এক সাথে তান্দুরি ,মালাই এবং মোটকা চা খাওয়ার অনুভূতি || [10% 𝕭𝖊𝖓𝖊𝖋𝖎𝖈𝖎𝖆𝖗𝖎𝖊𝖘 𝖋𝖔𝖗 @𝖘ʜʏ-ғᴏ𝖝🦊]
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।
আমি আজকে কোনো রেসিপি , ফোটোগ্রাফি ,ড্রাই পোস্ট নিয়ে হাজির হয়নি। আমি আজকে হাজির হয়েছি নতুন একটি রিভিউ পোস্ট নিয়ে। আমি আজকে চা প্রেমীদের জন্য চা এর গল্প নিয়ে এসেছি। চলুন যাই মূল গল্পে। আমি তেমন চা খাই না ,তেমন বলতে বলা চলে একে বারে খাওয়াই হয় না। আমি যখন ভার্সিটিতে পড়ি ,তখন আমার বন্ধু বান্ধবী সকলে আমাকে নিয়ে অনেক হাসাহাসি করতো যে আমি চা খেতে পারি না। তো ওদের হাসাহাসি জ্বালাই একদিন গেলাম ওদের সাথে চা এর দোকানে। আমাদের ভার্সিটির পাশে একটা বড় চা এর দোকান ছিল অনেক বড় হাড়িতে চা তৈরি করতো। আমি প্রায় ভাবতাম এত গুলা চা কে খাই?যাই হোক আমরা গেলাম দোকানে আমরা সবাই মিলে চা এর অর্ডার দিলাম। তো কিছু ক্ষণের মধ্যে চা পেয়ে গেলাম। সবাইতো যে যার মতো চা খাচ্ছে ,কিছুক্ষণের মধ্যে দেখলাম সবার চা শেষ ,কিন্তু আমি গরমের কারণে চা মুখেই দিতে পারছি না। তারপর হঠাৎ হাত থেকে অর্ধেক চা পরে গেলো। ওরা খুব হাসাহাসি করলো। তারপর আর কি অর্ধেক চা খেলাম আর অর্ধেক চা পরে গেলো।
মোটকা চা |
---|
চা খাওয়ার অনুভতি |
---|
এই হচ্ছে দোকানের নাম,খুব বেশি আলো নেই।
জায়গাটা বেশি আলো নেই। শুধু মাত্র একটা দুইটা আলো। তাই হয়তো ছবি গুলা অন্ধকার। যাই হোক আমাদের হঠাৎ প্ল্যান হলো আমরা আমরা বাহিরে চা খেতে যাবো। আমার অনেক দিন ধরে ইচ্ছা ছিল মোটকা চা কেমন ,আর স্বাদ কেমন দেখতে যেতে। যাই ভাবা সেই কাজ। আমরা রাজশাহীর সার্কিট রোড এ গেলাম চা খেতে। ওই খানে অনেক রকম চা পাওয়া যায়। তান্দুরি চা ,মালাই চা ,ক্রিম চা ,কাশ্মীরি চা ,মোটকা চা আরো অনেক রকম চা।
এটি বিশেষ একটি চুলা ,এই খানে মাটির কাপ গুলাকে তাপ দেওয়া হয়।
প্রথমে লিকার এবং দুধ জ্বাল দেওয়া হচ্ছে।
তারপর এই জারটাতে দুধ নেওয়া হলো
তারপর এইটাই বিভিন্ন প্রকারের মসলা দেওয়া হচ্ছে
তারপর লিকারের পানি দেওয়া হচ্ছে
এই একটা ধাপ বানানো হলো।
পরবর্তী ধাপ হলো গরম কাপগুলা গরম হওয়ার পর এই হাতল দিয়ে উঠানো হচ্ছে।
তারপর এই কাপের আগুন সহ জারটায় ডুবানো হবে।
গরম কাপ ডুবালে ,এই রকম বুদ বুদ ওঠে
চা তৈরি হয়ে গেলো ,এখন মাঠির কাপে নেয়ার পালা।
এই হচ্ছে তান্দুরি চা
এই হচ্ছে মালাই চা
চা নিয়ে ব্যাক্তিগত মতামতঃ |
---|
আজ এই অব্দি ,আবার আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।
সবাইকে ধন্যবাদ
device | samsung SM-A217F |
---|---|
Location | rajshahi |
photograpy |
আমার পরিচয়
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ভালো লাগলো আপনার চা খাওয়ার অনুভূতি দেখে। আমার কাছে এই চা অনেক ভালো লাগে। আমাদের এইদিকেও পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে ভালো লাগে নীলা মার্কেট নামক একটা যায়গার এই চা। একবারই খেয়েছিলাম। এখনো মুখে লেগেছে আছে। এতো বেশি মজা হয়েছিলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার চা খাওয়ার এই অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পড়ে খুবই ভালো লাগলো আমি। আগে সকালে আর বিকেলে চা খেতাম। এখন চা খাওয়া অনেকটা কমিয়ে দিয়েছি।চা যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। ধন্যবাদ আপু, মূহুর্তটা শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
বাহ দারুন একটা পোস্ট। আমি এই প্রথম দেখলাম এভাবে চা বানানোর পদ্ধতি। আমি কিন্তু আগে কখনো এই চা খাইনি। তবে আপু দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হবে। অনেক সুন্দর ভাবে প্রতিটা ধাপ ফটোগ্রাফি করেছেন। অসাধারণ লেগেছে। তবে আপু আপনি যেই লোকেশন টা লিখে দিয়েছেন, এভাবে হবে না, জায়গার লিংক লোকেশন দিতে হবে। সেটা যদি জানা না থাকে তাহলে অবশ্যই আমার সাথে কথা বলবেন ধন্যবাদ।
আপু আমি লিংক দিতে জানি।কিন্তুু আমি পোস্ট শুরুর সময় মনে ছিলো,কিন্তুু পরে কেন জানি ভুলে গেলাম।সরি আপু নেক্সট টাইম আর ভুল হবে না।