রেসিপি||পাকান পিঠা||
আজ-৩১ই আশ্বিন||১৪২৯ বঙ্গাব্দ,শরৎকাল||
হ্যালো বন্ধুরা,
আমি @rahnumanurdisha,কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশী বন্ধুরা?আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। আমি আরো একটি নতুন রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আমার আজকের রেসিপি হচ্ছে পাকান পিঠা। আমি আজকে আপনাদের মাঝে যে মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছি, এই পিঠার ভিন্ন ভিন্ন নাম অঞ্চলভেদে।এ পিঠার অনেক নাম আছে যেমন- পাকান পিঠা, পোয়া পিঠা,ভাজা পিঠা ইত্যাদি। আমরা এই পিঠাকে পাকান পিঠা নামেই চিনি।পিঠা ছোট-বড় সকলেরই অনেক পছন্দের। আমিও তার ব্যতিক্রম নয়। আসছে শীত শুরু হবে পিঠা পুলির উৎসব।গ্রাম বাংলা থেকে শহর,সকলের বাড়িতেই পিঠাপুলির উৎসব বিদ্যমান থাকবে। আজকে আর আমি কথা বাড়াচ্ছি না,পিঠাটি যেভাবে তৈরি করেছি সমস্ত ধাপ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ |
---|
- আতপ চালের গুড়া ৫০০ গ্রাম
- চিনি ২০০ গ্রাম
- লবন এক চিমটি
- সয়াবিন তেল ২৫০গ্রাম
- পানি পরিমাণমতো
প্রথমে পরিমাণ মতো পানি হালকা গরম করে নিতে হবে । আমি পানি গরম করে নিয়েছি কারণ আমার চালের গুড়া গুলো ফ্রিজে সংরক্ষিত ছিল।তারপর চালের গুড়া, এক চিমটি পরিমাণ লবণ,চিনি পরিমাণমতো দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে বেটার তৈরি করে নিতে হবে।চালের গুড়া ফ্রিজে না রাখা থাকলে চাইলে ঠান্ডা পানি দিয়ে বেটার তৈরি করে নিতে পারেন।
এবার চুলায় একটি কড়াই বসাতে হবে। কড়াই গরম হয়ে আসলে ২৫০ গ্রাম পরিমাণ সয়াবিন তেল দিয়ে দিতে হবে। তারপর তেল গরম হয়ে আসলে একটি চামচে করে পরিমাণ মতো বেটার নিয়ে তেলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে।
এবার এক থেকে দুই মিনিট হালকা আঁচে পিঠা ভেজে নিতে হবে।এভাবে পরিমাণ মতো বেটার দিয়ে একটি একটি করে পিঠা তৈরি সম্পন্ন করতে হবে।
এ পর্যায়ে একটি পাত্রে পিঠা পরিবেশন করতে হবে।
রেসিপি ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
ধন্যবাদ। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আমার রেসিপিটি কেমন লাগলো কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন বন্ধুরা। আবার নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের সামনে হাজির হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
পাকন পিঠা দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। শীতের শুরুতে এ রকম পিঠার রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। আগামীতে আরও নতুন নতুন রেসিপি শিখতে পারব।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা আপু। শুনে অনেক ভালো লেগেছে রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভালো মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।
পাকান পিঠা মাঝে মাঝেই আমার বাসায় আম্মু তৈরি করেন। পাকান পিঠা আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার এই রেসিপি পোস্টটি দেখে আমি নিজেই একদিন তৈরি করব।
জি ভাইয়া অবশ্যই ট্রাই করবেন আপনি নিজে।আশা করি খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করতে পারবেন পোস্টটি দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন এই পিঠা এক এক জায়গায় এক এক নামে পরিচিত তবে পাকান পিঠা নামটা আমার কাছে একদমই নতুন। আমার কাছে এই পিঠ া ছোটবেলা থেকে একটাই নাম সেটা হচ্ছে ভাজা পিঠ। এখন পর্যন্ত এই পিঠা আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে যখনই বাসায় যাই আম্মু এ পিঠা বানিয়ে দেয় খুবই ভালো লাগে খেতে। অনেকদিন বাদে মজাদার এই পাকান পিঠা রেসিপি দেখে জিভে জল এসে গেল।
আমাদের দিকে এটাকে পাকোয়ান পিঠা বা পাকান পিঠা দুইটাই বলে। তবে আমাদের দিকে চিনির পাশাপাশি গুড়ও ব্যবহার করা হয়। এবং গুড় ব্যবহার করলেই বেশি সুস্বাদু হয়। পিঠা টা ভালো তৈরি করেছেন। বেশ অনেকদিন খাই না। মনে করিয়ে দিলেন আপু।।
জি ভাইয়া গুড় ও ব্যবহার করা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমরা এই পিঠা কে তেলের পিঠা বলি। শীতের সময় গরম গরম এই পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি শীত আসার আগেই পিঠা রেসিপি শেয়ার করে সবার জিভে জল নিয়ে এসেছেন। রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।
এই পিঠাকে আমাদের এখানে তেলের পিঠা বলা হয়ে থাকে। এই পিঠা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে শীতের সময় এসব পিঠা বেশি খাওয়া হয়ে থাকে।আপনার বানানো পিঠাগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে এবং মনে হচ্ছে খেতেও নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছে। আপনি শীত আসার আগেই এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ও আচ্ছা।জি ভাইয়া খেতে ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।