// রেসিপি//কাঁকড়ার চপ//
নমস্কার বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি চপ রেসিপি নিয়ে। আপনারা সকলেই জানেন ইতিমধ্যেই আমার বাংলা ব্লগের পক্ষ থেকে একটি ইউনিক মাছের চপ তৈরির কনটেস্টের আয়োজন করা হয়েছে। মূলত সেই কনটেস্টেই অংশগ্রহণ করার জন্য ,আমার আজকের ইউনিট চপ রেসিপি তৈরি করেছি। আমরা সকলেই জানি মাছে ভাতে বাঙালি, বাঙালির পাতে মাছ ছাড়া ঠিক মানায় না। আর সেই মাছ দিয়েই যদি অন্যরকম কিছু করা যায় ,তাহলে ক্ষতি কি? তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি , কাঁকড়ার চপ রেসিপি নিয়ে।
কাঁকড়া সবসময় বাজারে পাওয়া যায় না। তবে খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ,বলতে পারেন প্রিয় মাছ এদের মধ্যে একটি। কিন্তু আমাদের এখানে যেহেতু সবসময় এটি পাওয়া যায় না, তাই স্বাভাবিকভাবেই খুবই কম খাওয়া হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার দিন যখন দেখলাম ইউনিক মাছের চপ রেসিপি আয়োজন করা হয়েছে ,তখন ঠিক করে নিলাম কাঁকড়ার চপ তৈরি করব। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই বাজারে এটি দেখতে পাইনি ,তাই তৈরি করা হয়ে ওঠেনি। তবে যেহেতু এই রেসিপি তৈরি করব বলে ঠিক করেছি, তাই গতকাল সকালে অনেক জায়গা ঘুরে ঘুরে এই কাঁকড়া জোগাড় করেছিলাম। আর তারপর চপ তৈরি করে ফেলেছিলাম। আশা করি রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তবে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
এটি হল আমার আজকের তৈরি রেসিপি, কাঁকড়ার চপ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কাঁকড়ার ঘিলুসহ মাছ | ২৫০ গ্রাম |
পিঁয়াজ | ২ টি |
হলুদ | ১ টেবিল চামচ |
জিরে গুঁড়ো | ১ টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১ টেবিল চামচ |
গরম মসলা গুঁড়ো | ১ টেবিল চামচ |
সরিষার তেল | ২৫০ গ্রাম |
কাঁচা লংকা কুচি | ২টেবিল চামচ |
রসুন | ছোটো সাইজের ১টি |
লবণ | পরিমাণ মত |
লেবু | ১ টি |
শসা | ১ টি |
টমেটো | ১টি |
ধনে পাতা | ৫টি |
রন্ধন প্রণালী
প্রথমেই বাজার থেকে কাঁকড়া গুলোকে কিনে এনে তার পা গুলোকে কেটে, জলের মধ্যে তিন থেকে চার ঘন্টা ভিজিয়ে, ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিয়েছিলাম ,যাতে সেটা নরম হয়ে যায়। তিন থেকে চার ঘন্টা পর বার করে একটি প্লেটে নামিয়ে নিয়েছি।
এখানে নিয়ে নিয়েছি চপ তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি, যার মধ্যে রয়েছে- পিয়াঁজ, হলুদ ,জিরেগুঁড়ো ,আদা বাটা ,গরম মসলা গুঁড়ো, সরিষার তেল, কাঁচালঙ্কা কুচি, রসুন, লবণ ,লেবু ,শশা, টমেটো আর ধনেপাতা। এরপর শসা ,টমেটো ,কাঁচালঙ্কা ,ধনেপাতা কেটে নিয়েছি আর পিয়াঁজ, রসুন ,আদা ছোট ছোট করে কুচিয়ে নিয়েছি।
তিন থেকে চার ঘন্টা পর কাঁকড়া গুলি নরম হয়ে আসলে ,ফ্রিজ থেকে সেটাকে বার করে খোলা ছাড়িয়ে তার থেকে ঘিলু আর মাছ বার করে নিয়েছি।
কাঁকড়ার ঘিলু আর মাছটাকে একটি বাটিতে নামিয়ে তার মধ্যে প্রথমেই দিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো লবণ।
এরপর দিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো হলুদ।
তারপর দিয়েছি কুচিয়ে রাখা পিয়াঁজ, জিরেগুঁড়ো, গরম মসলার গুঁড়ো আর লঙ্কাগুঁড়ো।
এরপর দিয়ে দিয়েছি কাঁচা লঙ্কা কুচি।
এরপর দিয়ে দিয়েছি আদা বাটা আর রসুন কুচি।
সব উপকরণ গুলিকে একসঙ্গে, খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
এবার চপ ভাজার জন্য একটি ফ্রাইং প্যান এর মধ্যে পরিমাণ মতো সরষের তেল দিয়ে দিয়েছি।
তেল গরম হয়ে গেলে, একসঙ্গে মাখিয়ে রাখা পুরটাকে ,গোল গোল বলের আকৃতি করে কড়াইতে ভাজার জন্য দিয়ে দিয়েছি।
চপ গুলোকে ভাজা হয়ে গেলে একটি প্লেটে নামিয়ে নিয়েছি। যেহেতু এই চপ তৈরিতে শুধুমাত্র কাঁকড়ার স্বাদটাকে ধরে রাখার জন্য আমি কোনো প্রকার আলু ব্যবহার করিনি, তাই চপের আকৃতিটা খুব সুন্দরভাবে তৈরি করতে পারিনি। তবে সত্যি বলতে চপগুলো খেতে অসাধারণ হয়েছিল। এত ভালো লাগবে আমি নিজেও বুঝতে পারিনি।
এবার চপগুলোকে একটি প্লেটে নামিয়ে নিয়ে ,সুন্দর করে ডেকোরেশন করে নিয়েছি আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেছে আমার আজকের ইউনিক চপ রেসিপি।
ডিভাইস | realme 8i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @পূজা ঘোষ |
লোকেশন | বারাসাত |
শ্রেণী | ইউনিক মাছের চপ রেসিপি |
আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
কাঁকড়ার চপ রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেকে ধন্যবাদ আপু। রেসিপি পরিবেশন অসাধারণ হয়েছে।
আমার তৈরি করা চপ রেসিপিটি আপনার কাছে সুস্বাদু মনে হয়েছে ,জেনে অনেক খুশি হলাম ।ধন্যবাদ আপনাকে।
কাকড়া আমি কখনো খাইনি। এজন্য কাঁকড়া সম্পর্কে কোন আইডিয়া নেই। কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। কাঁকড়া যারা পছন্দ করে তাদের জন্য খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। প্রতিটি ধাপ দেখে বোঝা যাচ্ছে যে খেতে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল। দেখতেও সেরকম লোভনীয় লাগছে।
আপনি কখনো কাঁকড়া খাননি তবে কাঁকড়া খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ দারুন তো চপ তৈরি করে নিলেন আপনি কাঁকড়া দিয়ে দেখেতো মনে হচ্ছে বেশ মজার হয়েছিল। আপনার চিন্তাভাবনার খুব ইউনিক ছিল। তবে আমাদের কারো মাথায় সেই ইউনিক চিন্তা আসেনি। একদম পাঠিয়ে দিলেন আপু আপনি কাঁকড়ার চক রেসিপি শেয়ার করে। আপনি সুন্দর করে তৈরি করলেন অনেক কষ্ট করে সংগ্রহ করলেন। আমি আজকেই প্রথম দেখেছি কাঁকড়ার চপ বানানোর রেসিপি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি প্রথমবারের মতো কাঁকড়ার চপ রেসিপি বানানো দেখলেন জেনে খুশি হলাম আপু ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেক ছোটবেলায় একদিন খেয়েছিলাম কাকড়া। স্বাদ টা একদম মনে নেই। সবার কাছে শুনি বেশ ভালো খেতে। আসলে আমাদের এদিকে তো কেউ খায় না খুব একটা, তাই খাওয়া হয় না। আজ অনেক দিন পর কাকড়ার কোন রেসিপি দেখলাম । সত্যি বলছি কয়েক বার ঢোক গিলে ফেললাম । বেশ লোভ লেগে গেছে। কেন যে এত মজাদার খাবারের কনটেস্টের আয়োজন করে 😥😥😥। বাড়ির আশে পাশে হলেও না হয় খেয়ে আসতাম গিয়ে। কি আর করার, খালি মুখেই শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম প্রতিযোগিতার জন্য।
হা হা হা.........
আমার তো কাঁকড়া খেতে খুবই ভালো লাগে, তবে আমাদের এইদিকেও খুব একটা বেশি পাওয়া যায় না। আপনি তাহলে যখন এই দেশে আসবেন তখন আপনাকে কাঁকড়ার চপ বানিয়ে খাওয়ানো হবে।