সোয়াবিনের তেল দিয়ে দিতে হবে। এরপর তেল গরম হলে তাতে হলুদ মাখানো পটল গুলো দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ- ৬.
এরপর কিছুটা সময় পর পটলগুলো উলটে দিতে হবে।
ধাপ- ৭.
তারপর আরও কয়েকবার উল্টে দিয়ে ভালো ভাবে পটলগুলো ভাজি করে নিতে হবে।
ধাপ- ৮.
এখন ভাজি হয়ে গেলে নামিয়ে নিলেই রেডি হয়ে যাবে, আমার নতুন পদ্ধতির পটল ভাজি।
এই ভাজির একটা বিশেয দিক হলো, এগুলো ভাজি করার পর যখন নামানো হবে তখন, দেখতে পারেন পটলগুলো গায়ে এক ধরনের ডোরা কাটা দেখা যাবে। যেটা দেখতে অনেকটা সুন্দর লাগে। কিছুটা সময় নামিয়ে রাখার পর পটলগুলো যখন চুপসে যাবে তখন দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।
এইতো হয়ে গেল আমার আজকের নতুন ডিজাইনের পটল ভাজি। যদিও সবচেয়ে সহজ একটা পদ্ধতি এটা । আশা করি তবুও আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। তবে এটা খেতে অনেক মজা লাগে। আমার কাছে এটা খেতে খুবই ভালো লাগে।
আজকে এপর্যন্তই, আবার দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে,। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সব সময় "আমার বাংলা ব্লগ" এর সাথেই থাকবেন।
ইতি @rasel72.
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য এবং আপনাদের মূল্যবান মতামতটা জানানোর জন্য।
আমার পরিচয়
আমি মো:রাসেল আহমেদ। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের তৃতীয় পর্বে অধ্যায়ন রত আছি। আমি ছবি আঁকতে এবং ফটোগ্রাফি করতে এবং যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমাইট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
আপনার পোটল ভাজির রেসিপি দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে ভাই দারুন হয়েছে সাথে উপস্থাপনা ও অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার পটল গুলো যে ভি আকৃতিতে কেটেছেন এটি আমার কাছে খুবই চমৎকার লেগেছে। আর পটল ভাজি দিয়ে রুটি খেতে আমি খুব পছন্দ করি। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। যেটির মাধ্যমে রাধুনী রান্না ভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে সক্ষম
ধন্যবাদ ভাই, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জি ভাই। সাথে থাকবেন সবসময়। পাশে পাবেন ইনশাআল্লাহ
🙏🙏🥰💞❤️
খুব সুন্দর ভাবে আপনি পটলের ভাজিটি রান্না করেছেন। আর আমার পটলের ভাজা দিয়ে ভাত খেতে খুবই ভালো লাগে। দেখতে ও চমৎকার লাগছে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি কখনোই এভাবে পটল ভাজি করে খাইনি। তবে আমার জানতে ইচ্ছে করছে এভাবে পটল ভাজি করলে ভিতরে কি মসলাগুলো ঢুকে? অর্থাৎ প্রায় পুরোটাই ভাজা হয়েছে তাহলে ভিতরের জায়গাটা কি নরম হয? আপনার রেসিপি টা আমার কাছে একদমি নতুন লেগেছে। কারণ আমি কখনো এভাবে পুরো পটল ভাজি এভাবে কেটে রান্না করে খাই নি। নতুন রেসিপি দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জি আপু এভাবে পটল ভাজি করলে তেল এবং মসলাগুলে ভিতরে যাবে, কারণ পটলগুলো খাচকাটা থাকে, যার ফলে সহজেই মসলাগুলো যেতে পারবে।
আর পূরোটা ভাজা হয়েগেলে পূরোটা অনেক নরম হয়ে যায়। যার ফলে দেখতে আরও বেশি ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপু, এতো সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
আপনার ভিন্ন ভাবে পটল ভাজি অনেক সুন্দর হইছে দেখতেও মাশাল্লাহ লোভনীয়। ধাপে ধাপে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
পটল ভাজি এমনিতেও আমার অনেক বেশি প্রিয়। আর পটল ভাজি দিয়ে আপনি খুব সুন্দর ইউনিক ভাবে তৈরি করেছেন খুবই লোভনীয় হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পটলের কালার কিন্তু খুবই সুন্দর এসেছে, পটল আমার খুবই পছন্দের একটি ভেজিটেবলস তবে বেশি ভালো লাগে ভাজি করলে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুব মজা হয়েছে, গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন মজা হবে।
জি, আপু অনেক মজা হয়েছিল,আপনেও চাইলে একদিন বাসায় রান্না করে দেখবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
যদিও পটল আমি তেমন খাই না। পটল ভাজা আমার ভালোও লাগে না। তবে এ ভাবে একদিন খেয়েছিলাম ভালোই লেগেছিল। আপনার পটল ভাজি দেখে মনে হচ্ছে আপনার টা অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া এটা যে পটল আমি প্রথমে দেখে বুঝতেই পারেনি। ভালভাবে দেখে বুঝতে পারলাম যে এটি পটল। পটলটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। খেতেও সুস্বাদু হয়েছিল মনে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে ভিন্ন রকমের পটল ভাজি আমাদের দেখানোর জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পটল ভাজি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। তবে পটল চিকন চিকন করে কেটে ভাজলে ভালো লাগতো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে।