গল্প:হঠাৎ দেখা । (২য়পর্ব )
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
২৬ ই মার্চ ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগন কেমন আছেন ?আমি ভালো আছি । আশা করি আপনারা ও ভালো আছেন ।প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ,আমি আজকে একটা গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।গল্প লিখতে কিংবা পড়তে আমার বেশ ভালোই লাগে।কিছু দিন আগে আমি একটি গল্পের কিছু অংশ শেয়ার করেছিলাম। আজ তার বাকি অংশ শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
তারপর সব রেডি করে যখন সবাই সিরিয়াল করে বিভিন্ন কিছুর ঢালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মেয়ে পক্ষের এরা আসবে তাদের কিছু গিফট দেওয়ার জন্য।একজন একজন করে আসছে একজন একজনকে বিভিন্ন জন বিভিন্ন কিছু দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। এক পর্যায়ে সব দেওয়া শেষ সবাই চেয়ারে বসে গিয়েছে।
হলুদের প্রোগ্রাম শুরু করার জন্য।মেয়ে পক্ষরা আসার পর আগে খাওয়া দাওয়া করানো হলো তারপর ছেলেকে হলুদ দেওয়া শুরু করে দিলো ঠিক ঐ মুহুর্তে নীলিমা কাকে যেন দেখতে পেলো ভাবলো হয়ত চোখের ভুল।
সবাই এক এক করে যখন হলুদ দেওয়া শুরু করলো তখন সবাই মিলে নীলিমাকেও ডাকলো হলুদ দেওয়ার জন্য,নীলিমা ও হলুদ দিলো।তারপর নাচের প্রোগ্রাম শুরু হলো নীলিমা চেয়ারে বসে বসে নাচ দেখছে সবাই বলছে নাচ করার জন্য কিন্তু নীলিমা নাচ পারেও না নাচ করবেও না।
এমন করতে করতে রাত হয়ে যাওয়াতে নীলিনা বাসায় চলে গিয়েছে। পরের দিন আবার মেয়ের বাসায় হলুদের প্রোগ্রাম হয়েছে তারা ধরেছে নীলিমার মাকে ঐ প্রোগ্রামেও নীলিমাকে যেতে দিতে,ঐ দিন ও নীলিমা গিয়েছে রানীগোলাপী একটা জামদানী পরে ওকে আরো কিউট লাগছে।
ঐখানে যেয়ে দেখে ঐ ছেলেটি একটি সাদা পাঞ্জাবি পরা দেখতে বেশ কিউট লাগছে। তবে এত সামনাসামনি থেকেও কেউ কারো সাথে কথা বলেনি।
নীলিমা যখন মেয়েকে হলুদ দিতে গিয়েছে ঠিক তখন নীলিমার গলা থেকে স্বর্নের চেইন লকেট সহ পরে গিয়েছে কিন্তু নীলিনা টের পাইনি।পরে যখন নাচের প্রোগ্রাম শুরু হলো একটি ছেলে দেখে নিচে কি যেন চকচক করছে পরে উঠিয়ে দেখে গলার চেইন।
পরে সবাইকে যখন চেক করতে বলে পরে নীলিমা গলায় হাত দিয়ে দেখে তার গলায় চেইন নেই, তবে যে এটার সাথে লকেট ছিলো সেটা যে খুঁজে পাচ্ছে না।নীলিমার ভিতরে বেশ ভয় কাজ করছে বাসায় গেলে কি যেন হয় যদি জানতে পারে লকেট হারিয়ে গিয়েছে।
প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পর নীলিমা তার মায়ের সামনে কেঁদে ফেললো তার লকেট হারিয়ে গিয়েছে বলে।তার মা তেমন কিছু বলেনি।তারপরের দিন বিয়ে নীলিমার মন খারাপ বলে নীলিমা আর বিয়েতে যায়নি,তবে সন্ধ্যায় যখন নতুন বউ দেখতে গিয়েছে তখন ঐ ছেলেটা কিভাবে যেন নিলীমার ফোন নম্বর নিয়েছে।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
খুবই ভালো লাগলো হঠাৎ দেখা গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব পড়ে। নীলিমা হলুদের দিন তাহলে খুবই সুন্দর ভাবেই শাড়ি পড়েছিল এবং সেজেছিল। তার গলা থেকে চেইন এবং লকেট হারিয়ে গিয়েছিল এটা জেনে খুবই খারাপ লেগেছে। ওই ছেলেটি নীলিমার নাম্বার কিভাবে পেয়েছে আমি শুধু তা ভাবছি। যাই হোক পরবর্তী পর্বে কি হবে তা দেখারই অপেক্ষায় আছি।
গল্পের চরিত্রে নীলিমা নামটি খুবই সুন্দর। নীলিমা হলুদ দেয়ার সময়ে তার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন এবং লকেট সহ পড়ে গিয়েছে কিন্তু সে টেরই পেল না। পরে যখন একটি ছেলে সেই চেইন পেয়েছে কিন্তু লকেট পায়নি, খোঁজ নেয়ার পর বোঝা গেল সেটা নীলিমার। লকেট না পাওয়ার কারণে নীলিমার খুব মন খারাপ হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ হওয়ারই কথা। কারণ যেহেতু তার স্বর্ণের চেইনের সাথে লকেট হারিয়ে গিয়েছে সেই হিসেবে মন খারাপের কারণে সে আর পর দিন বিয়েতেও যায়নি। তবে ওই ছেলেটি যে নীলিমার নাম্বার নিয়েছে সে ছেলেটির পরিচয় তো এখনো পাওয়া যায়নি। যাইহোক আজকের পর্বটা পড়ে ভালো লাগলো আপু।
হঠাৎ দেখা গল্প গুলো সত্যি অনেক মধুময় হয় শেষ হয়েও যেন হয় না।। আবার হঠাৎ দেখা গল্পের মধ্যেই সব সময় আফসোস্ট বেশি থেকে যায়।। তবে হঠাৎ দেখা হলেও গল্পগুলো মনে হয় যেন কত পুরনো এবং কত কালের পরিচিত।। আসলে মন যখন উদাসীন হয়ে যায় প্রেমের হাওয়া মনের মধ্যে বইতে শুরু করে তখন আর অন্য চিন্তা থাকে না এজন্যই হয়তো লোকেট আর স্বর্ণের চেইন হারিয়ে গিয়েছে টের পায়নি।
যাহোক গল্পটা কেবল জমতে শুরু করেছে আশা করছি পরবর্তীতে আরো ভালো কিছু করতে পারবো।।
যা ফোন নাম্বার নেওয়া পর্যন্তই শেষ। পরবর্তী পর্বে ফোনে নিলীমা এবং ঐ ছেলের মধ্যে কী কথা হবে প্রেমের কোনো সম্পর্ক গড়ে উঠবে কীনা এটা নিয়ে কৌতূহল হচ্ছে। বেশ ভালো ছিল গল্পটা আপু।
হঠাৎ দেখা গল্পটির প্রথম পর্ব যদিও আমার পড়া হয়নি কিন্তু দ্বিতীয় পর্ব পড়ে অনেক কিছুই বুঝতে পারলাম যার কারণে একটু বেশি ভালো লাগলো দ্বিতীয় পর্বটি আমার কাছে। নীলিমা তার গলার লকেট এবং চেইন হারিয়ে ফেলেছিল। একটি ছেলে সেই চেইন এবং লকেট পেয়েছিল। নীলিমার মন খারাপ থাকার কারণে সে বিয়েতে যায়নি কিন্তু নতুন বউ দেখার জন্য গিয়েছিল এরপর কি হয়েছে তা জানার খুবই আগ্রহ জাগছে। অপেক্ষায় থাকলাম।
বিয়ে বাড়িতে সাজগোজ করে না এমন মানুষ খুবই কম দেখা যায়। নীলিমা অনেক সুন্দর ভাবে এসেছে জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। তার চিন্তা হারিয়ে গিয়েছে জেনেও ভীষণ খারাপ লাগলো। আসলেই বিয়ে বাড়িতে গেলে অনেক ধরনের জিনিস হারিয়ে যায়। চেনটা পেলেও লকেটটা হারিয়ে ফেলেছে তার জন্য নীলিমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল। তবে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আজকের পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
হঠাৎ দেখা, গল্পটির প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। আজ আবার দ্বিতীয় পর্বটির সৌভাগ্য হল। যাক অবশেষে আবারো হলুদের প্রোগ্রামে নীলিমার সাথে ওই ছেলেটির দেখা হয়ে গেল। এবং শেষ পর্যন্ত ওই ছেলেটি কিভাবে যেন নীলিমার ফোন নম্বরও নিয়েছে। এভাবে তাদের হঠাৎ দেখা ধীরে ধীরে সামনে অগ্রসর হচ্ছে, দেখা যাক পরবর্তী পর্বে নীলিমা ও ওই ছেলেটির জন্য কি অপেক্ষা করছে। আপনার সুন্দর গল্পটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।