স্বরচিত কবিতা " পথের ঠাকুর "
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আস্তে আস্তে তো প্রতিদিন ঠান্ডা বেড়েই চলেছে। সবাই সাবধানে থাকবেন। ভালো থাকবেন এই কামনা করি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে নিজের লেখা একটি কবিতা শেয়ার করবো। যদিও জানিনা সেটা পড়ার যোগ্য হয়ে উঠবে কিনা। তাও যতটা পারলাম চেষ্টা করলাম। আপনাদের যদি কোথাও মনে হয় ভুল হয়েছে অবশ্যই সেটা ধরিয়ে দেবেন।
আজ আমার কবিতার মূল বিষয়বস্তু হলো পথের ধারে পড়ে থাকা ঠাকুর। যেগুলো দেখলে অনেক মায়া জড়ানো মনে হয়। পূজোর দিনগুলোতে আমরা সকলেই সেই দেব দেবীর আরাধনাতে মেতে উঠি। কিন্তু পূজোর পরে সেই দেব - দেবীই পড়ে থাকে পথের ধারে। এটা অবশ্য সবসময় সংরক্ষিত রাখা সম্ভব না। এতো বড় বড় মূর্তি প্রতিমা কিভাবে রাখা সম্ভব। তাই বাধ্য হয়েই পথের ধারে রাখতে হয়। আবার অনেক দেব- দেবীর বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হয়। যেগুলো বিসর্জন দেওয়া হয় সেগুলো তো আর দেখা যায় না পরে কিন্তু যেই দেব দেবীদের বিসর্জন দেওয়া হয় না সেইগুলো তো আমরা পরেও দেখতে পাই। পূজোর দিনগুলোতে মায়ের মুখে যেন একটা অদ্ভুত চমক দেখা যায়। যেন তারা স্বয়ং তার মধ্যে বিরাজ করে। পূজোর পরে যেন সেই প্রতিমার মধ্যের চমকটা কোথাও হারিয়ে যায়। দেবী আর ওই মূর্তির মধ্যে থাকে না । কিন্তু যেইদিন গুলো থাকে সেই দিন গুলো আমরা সকলে উৎসবের আনন্দে মেতে উঠি। আজ এই বিষয়েই একটি কবিতা লেখার চেষ্টা করলাম।
পথের ঠাকুর
পূজো শুরু পূজো শেষ
বিসর্জিত আমি,
কপালে মুখে সিঁদুর দিয়ে লাল করে ,
মুখে গাদি গাদি মিষ্টি গুঁজে আমার বিসর্জন ।
আঁচল পেতে সকল সুখ টুকু চেয়ে নিল ,
স্বামী, সন্তান,সংসার, স্ব,সব সব।
মাথাটা আমার পায়ে বারবার ঠেকে
দুচার ফোঁটা অশ্রু দিয়ে বিসর্জন।
কী নাচন রে তোদের,
দুহাত তুলে আবার ডাকছিস
আবার এসো, আবার এসো..
রীতি মেনে উলু দিয়ে শঙ্খ বাজিয়ে
আবার এসো.....
তারপর সেই বিসর্জন।
নদীর তীরে, পথের ধারে,
বনে জঙ্গলে, গঙ্গার ধারে,
বিসর্জনের আনন্দধারায়
বিসর্জিত আমি।
রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজিয়ে
শেষ বিসর্জন।
আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন।
This post was selected for Curación Manual (Manual Curation)
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 4/8) Get profit votes with @tipU :)
😍😍
এই ব্যাপারটা আসলে আমার কাছেও বেশ খারাপ লাগে। যখন দেখি রাস্তার পাশে এরকম অবহেলায় বিভিন্ন মূর্তি পড়ে আছে। আমি তো এমনও দেখেছি গঙ্গার ঘাটের যেখানে শহরের যাবতীয় ময়লা এসে জমা হয়, তার পাশেই ঠাকুরের মূর্তি রাখা। এ ব্যাপারগুলো তে আসলে আমাদের একটু সচেতন হওয়া দরকার।
যাই হোক আপনার কবিতাটাও কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। বিশেষ করে যে বাস্তবতাটা আপনি কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
হ্যাঁ আমারও অনেক খারাপ লাগে এইগুলো দেখেলে।
অনেক ধন্যবাদ আপনার ভালো লেগেছে কবিতাটি জেনে অনেক ভালো লাগলো।
বাহ আপনি খুব সুন্দর করে পথের ঠাকুর কবিতাটি রচনা করেছেন। আপনার কবিতাটি বেশ চমৎকার হয়েছে। বিশেষ করে কবিতা ছন্দ গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে আমাদের সমাজে অনেক সময় দেখা যায় পূজার প্রতিমা গুলো সঠিক জায়গায় বিসর্জন দেওয়া হয় না । ফলে যেখানে যেখানে সেখানে বিসর্জন দিয়ে থাকে ফলে দেখা যায় পরবর্তীতে প্রতিমা গুলো অনেকে জায়গায় পড়ে থাকে। এত সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এত সুন্দর মন্তব্য পেলে লেখার উৎসাহ আরো বাড়বে।