আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি , কয়েকটি ভিন্ন ধরনের আম নিয়ে। আম গুলি মূলত আমার দাদা আমার জন্য পাঠিয়েছে। আম খেতে আমি একেবারেই পছন্দ করি না, তবুও বাড়ির লোকেদের চাপে একটু আধটু খেতে হয়। এইগুলো একটু করে টেস্ট করে দেখতেই হবে, তার নিজের লাগানো গাছের আম বলে কথা । তারপর আবার এত দূর থেকে পাঠিয়েছে , খেতে তো হবেই। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক ভিন্ন ধরনের আমগুলি।

প্রথমেই আম নিয়ে বেশ কয়েকটা পোজ দিয়ে, ফটো তুলে দাদাকে পাঠাতে হয়েছিল। সে দেখে খুবই খুশি হয়েছিল, হি হি হি।

এখানে তিনটি বা চারটি প্রজাতির আম রয়েছে ।সবগুলোই নাকি, দাদার নিজের হাতে লাগানো গাছের আম। কিছুদিন আগে যখন আমের সবে ফলন শুরু হয়েছিল, তখন সে ফটোগ্রাফি করে আমাকে পাঠিয়েছিল। আর বলেছিল আমার জন্য নাকি এর থেকে আসবে, আজ বৌদিকে দিয়ে সেগুলো পাঠিয়েই দিল।

এটি হলো ব্যানানা ম্যাংগো। এই আমি এর আগে কখনো দেখিইনি আর খাওয়া তো দূরে থাক। খুবই সুস্বাদু এই প্রজাতির আমটি আজকে খেয়ে দেখলাম। ভেতরে পুরোটাই শ্বাসে ভরা, রসালো এবং খুবই মিষ্টি।

এটি হলো সুরমা ফজলি, আবার এটি চিনি ফজলি নামেও পরিচিত। এত বড় সাইজের আম আমি প্রথমবারই দেখলাম ,এই আমের ভিতরে কোন আঁশ নেই।এক একটি আম খুবই বড় সাইজের হয়, তা নিশ্চয়ই আপনারা দেখেই বুঝতে পারছেন। এর এক একটি আম প্রায় এক থেকে দেড় কেজি ওজনের হয়। তাহলে একবার ভেবেই দেখুন কতটা বড়! খুবই সুস্বাদু, প্রচন্ড রসালো আর খুবই মিষ্টি প্রজাতির আম এটি।

এটি হলো হাঁড়ি ভাঙ্গা আম। এটিও আমি প্রথমবারের মতন দেখলাম এবং খেলাম। এটিও অত্যন্ত মিষ্টি প্রকৃতির এবং খুবই সুগন্ধ যুক্ত। খুবই ভালো লাগছিল প্রথমবারের মতন এই প্রজাতির আম খেয়ে।

এটি হলো হিমসাগর আম। এটি আমাদের সকলেরই অতিপরিচিত একটি আমের প্রজাতি। এই আম সম্পর্কে আর আলাদা করে কিছু বলার নেই। কারন আমরা সকলেই জানি ,হিমসাগর খুবই সুস্বাদু প্রজাতির আম।

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি । ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে , আবারও নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।