"সঞ্জিৎ দার " হোটেলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমষ্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি ।সকলের সুস্থতা কামনা করেই ,আমার আজকের পোস্টটি শুরু করতে চলেছি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকের পোস্টটির বিষয়বস্তুটা অন্যদিনের তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন ধরনের। আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব, সঞ্জীৎ দার হোটেলে খেতে যাওয়ার ঘটনা। এই সঞ্জীৎ দা আসলে কে? এটাই ভাবছেন নিশ্চয়ই। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সঞ্জীৎ দার পরিচয়।

ইনি আসলে খুব ছোটখাটো একটি হোটেলের মালিক। কিছুদিন আগে টিভির পর্দায় ,ঘরে ঘরে জি বাংলা তে, আমাদের সকলের প্রিয় অপরাজিতা আঢ্য, এনার এই হোটেলে পৌঁছে গিয়েছিলেন, মুলত সেখান থেকেই এই হোটেলের কথা জানতে পেরেছিলাম। এছাড়াও বহু ইউটিউবার, প্রায় এনার হোটেলে গিয়ে থাকেন এবং সেখান থেকে ব্লগিং করে ইউটিউবে সেগুলি পোস্ট করে থাকেন । মূলত সেগুলি থেকেই আমি জানতে পারি এই হোটেলের খাবার খুবই সুস্বাদু, প্রায় প্রতিনিয়ত কয়েকশো মানুষ এখানে খেতে যায়, তাই তখন থেকেই মনে মনে ঠিক করে নিয়েছিলাম, একদিন সঞ্জীৎ দার হোটেলে খেতে যেতেই হবে। তাই বেশী দেরি না করে,গতকাল সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম।

InShot_20230702_214917180.jpg


বাড়ী থেকে বেরিয়ে প্রথমে ট্রেনে করে দমদম পর্যন্ত গিয়েছিলাম, তারপর দমদম থেকে মেট্রো ধরে শহীদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছানোর পর ৫ মিনিটের পায়ে হাটা রাস্তা ধরে পৌঁছে গিয়েছিলাম জনপ্রিয় সঞ্জীৎ দার হোটেলে। তাহলে বুঝতেই পারছেন নিশ্চয়ই ,কতটা দূরত্ব অতিক্রম করে এই জনপ্রিয় হোটেল টিতে খেতে গিয়েছিলাম। এতটাই উৎসাহিত ছিলাম যে মেট্রো স্টেশন থেকে নামার পর রাস্তায় যাওয়ার সময় ,নিজের একটি ফটো তুলে নিয়েছিলাম, হি হি হি।

InShot_20230702_213722142.jpg


প্রথমেই সেখানে পৌঁছে গিয়ে আমি খুব সহজ সরল ,সঞ্জীৎ দার সাথে একটি ফটো তুলে নিয়েছিলাম। তিনি যে অত্যন্ত সাদা সিধে আর ভালো মানুষ তা নিশ্চয়ই আপনারা, তার ছবিটি দেখে বুঝতে পারছেন।

IMG_20230702_213428.jpg


এই পোস্টারটিতে, ঘরে ঘরে জি বাংলার থেকে আগত অপরাজিতা আঢ্য এর সাথে তার পুরো পরিবারের কয়েকটি ফটো রয়েছে। সেগুলোই আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।

IMG_20230702_213402.jpg


এই পোস্টারটিতে আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন ,এই হোটেলে সকালের টিফিন আর দুপুরের খাবার পাওয়া যায় । তার সাথে নীচে ফোন নাম্বারটিও দেওয়া আছে।

IMG_20230702_213340.jpg


উপরের এই পোস্টারটিতে আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন একজন ইউটিউবার গিয়ে এখানে ব্লগিং করেছিলেন। আমরা সঞ্জিৎ দার কাছে জানতে পারি, এরকম প্রায়ই নাকি বহু ইউটিউবার ব্লগিংয়ের জন্য তার এখানে গিয়ে থাকেন।

IMG_20230702_212834.jpg


IMG20230629145542.jpg


IMG20230629145536.jpg


IMG_20230702_213116.jpg


আমরা মূলত - সাদা ভাত, মুড়িঘন্ট ডাল, আলু ভাজা, পটল চিংড়ি, সুক্ত, রুই মাছ আর মাছের মাথা, মটন কষা , চাটনি আর পাপড় অর্ডার করেছিলাম। প্রত্যেকটা খাবারই এত বেশি পরিমাণে সুস্বাদু ছিল, যে বলে বোঝাতে পারবো না। এর আগে পর্যন্ত, আমার ধারণা ছিল হোটেলের খাবার খেতে খুবই জঘন্য হয়। কিন্তু হোটেলে যে এত টেস্টি বিয়ে বাড়ির মতন খাবার পাওয়া যায় ,সেটা হয়তো এই হোটেলে না খেলে আমি বুঝতেই পারতাম না। এরকম আরো কয়েকটি কলকাতায় বিখ্যাত হোটেল রয়েছে ,সেখানেও পরবর্তীতে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে এই হোটেলে খাওয়ার পর থেকে।

এখানে মূলত ,প্রতিনিয়ত ১৫ থেকে ২০ টি খাবারের আইটেম করা হয়। সেখানে কর্মরত কয়েকজন ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানতে পারলাম, প্রতিদিন নাকি এখানে খাবার খাওয়ার জন্য প্রচুর লোকের লাইন পরে । এটা অবশ্য আমাদের সাথেও কিছুটা ঘটেছিল, আমরা যখন গিয়েছিলাম প্রায় বিকেল হয়ে গিয়েছিল তা সত্ত্বেও বেশ কিছু লোকের লাইন ছিল ।সেগুলি পার করেই আমাদেরকে পৌঁছাতে হয়েছিল। এখানে গিয়ে মূলত ,বেশিরভাগই অফিসে কর্মরত ব্যক্তিদের কেই খেতে আসতে দেখেছিলাম।

যাই হোক ,আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি ।আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে খারাপ লাগবে না । ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন । দেখা হবে পরবর্তীতে ,আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।

ডিভাইসrealme 8i
ফটোগ্রাফার@pujaghosh

Sort:  
 last year 

খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত গুলো খুব সুন্দরভাবে অতিবাহিত করেছেন ‌‌‌। এতো রকমে খাবার দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। মাছের মাথা খেতে খুবই মজা। মুড়িঘন্ট আর পাপড় খাওয়ার অনুভূতি সত্যি খুব অসাধারণ। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

আমার পোস্টটি পড়ে, সুন্দর একটি প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য ,অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

!upvote 40


This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven. Your post was promoted on Twitter by the account josluds

the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 160%

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@xpilar.witness

We are the hope!

 last year 

সঞ্জিৎ দার রেস্টুরেন্টে দেখতে পাচ্ছি অনেক খাবারের আইটেম পাওয়া যায়। একটা রেস্টুরেন্টে যদি ১৫ থেকে ২০ টি আইটেম পাওয়া যায় তাহলে আর কোনো কিছু দরকার হয়না। মনে হচ্ছে আপনাদের এখানের বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট। খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ আপু সঞ্জিৎ দার রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

 last year 

হ্যাঁ আপু, তা ঠিক বলেছেন একটা রেস্টুরেন্টে যদি এতগুলো খাবারের আইটেম থাকে তাহলে আর কি বা দরকার হয়? ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

সঞ্জিত দার রেস্টুরেন্টে প্রতিনিয়ত কয়েকশো মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয় এটা শুনেই তো হতবাক হয়ে যাচ্ছি আপু। একটি রেস্টুরেন্টের খাবারের গুণগত মান এবং স্বাদ যদি অতুলনীয় হয় তবেই না এত লোকের সমাগম ঘটে। সেদিক থেকে বেশ বুঝতে পারছি সঞ্জীত দার রেস্টুরেন্ট কতটা খ্যাতিসম্পন্ন। আর পরিবেশনের প্লেট দেখে তো মনে হচ্ছে, কব্জি ডুবিয়ে খেয়ে আসি। যাক আমার তো আর খাওয়ার সুযোগ নেই, তাই আপনি খেয়েছেন ও স্বাদ পেয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। সঞ্জিতদার হোটেলে গিয়ে খাওয়ার মুহূর্তটুকু খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

হ্যাঁ ভাই খাবারের সুনাম না থাকলে, সেখানে প্রচুর মানুষ খেতে যেত না। ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আমরা মূলত - সাদা ভাত, মুড়িঘন্ট ডাল, আলু ভাজা, পটল চিংড়ি, সুক্ত, রুই মাছ আর মাছের মাথা, মটন কষা , চাটনি আর পাপড় অর্ডার করেছিলাম।

এত খাবার একসাথে খেয়ে শেষ করতে পেরেছো...?😰

যাইহোক জি বাংলা সেখানে পৌঁছে গেছে মানেই খাবারের টেস্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। দেখি আমি যদি কখনো সময় সুযোগ পাই তাহলে তোমার এই সঞ্জিৎ দার দোকানের খাবার অবশ্যই ট্রাই করবো। আর তোমার আজকের লেখাটা কিন্তু খুব ভাল ছিল।

 last year 

একটু করে খাচ্ছিলাম আর দৌড়াদৌড়ি করে হজম করে নিচ্ছিলাম ।সেই জন্য এত খাবার একসাথে শেষ করে আসতে পেরেছি।

সত্যিই খাবারের অনেক বেশি পরিমাণে স্বাদ ছিল । গিয়ে একবার খেয়ে এসো, ভালো লাগবে।

 last year 

এমন জনপ্রিয় জায়গায় গিয়ে খেতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে অনেক জায়গার হোটেল গুলো ভাইরাল হচ্ছে। ঐসব জায়গায় গিয়ে খেতে সত্যিই দারুণ লাগে। কারণ এমনি এমনি তো আর ভাইরাল হয় না। খাবারের কোয়ালিটি ভালো বিধায় ভাইরাল হয়। যাইহোক সঞ্জিৎ দার হোটেলে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন আপু। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। সঞ্জিৎ দা কে দেখেই মনে হচ্ছে খুব সহজ সরল। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

হ্যাঁ ভাই, ঠিক বলেছেন খাবারের কোয়ালিটি ভালো বলেই অনলাইনের মাধ্যমে এগুলো আজকাল ভাইরাল হচ্ছে। হ্যাঁ, উনি খুবই সহজ সরল।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56690.25
ETH 2380.35
USDT 1.00
SBD 2.33