রেসিপি||রুই মাছের মাথা ও মাছের একত্র ভুনা||
||আজ-৫ই,ফাল্গুন||১৪২৯বঙ্গাব্দ,বসন্তকাল||
আসসালামুআলাইকুম/আদাব। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগবাসি? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হলাম।আমার আজকের রেসিপি রুই মাছের মাথা ও মাছের একত্র ভুনা।রুই মাছ খেতে অপছন্দ করেন,এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে।আমরা মাছে ভাতে বাঙালি,তাই মাছ ছাড়া আমাদের খাওয়া পরিপূর্ণ হয়না যেন।আমাদের বাসায় ও মাছ নিত্যদিনের সঙ্গী বলা যায়।আজকে বাসায় রুই মাছ রান্না করেছি।তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।খুব সহজেই আমি যেভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছি নিম্নে সমস্ত প্রক্রিয়া বর্ণনা করছি।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
রুই মাছ | ৩ পিচ মাছ ও ৩ পিচ মাথা |
পেঁয়াজ | ৪টি বড় সাইজ |
রসুন | ১ টি ছোট সাইজের |
কাঁচা মরিচ | ৪টি |
শুকনো মরিচ | ৫ টি |
জিরা | ১ চা চামচ |
সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
হলুদ গুড়া | ১ চা চামচ |
ধনিয়া গুড়া | ১ চা চামচ |
লবণ | স্বাদ মতো |
প্রথমে মাছ এবং মাথার পিচগুলোকে এবং পেঁয়াজ,মরিচ(দুই ফালি),রসুন কোয়া ছাড়িয়ে কেটে নিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।তারপর উপকরণগুলোকে (১ টি রসুন,শুকনো মরিচ,২টি পেঁয়াজ ,জিরা ১ চা চামচ)একসাথে বেটে নিতে হবে ।এবার মাছ এর পিচ গুলোকে পরিমাণ মতো লবণ,হলুদ দিয়ে মেখে নিতে হবে। তারপর কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে মাছের পিচগুলো ভেজে নিয়ে একটি পাত্রে উঠিয়ে রাখতে হবে।
এবার কড়াইতে আরও কিছু পরিমাণ তেল দিয়ে দুইটি পেঁয়াজ কুচি,বেটে রাখা মসলা এবং পরিমাণ মতো হলুদ গুড়া,ধনিয়া গুড়া দিয়ে দিতে হবে এবং অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে নাড়তে হবে।
এবার ২ মিনিট মতো নাড়তে হবে এবং পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিতে হবে।তারপর ভেজে রাখা মাছ ও মাথার পিচগুলো দিয়ে দিতে হবে।
এবার ২০ মিনিট মতো রান্না করতে হবে।
এবার ঝোল কমে আসলে চুলা অফ করে দিতে হবে।
এ পর্যায়ে একটি বাসনে রেসিপিটি পরিবেশন করছি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবার নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন,ভালো থাকুন।
রেসিপি ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
যদিও আমি তেমন মাছ খাই না,তবে মাঝে মাঝে রুই মাছটা খেতে ভালোই লাগে।তাছাড়া এভাবে মজা করে ভুনা করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে।আপু আপনি বেশ মজা করে রুই মাছের পিছ এবং মাথা একএে ভুনা করেছেন।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। কালার কম্বিনেশন এবং উপস্থাপনা ও ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
বড় মাছের মধ্যে রুই মাছ সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় এবং খেতেও অনেক ভালো লাগে।বড় রই মাছের মাথা গুলো দিয়ে মুগ ডাল অথবা পোলাও এর চাল দিয়ে মুড়িঘণ্ট রান্না করি। আর না হলে সবজিতে দিয়ে রান্না করি তাতে করে সবজির স্বাদ অনেক গুণ বেড়ে যায়। আপু আপনি রুই মাছের মাথা ও মাছ দিয়ে অনেক সুন্দর করে ভুনা করেছেন যা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। এরকম মাছ ভুনা গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে।লোভনীয় রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপু।
ও আচ্ছা।ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
রুই মাছের ভুনা দেখে আপু খেতে ইচ্ছে করছে। রেসিপিটি বেশ লোভনীয় হয়েছে। আপনার উপস্থাপনা দারুন লাগলো । রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি রুই মাছের মাথা ও মাছের একএ ভুনা রেসিপি দেখে ইচ্ছে করছে খেয়ে নিতে। রুই মাছ আমার খুব পছন্দের তাই রেসিপিটি দেখে একটু বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। এরকম রেসিপি দেখলে একটু বেশি লোভ লেগে যায় এবং জিভে জল চলে আসে। আপনার রেসিপির কালার কম্বিনেশন ও দুর্দান্ত ছিল। যার কারনে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে। রেসিপির কালার দেখে বুঝতে পারছি খুবই সুস্বাদু হয়েছে রেসিপিটি এবং খুবই মজা করে খেয়েছেন।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।
মাছ ভুনা খেতে আসলে আমার অনেক ভালো লাগে। কিন্তু কতদিন যে মাছ ভুনা খাইনি আর বলে বোঝানো যাবে না। বাড়ি থেকে মেসে চলে আসার পর আর কখনোই মাছ ভুনা খাওয়া হয়নি। আশা করি বাড়িতে গেলে হয়তো আবারো খাওয়া হবে। আপনার মাছ ভুনা দেখে সত্যিই আগের দিনের কথাগুলো মনে পড়ে গেল আপু। এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনূলক মন্তব্যের জন্য।
মাছ ভুনা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। রুই মাছ হলে তো কথাই নেই। যদি মাছ ভুনার সাথে টমেটো এবং ধনিয়া পাতা ব্যবহার করা হয়। খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়। আপনার রেসিপি কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু ও লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
রুই মাছ ও রুই মাছের মাথার চমৎকার একটা রেসিপি তুলে ধরেছেন আপু।রুই এভাবে রান্না করলে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তার সাথে যদি রুই মাছের মাথায একসাথে ভুনা করা যায় তাহলে খেতে আরো বেশি টেস্টি হয়। আমিও রুই মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি।অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু একদম ঠিক বলেছেন আপনি।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু আমরা মাসে ভাতে বাঙালি মাছ ছাড়া যেন আমাদের খাবার পরিপূর্ণতা পায় না।।
অনেক মজাদার ভাবে রুই মাছের রেসিপিটি প্রস্তুত করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখতে বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছে। সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন প্রস্তুত প্রণালীর বোঝাই যাচ্ছে খেতে খুব মজাদার হয়েছিল
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি ঠিক বলছেন আপুর রুই মাছ কম বেশি সবাই পছন্দ করে। যেকোনো কারো বাসায় প্রতি মাসে কিংবা প্রতি সপ্তাহে হলেও রুই মাছ রান্না হয়ে থাকে। আপনি অনেক মজার করে রুই মাছের মাথা সহ মাছ ভুনা করেছেন রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে। এ ধরনের ভুনা রেসিপি দিয়ে ভাত খেতে অনেক মজার হয়। আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।