সংক্ষিপ্ত জীবনে নিজের খুশির প্রাধান্য দেওয়া উচিত||

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago (edited)
❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।


christmas-2971961_1280.jpg

ছবির উৎস


আমাদের জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত।আমরা যেকোনো জিনিসের গ্যারান্টি, ওয়ারেন্টি দিয়ে দিতে পারি সহজেই।যখন আমরা কোনো ইলেক্ট্রনিক্সের জিনিস বা কোনো কিছু বাজার থেকে নিই।তাতে ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টি থাকে যে এতো বছর টিকবে না টিকলে চেইন্জ করা যাবে।আর ঠিক তাই হয়ে থাকে ইলেকট্রনিক্স বা সেই জিনিস গুলো নিদ্দিষ্ট বছর মেয়াদ পর্যন্ত ঠিক থাকে তারপর গিয়ে তাকে রিপেয়ার করতে হয় ।আবার যত্ন সহকারে ব্যবহার করলে আরো অনেকদিন টিকে যায়।কিন্তু নিজের জীবনের গ্যারান্টি কখনোই দিতে পারিনা আমরা।এখন প্রশ্বাস নিচ্ছি আর একটু পর নেওয়াটা হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে।


সংক্ষিপ্ত জীবনের এই সময়টাতে তাইতো আনন্দ করে কাটিয়ে নেওয়ায় উচিত আমার মতে।গতকাল আমার ছোটবেলার সেই বান্ধবী ফাহিমা ফোন দিয়েছিল রাতে।তো বাড়িতে এসেছে গতকাল পূজার ছুটিতে।আমাদের বেশ অনেকদিন দেখা হয়না কারো সাথে কারো।তাই আমাদের অন্য বান্ধবীরা বলেছে সবাই একজায়গায় হতে ফরিদপুর এসে। আমি আমার বান্ধবীর দ্বিতীয় ছেলে হওয়ার কথা তো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।এখন সবাই একজায়গায় হতে পারলেও ও নাকি আসতে পারবেনা।কারণ ওর বাচ্চা দুইটাই ছোট তাই বলছিল।আমি আবার বলেছিলাম যে কয়েক ঘণ্টার তো ব্যপার ওদের বাড়ি রেখে আসতে।কিন্তু ওর আসতে সমস্যা ও বাচ্চাদের রেখে আসবেনা।এবার ও না আসলে তো আমিও যাবনা।তাই ১২/১৩ বছর পর সবার দেখা করার প্ল্যান টাও সফল হবেনা।

তবে ওরা সবাই একই গ্রামের আর আমি একাই দূরের।এখন পূজার ছুটিতে বাড়িতে এসেছে অন্যরাও।তাই সবার সাথে দেখা করার জন্য আমাকে যেতে বলছে এই পূজার বন্ধের যেকোনো একদিন ।তাহলে সবাই একজায়গায় দেখা করতে পারবে।এবার আমার বাসা থেকে বেশ দূর ওই গ্রাম,ফরিদপুর হলে আমার জন্য সুবিধা হয়।আমি ওকে ফোনে বললাম, আচ্ছা দেখি জানাবো।কিন্তু আমার আবার জার্নি করতে সমস্যা এজন্যই যাওয়া হবেনা আরকি।এখন আমার কথা হচ্ছে বাচ্চাদের কথা অত ভাবার কি দরকার আছে?জীবনটা তো স্বল্প দিনের।ওদের জন্য নিজের আনন্দ মাটি করার কি দরকার। এখনকার দিনে আমরা দেখতে পাই,ছেলে মেয়ে বড়ো হলে বাবা, মায়েদের বৃদ্ধা আশ্রমে দিয়ে আসে বা খোঁজ খবর রাখেনা সেইভাবে।আর আমরা যখন বৃদ্ধা হবো তখন যুগ আরো আপডেট হবে।পরিবেশ পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যাবে।তাই ওদেরও ছোট থেকে একটু প্রতিকূল পরিবেশ বুঝানোর দরকার আছে। সবসময় ওদের সুবিধা দিয়ে নিজেদের আনন্দ বিসর্জন দেওয়ার কোনো মানেই হয়না।এখন আপনারা বলতে পারেন আমি এখনো ওই পর্যায়ে যায়নি তাই এরকম বলছি।কিন্তু না সবাই যেভাবে বুঝে আমি একটু অন্যভাবে বুঝি এই ব্যাপার গুলো।আমি মাঝে মাঝে আমার আব্বু, আম্মু এবং অন্যদেরও বলি নিজের খুশির প্রাধান্য দিয়ে তারপর বাচ্চাদের কথা ভাবতে।কারণ পৃথিবীতে কেউ কারো জন্য না,নিজের জন্য একমাত্র নিজেই।


আমার সাথে কি আপনাদেরও একই মতামত বন্ধুরা? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। ধন্যবাদ সবাইকে আপনার ব্লগটি পড়ার জন্য। আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।


❤️আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি❤️
আমি রাহনুমানূর দিশা।আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী।আমি বর্তমান অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়াশুনা করছি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় থেকে যুক্ত রয়েছি।বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে এবং নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে আমার ভালো লাগে।এছাড়াও ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতে অনেক ভালো লাগে।অবসর সময়ে গান শুনতে এবং বাংলা নাটক দেখতে পছন্দ করি।


Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

❤️আল্লাহ হাফেজ❤️

Sort:  
 10 months ago 

ঠিকই বলেছেন আপু নিজেরও আনন্দ উপভোগ করার একটা সুযোগ করে দেয়ার দরকার কারণ সব সময় আপনি সেক্রিফাইস করলেন অন্যের চাহিদাগুলোর উপরে প্রাধান্য দিলেন তাহলে আপনার যে মনের একটা ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা থাকে সেটা পূরণ করবেন কখন??

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপু, আমরা হয়তো নিজের জন্য কখনো তেমন একটা চিন্তাভাবনা করি না। কিন্তু নিজের জন্যও আনন্দের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। তবে কি আপু ছেলে মেয়েকে কোথাও রেখে গেলে মনটা কেমন যেন কাঁদে। আমিও কিন্তু আমার ছেলে মেয়েকে রেখে, আপনার ভাবিকে সাথে করে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো কিংবা ঢাকা, টাঙ্গাইল, পদ্মা সেতু, কুয়াকাটা অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি। একে তো আমার মোটর বাইকে জার্নি এজন্য ছেলেমেয়েদেরকে কখনো নেইনা। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে খুব বেশি বয়স হয়ে গেলে বাইক জার্নি হয়তো অতটা করাও সম্ভব হবে না। এজন্যই মূলত ছেলে মেয়েদেরকে রেখে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। কিন্তু বেড়াতে গিয়ে মনের ভেতর কোথায় যেন শূন্যতা থেকে যায়। পরিবারের সবাই একসাথে থাকলে বেশি ভালো লাগে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে তা অনেক সময় হয়ে ওঠে না। যাইহোক আপু একেকজনের চিন্তা ভাবনা একেক রকম তো, কেউ নিজের জন্য চিন্তা-ভাবনা করে কিছুটা সময় বের করে, আবার কেউ হয়তো তার প্রয়োজন বোধই করে না। তবে আজ আপনার কথাগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।

 10 months ago 

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া,বুঝতে পেরেছি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।

 10 months ago 

একদম ঠিক বলছেন আপু আসলেই সব কিছুর মাঝে নিজের আনন্দটা ও খুঁজে নেওয়া দরকার। সব সময় যে অপরের স্বার্থের জন্য কাজ করে যাব সেটা মোটেই উচিত নয়। তাই মাঝে মধ্যে নিজের ভালো-মন্দ গুলো দেখতে হবে। ঠিক বলছেন আমাদের যুগ আসলে আমাদের ছেলে মেয়েরা বড় হলে কি রকম আপডেট আসে সেটা তো জানিনা। আপনার লেখা গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

 10 months ago 

জি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে ।

 10 months ago 

কথা একদম ঠিক। কিন্তু বাচ্চা হলে বাচ্চাকে রেখে কোথাও বের হওয়াটা একটু ঝুঁকির ও বটে।একটা বাচ্চা হলে বাচ্চাকে নিয়ে ই বের হতে পারতো।তাতে নিজেও রিল্যাক্স মুডে থাকতে পারতো।যাই হোক সবকিছুর পরেও নিজের ভালো লাগার গুরুত্ব দিতে হবে।নিজে ভালো থাকলে আশপাশটা ও সুন্দর হবে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 10 months ago 

জি একটা হলে আসতে পারতো,ধন্যবাদ আপু ।

 10 months ago 

খুবই সুন্দর একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করেছেন আপনি আপু। অন্যের ভালো লাগা খারাপ লাগার উপর আমরা আমাদের নিজেদের খুশি বিসর্জন দিয়ে দেই। আমি নিজেও এটা মনে করি আমাদের জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত সেজন্য অন্যের দিকে তাকিয়ে নিজের খুশি টাকে শেষ না করে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। কিন্তু সেটা চিন্তা করলেও সেটার বাস্তবায়ন করতে পারি না। আশেপাশের সমাজ পরিবেশ মানুষ সবকিছু বাধ্য করে নিজের খুশিকে বিসর্জন দিতে। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 60607.86
ETH 2620.83
USDT 1.00
SBD 2.52