|| স্বরস্বতী পুজোয় কাটানো কিছু মুহূর্ত ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি স্বরস্বতী পুজোয় কাটানো কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। চলুন তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
আমরা সকলেই জানি, গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজো ছিল।একইসাথে ছিল ভ্যালেন্টাইন্স ডে আর ব্ল্যাক ডে।যাইহোক, অন্য দুটো ডে আমি পালন করিনি, যেটা পালন করেছি সেটা বিষয়েই বলি, হি হি হি। স্বরস্বতী পুজো মানেই ছাত্র - ছাত্রীদের অঞ্জলী দেওয়ার একটা একটা ঝোঁক থাকেই। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান করে চলে গেলাম অঞ্জলী দিতে। তবে এবছর আমার বাইরে ঘুরতে বেরোনোর কোনো প্ল্যান ছিল না। তাই সেরকম বিশেষভাবে দিনটা কাটেনি। যাইহোক, প্রতিবছর আমার এক বান্ধবী চলে আসে একসাথে অঞ্জলী দেওয়ার জন্য। তারপর আমরা দুজন একসাথে বেরিয়ে যায় শাড়ি পড়ে। কিন্ত, এবছর তারও তার বিশেষ মানুষের সাথে বেরোনোর প্ল্যান ছিল তাই আমি আর বের হয়নি। অঞ্জলী দিয়ে বাড়ির বড়োদের সাথে সময় কাটিয়েছিলাম।একটু একটু খারাপ লাগছিল ঘুরতে না বেরোনোর কারণে, পরে অবশ্য ঠিক হয়ে গেছিল।
যাইহোক, বিদ্যার দেবী স্বরস্বতী তার পুজোর অঞ্জলী দেওয়ার আগ্রহ আমার সবসময় থাকে।আবার ছোটবেলা থেকে প্রচলিত, স্বরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া যাবে না, হি হি হি। বড়ো হইয়েও কখনও কুল খাইনি স্বরস্বতী পুজোর আগে, যদি আবার পরীক্ষার খাতায় বড়ো বড়ো দুটো কুল পাই এই ভয়ে, হি হি হি।সকাল ৯ টায় পুজো হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ঠাকুরমশাই প্রায় ১০ টায় এসেছিলেন। তারপর সবাই মিলে অঞ্জলী দিতে বসলাম। অঞ্জলী দেওয়া হয়ে গেলে,ঠাকুরের কিছু ফোটোগ্রাফি করেছিলাম আর সেই সাথে নিজেদেরও। তার মধ্যে থেকেই কিছু ফটো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।তারপরেই বহু অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগে কুল খেলাম বেশ কয়েকটা। তারপর প্রসাদ খাওয়ার পর, বান্ধবী ঘুরতে বেরিয়ে গেলো আর আমি বাড়ির আশেপাশে একটু ঘোরাঘুরি করে ঘরে চলে আসলাম। তারপরেই আবার আমার ডাক পড়ল।
আশেপাশের বাড়ি থেকে প্রসাদ আনার জন্য।সেখানে গিয়ে দেখি একটা বাড়িতে সুন্দর কিছু ফুল ফুটেছে, সেগুলো দেখেই আবার মোবাইলটাকে দৌঁড়ে এসে নিয়ে গেলাম।তারপরেই কিছু ফুলের ফোটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। সেগুলো অন্যদিন শেয়ার করবো। যাইহোক, দিনটা এবছর মোটামুটি খারাপ যায়নি। আবার খুব বেশি ভালোও যায়নি। আশা করছি পরের বছর খুব আনন্দ করে এই দিনটা কাটাতে পারব।
| পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
|---|---|
| ডিভাইস | poco m6 pro |
| ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
🪔আমার পরিচয়🪔
আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।
🎯 সমাপ্ত🎯
এবারে সরস্বতী পূজাতে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো দিদি। যাই হোক পুজোর আগে কুল খান না এর কারণটা জানতে পেরে বেশ হাসি পাইলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।
না ভাই,এবারে সরস্বতী পুজোতে খুব বেশি সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করিনি। আসলেই আমি,সরস্বতী পুজোর আগে কখনো কুল খাইনি।
স্বরস্বতী পুজোয় বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনি। প্রতিমা গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আপনার স্বরস্বতী পুজোয় কাটানো কিছু মুহূর্তের অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমার সরস্বতী পুজোর অনুভূতি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই ।ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি, গত বছরের সরস্বতী পুজোতে আমি বের হয়নি। তবে এই বছর সরস্বতী পুজোয় কিছু সময়ের জন্য বেরিয়েছিলাম আর কি। তবে তুমি যে সরস্বতী পুজোর দিন বেরোতে পারোনি, এটা জেনে অনেক খারাপ লাগলো। আর ওই বরই খাওয়ার ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল। তবে আমি যখন গ্রামে থাকতাম তখন সরস্বতী পুজোর আগেই বরই খেয়ে নিতাম। তবে তোমার পোস্ট পড়ে বোঝা যাচ্ছে যে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছো বাড়ি থাকলেও, পুজোর এই সময়টাতে। আর তাও তো তোমাদের ওখানে অনেক তাড়াতাড়ি ঠাকুর এসেছিল, আমাদের এখানে তো বারোটার দিকে এসেছিল মনে হয়।
আমি এখনো পর্যন্ত কখনো সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাইনি দাদা। তোমাদের ওখানে তো তাহলে ঠাকুর মশাই অনেক দেরি করে গেছিল।
বাহ্! বেশ ভালো ব্যাপার দিদি।