অন্যায় ছোট হলেও প্রশয় দেওয়া ঠিক না।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
৭ ই এপ্রিল ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ শুক্রবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন।
এই যেমন বাচ্চাদের যখন আমরা যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেই,তখন সাথে করে পেন্সিল ইরেজার খাতা দিয়ে দেই অনেক সময় তারা অন্যর পেন্সিল রাবার নিয়ে আসে আমরা যদি তাকে ছোট বলে কোন কিছু না বলি না বুঝায় তাহলে বারবার একই ভুল করবে।
অনেক সময় ভুলে তারা অন্যের জিনিস নিয়ে আসবেই, তখন তাকে বুঝাতে অন্যার জিনিসপএ আনা ঠিক না পরের দিন ক্লাস টিচারের হাতে তাকে দিয়েই জমা দেওয়াতে হবে।অনেক সময় অনেক অভিভাবক এটা করি না।ছোট একটা ঘটনা বলি আমার পরিচিতি এক খালাকে দেখেছি তার ছেলে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন ফল এবং মাছ ধরে নিয়ে আসতো খালা এগুলা কোথা থেকে এনেছে না জিজ্ঞেস করে তা তার পরিবারের সবাই বেশ মজা করে খেত।
অনেক সময় দেখতাম তার ছেলে মার্কেট থেকে নতুন নতুন জামা কিনে আনতো কখনও সে তাকে বলতো না জামা কেনার টাকা কথায় পেয়েছো।এমন করতে করতে একসময় ঐই ছেলে নিজের ঘর থেকে চুড়ি করা শুরু করলো।তখন একটু টনক নড়লো তখন হালকা পাতলা শাসন করে ছেড়ে দিলো।
বেশ কিছুদিন পর জানতে পারি সে কোথায় থেকে যেন রড নিয়ে ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করে,পরে জানতে পারা যায় যে বাসায় থাকে সেই বাসার ছাদ থেকে কলামের রড বেল্ড দিয়ে কেটে তারপর বিক্রি করতো একে একে প্রায় সব রড কেটে বিক্রি করে দিয়েছে পরে যখন বাড়িওয়ালা ব্যাপারটা খেয়াল করলো জিজ্ঞেস করাতে পুরোপুরি অস্বীকার।
আশেপাশে সবার মতামত নিয়ে জানতে পারে রড খালার ছেলেই চুড়ি করেছে।রে তো বাড়িওয়ালা ক্ষেপে গিয়ে বলেছে মানুষ ডাক দিয়ে বিচার বসাবে তখন তারা বললো সব জরিমানা দিবে তাও যেন কাউকে না জানায়। অথচ ছেলেটাকে আগ থাকতেই যদি একটু শাসন করতো তাহলে ছেলেটা আর খারাপ পথে যেত না।
বরং কেউ বিচার দিলে তার সাথে ঘরের সবাই ঝগড়া শুরু করে দিত।প্রশয় দিতে দিতে আজ ছেলেটা খারাপ পথে চলে গিয়েছে ছোট ছোট চুরি করতে করতে বড় বড় চুরির দিকে চলে যাবে,এক সময় হয়ত চুরির টাকা দিয়ে নেশা করবে।তাই হয়ত সময় থাকতে বুঝানো উচিত তা না হলে পরে চাইলেও শুধরানো যাবে না তখন পরের চেয়ে পরিবারের মানুষেরই বেশি ক্ষতি বয়ে আনে।
তাই অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে দুইজনই সমান অপরাধী। তাই ছোটবেলা থেকেই ধীরে ধীরে শিখতে হবে কোনটা ঠিক আর কোনটা অন্যায়।
আজ আর নয়। আবার আসবো নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই পযর্ন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে
device | Galaxy A13 |
---|---|
Location | Dhaka |
VOTE @bangla.witness as witness OR
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
আপু আমরা অনেক সময় শুধু বাচ্চাদের দোষ দেয় কিন্তু আসলে কি বাচ্চাদের দোষ,না এটা আমাদেরি দোষ।কারণ মানুষ ভুল করবে স্বাভাবিক তবে প্রতিনিয়ত করলে সেটাকে ভুল বলা যায় না, সেটা অন্যায়। আসলে এই ছোট খাটো ভুল থেকেই এক সময় বড় ভুলে পরিণত হয়। যাইহোক আপনার বাড়িওয়ালা খালা এক বুঝতে পারবে কেনো ছোট থেকে শাসন করেনি।আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন এই কথাটি, অন্যায় যে করে এবং অন্যায় যে সহে দুইজনেই সমান অপরাধী। আসলে আমরা যদি ছোটবেলা থেকে কোনটা ঠিক কাজ এবং কোনটা অন্যায় এটা বুঝতে শিখি ধীরে ধীরে তাহলে বড় হলে অন্যায় আমরা বেশি করব না। আসলেই মানুষ ভুল করবে কিন্তু বারবার ভুল করলে ওইটাকে অন্যায় হিসেবে ধরা হয়। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ে। বেশ ভালোই একটা টপিক নিয়ে আজকের পোস্ট লিখেছেন আপনি।
ঠিক বলেছেন আপু যদি প্রথম থেকেই শাসন করা হয় ,ঠিক বেঠিক শেখানো হয় তাহলে তারা কখনো খারাপ দিকে যায়না। আসলে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা তো আর বোঝেনা কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক। যেমন আপনার ছোট খালার ছেলের কথাই বলছি ,যখন থেকে সেই ছেলেটি মানুষের গাছের ফল চুরি করে আনতো, পুকুরের মাছ ধরে আনত, তখন যদি আপনার ছোট খালা মানা করত তাহলে সে বড় কোন চুরির দিকে ধাবিত হতে পারত না। খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপু ।ঠিক বলেছেন যে অন্যায় করে এবং যে অন্যায় সহে দুজনেই সমান অপরাধী।
কিছু কিছু বাবা-মার প্রশ্রয় পেয়ে সন্তানেরা এরকম নষ্ট হয়ে যায়। ঠিকই বলেছেন আপু অনেক সময় বাচ্চারা স্কুল থেকে ভুলে অন্যের জিনিস নিয়ে আসে। তখন থেকে তাদেরকে বোঝানো উচিত যে অন্যের জিনিস কখনোই নিয়ে আসা উচিত না। আপনার এই খালার ছেলে ছোটবেলা থেকে এগুলো নিয়ে এসেছে তার পরিবারের কেউ তাকে কিছু বলেনি। এখন যখন বড় অপরাধ করেছে তখন পরিবার টনক নড়েছে। আসলে এগুলো পরিবার থেকে ছোটবেলাতেই শেখাতে হয়। খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এরকম একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
আমিও সেটাই মনে করি অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে দুজনেই সমান অপরাধী। আসলে ছোট ছোট বাচ্চারা অনেক রকম অন্যায় অপরাধ করবে এটাই স্বাভাবিক তবে আমাদের উচিত তাদেরকে শেখানো তাদেরকে উচিত শিক্ষাটা দেওয়ার তাহলে হয়তো পরবর্তীতে এরকম অন্যায় করা আর কখনো করবে না। পক্ষান্তরে আমরা যদি সেই অন্যায় টাকে অন্যায় না ভেবে তাদেরকে প্রশ্রয় দিতে থাকে তাহলে একটা সময় যে তারা অনেক বড় ধরনের অপরাধ করে বসবে যেটা সত্যিই অনেক বেশি দুঃখজনক। ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর পোস্ট পড়ে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একদম সঠিক বলেছেন আপু।এমন ঘটনা আমি নিজের চোখে দেখেছি৷ বিচার দিয়েছিলাম দেখে তার বাবা মা আমার নামেই উল্টোপালটা কথা ছড়িয়েছিল।এখন সেই ছেলে বাবা মাকেই ভাত দেয়না। চুরি থেকে মাদক ব্যবসা এগুলো তো আছেই। এজন্যই শিশুদের ছোট থেকেই ভাল মন্দ বোঝানো ও অন্যায়ের শাসন করা উচিৎ। ধন্যবাদ সুন্দর একটি টপিক নিয়ে লেখার জন্য।
অন্যায় সেটা ছোট হোক বা বড় হোক ছোটকাল থেকে যদি প্রশ্রয় দিতে থাকে তাহলে সেটা একসময় বড় আকারের ধারণ করে নেই। ছোট বাচ্চারা বুঝে করুক কিংবা না বুঝে করুক কিন্তু তাদেরকে সেই গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আনতে হবে। তাহলে যদি শোধরানো না যায় সেটা সারাজীবন তার ওপর প্রভাব পড়তে থাকে। অনেক মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা শেয়ার করেছেন পরে অনেক ভালো লাগলো।
আসলেই আপু কিছু কিছু জিনিস সময় থাকতে করতে হয়। একবার হাতের বাইরে চলে গেলে আর নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ঠিক ঐ ছেলেটার ক্ষেএে যেমনটা হয়েছে। বাচ্চারা সাধারণত কাদা মাটির মতো আপনি যেমন আকার দেবেন যেমন শিক্ষা দেবেন তেমনটাই শিখবে। আর অন্যায় ছোট হোক বা বড় সেটাকে প্রশয় দেওয়া যাবে না।।