|| রেসিপি: মোচার ঘন্ট ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমার তৈরি একটি রেসিপি নিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে মোচা খেতে ইচ্ছে করছিল। তবে সময়ের অভাবে তৈরি করা হয়ে উঠছিল না। তবে গতকাল রাতে বাবা দেখলাম একটা মোচা কিনে নিয়ে এসেছে। তখন ভাবলাম সকালেই রেসিপিটি তৈরি করব। আর আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। তবে মোচা কাটা যেহেতু একটু ঝামেলার বিষয়, তাই রাতেই কেটে রেখেছিলাম। আমার প্রিয় নিরামিষ রেসিপিগুলোর মধ্যে এটি একটি। তবে এই রেসিপিটি আমি মাঝে মধ্যে চিংড়ি মাছ দিয়েও করি। কিন্তু আজকের রেসিপিটি পুরোপুরি নিরামিষ ভাবেই তৈরি করেছি আমি।চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
এটি হলো আমার আজকের তৈরি রেসিপি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মোচা | ১টি |
আলু | ২টি |
আদা | এক টুকরো |
কাঁচা লঙ্কা | ১০ টি |
জিরে গুঁড়ো | ১ চামচ |
লবণ | পরিমাণ মতো |
হলুদ | ১চামচ |
শুকনো লঙ্কা | ২টি |
ধোনে গুঁড়ো | ১টি |
গরম মশলা | ১চামচ |
পাঁচ ফোড়ন | ১চামচ |
ঘি | ১চামচ |
সাদা তেল | পরিমাণ মতো |
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমেই নিয়ে নিয়েছে আমার প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি - মোচা,আলু, আদা, কাঁচা লঙ্কা ,লবণ , হলুদ,শুকনো লঙ্কা, ধনে গুঁড়ো, গরম মসলা ,পাঁচফোড়ন , ঘি আর তেল।
এবার কড়াইতে বেশ কিছুটা জল দিয়ে মোচা সিদ্ধ করে নিয়েছি। তারপর একটি থালাতে নামিয়ে রেখেছি জল ঝরানোর জন্য।
তারপর কড়াইতে দিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো তেল। তেল গরম হয়ে গেলে, দিয়ে দিয়েছি ফোরনের জন্য শুকনো লঙ্কা আর পাঁচফোড়ন । তারপর সেগুলো একটু ভাজা ভাজা হয়ে গেলে দিয়ে দিয়েছি টুকরো টুকরো করে কেটে রাখা আলু।
আলু ভাজা হয়ে গেলে তাতে দিয়ে দিয়েছি আদা বাটা । তারপর কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিয়েছি সেদ্ধ করে রাখা মোচা। তারপর তাতে দিয়ে দিয়েছি কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কা । তারপর দিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মত লবণ।
তারপর তাতে দিয়ে দিয়েছি সামান্য চিনি ,হলুদ গুঁড়ো ,জিরা গুঁড়ো আর ধনে গুঁড়ো।
তারপর সমস্ত উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে দিয়ে দিয়েছি সামান্য পরিমাণ জল। জল ফুটে উঠলে তাতে দিয়ে দিয়েছি গরম মসলা গুঁড়ো । তারপর বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিয়েছি এক চামচ ঘি। আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের রেসিপি।
তারপর একটি থালাতে নামিয়ে রেসিপিটি পরিবেশন করে নিয়েছি।
পোস্ট বিবরণ | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | realme 8i |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
মোচার ঘন্ট তৈরি করতে বেশ অনেক ধরনের উপাদান লাগে দেখছি। মোচার ঘন্ট আমার বেশ ভালোই লাগে। তবে বাড়িতে থাকতে খাওয়া হতো আমার মা তৈরি করত। কিন্তু এখানে এসে হয় না। আপনার মোচার ঘন্টের ফাইনাল লুকটা বেশ অসাধারণ ছিল। লোভনীয় লাগছে। দারুণ তৈরি করেছেন রেসিপি টা দিদি। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। একেবারে বাঙালিয়ানা খাবার এটা।।
আসলেই ভাই ,বাড়িতে থাকলে এই ধরনের রেসিপিগুলো খাওয়া হয়। কিন্তু বাইরে থাকলে এগুলো সবসময় খাওয়া হয়ে ওঠেনা। যাইহোক, ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এ রেসিপিটার নাম অনেক শুনেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি, আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পুরো প্রসেসটা জেনে নিলাম রান্না করার রেসিপিটি, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম চমৎকার একটি খাবারের রেসিপি আমাদেরকে উপহার দেয়ার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ,আপনার কাছ থেকে সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম।
আপু আজ আপনার মতো আমিও মোচার ঘন্ট রান্না করতে চেয়েছিলাম কিন্তু দাওয়াত ছিল বলে আর রান্না খাওয়াও হলো না। আপনার মোচার ঘন্ট দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি যেহেতু বাসায় মোচা রয়েছে তাহলে কালকেই রান্না করবো। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনি আমার রেসিপিটি দেখে এইভাবে মোচা রান্না করবেন জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কলার মোচার এই রেসিপিটা আমার কাছে বেশ মজা লাগে যদিও অনেকদিন খাওয়া হয় না তবে আপনার শেয়ার করা এই রেসিপি দেখে আবার টেস্ট মনে পড়ে গেল। মজাদার এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার কাছেও কলার মোচার এই রেসিপিটা খেতে ভালো লাগে জেনে ,ভালো লাগলো।
আসলে অঞ্চল ভেদে খাবারের অনেক প্রচলন রয়েছে।
আমাদের এদিকে অবশ্য কলার মোচা এর রেসিপি খুব জনপ্রিয়।
আপনার প্রস্তুত করা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছিল।
রেসিপি প্রস্তুত এর ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
কলার মোচার রেসিপিটা আমার খুব প্রিয়। আর এই রেসিপিটা আপনাদের ওই দিকে খুব জনপ্রিয় জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আশা করি দিদি ভালো আছেন? আপনার মোচার ঘন্ট কে আমাদের এদিকে মোচার ভাজি বলে থাকে। বেশ সুন্দর মোচার ভাজি করেছেন। মোচার ঘন্ট গরম ভাতের সাথে খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। বিভিন্ন রকম মসলার উপাদান দেওয়াতে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে নিশ্চয়। কয়েকদিন আগে আমাদের বাসায় মোচার ঘন্ট তৈরি করেছে। আমার কাছে খেতে বেশ দারুন লেগেছে। আপনার চমৎকার মোচার ঘন্ট রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ও আচ্ছা, মোচার ঘন্টকে তাহলে আপনাদের ওদিকে মোচা ভাজি বলে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু যখন আমার নানা নানী বেঁচে ছিল তখন প্রায় দিনে এই ম কলার মোচা রান্না করতো। খেতে খুব সুস্বাদু লাগতো। অনেক বছর পরে আমি এই কলার মোচা রান্না করে খেয়েছি। খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। আপনি আজকে মোচার ঘন্ট তৈরি করেছেন এবং তৈরি ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই এই কলার মোচা খেতে খুব সুস্বাদু লাগে ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি খুব লোভনীয় একটি মোচার ঘন্ট রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আপনার কাছ থেকে সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম।
দিদি মোচার ঘন্ট তো আমার খুবই পছন্দের। তবে ঢাকাতে আসার পরে খাবারটি অনেক মিস করি। মোচা কাটতে যেমনটা সময় লাগে আবার রান্না করতেও বেশ সময় লাগে। তবে পূজার ভিতর বাড়িতে গেলে অবশ্যই মোচার ঘন্ট আবার খাতে পারবো। আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
হ্যাঁ ভাই, এই রেসিপিটা তৈরিতে একটু ঝামেলা আছে। কারণ মোচা কাটতে এবং রান্না করতে বেশ সময় লাগে। যাইহোক, ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
নিরামিষ মোচার ঘন্টা অমৃত সমতুল্য। মোচার ঘন্ট হলে আর কিছুর দরকার পরে না।আপনার মোচার ঘন্টা খুব সুন্দর হয়েছে। দেখতে যেমন লোভনীয়। খেতেও মজা বুঝতে পারছি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।সব মিলিয়ে অসাধারণ রেসিপি পোস্ট আপনার।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমারও তাই আপু, নিরামিষ রেসিপি গুলির মধ্যে মজার ঘন্ট হলে আর কিছুই লাগেনা । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।