//নাটক রিভিউ:-আমরাও মানুষ//
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ:-আমরাও মানুষ আমি প্রতি সপ্তাহে একটা করে নাটক রিভিউ শেয়ার করার চেষ্টা করি। নাটক দেখার তেমন সময় হয় না। তার পরেও ফ্রী সময় পেলে নাটক দেখার চেষ্টা করি।বাংলা নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আজকে যে নাটক টি শেয়ার করবো আশা করছি সবার কাছে ভালো লাগবে। তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
নাটকের নাম | আমরাও মানুষ |
---|---|
অভিনয় | মুশফিক আর ফারহান,পারশা ইভানা,আরো অনেকে |
পরিচালক | মাবরুর রশিদ বান্না |
মুক্তির তারিখ | ৮ আগষ্ট ২০২৪ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
দৈর্ঘ | ৪২.১৫ |
নাটকের শুরুতে নায়ক এবং নায়িকার তাদের বিয়ে হয়।এবং তাদের একটি মেয়ে রয়েছে।তাদের মেয়ে ভালো একটা স্কুলে পড়াশোনা করে।তো কমবেশি প্রতিটা দিন নায়ক তার মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যায়।তো নায়ক কিন্তু স্কুলের ভেতরে ঢুকে না সে বাইরে থেকে চলে যায়।একদিন তার মেয়েকে তাকে প্রশ্ন করলো।বলে যে তুমি আমাকে এখানেই রেখে যাও কিন্তু স্কুলের ভেতরে কেন যাও না,,? মুশফিক কোন মতে তাকে উল্টো কথা দিয়ে বুঝাই স্কুলে পাঠিয়ে দিলো।আসলে মুশফিক ইস্কুলের ভেতরে যায় না তার একটি সমস্যা হয়েছে।সমস্যা না এটা তার বাপ দাদার পেশা।সে একজন সুইপার(মেথর)।এইজন্য সে স্কুলের ভেতরে যেতে চায় না। কারণ তাদেরকে মানুষ দেখলে নানান ধরনের কথা বার্তা বলে।কিন্তু মুশফিকের আশা তার মেয়ে ভালো একটা স্কুলে পড়াশোনা করে ভালো একটা মানুষ হবে।এই জন্য তার মেয়ের মুখের দিক দেখে যেতে চায় না স্কুলের ভিতরে।
মুশফিকের পরিবারে ও এবং তার মেয়ে এবং তার বউ ছাড়া কেউ এই ফ্যামিলিতে নাই। তো এইদিকে মুশফিকের মেয়ের পরীক্ষা চলছিল। যেদিন পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়,সেই রেজাল্টে মুশফিকের মেয়ে ফাস্ট হয়।এখন তার মেয়েকে তার ম্যাডাম বলে যে তোমার বাবা মাকে স্কুলে আসতে। এখন মুশফিক তো কোনদিন স্কুলে আসে নাই।এটা নিয়ে তারা খুবই চিন্তার ভেতরে পড়লো।তো যখন মুশফিকের মেয়ে স্কুলে ভর্তি হয়। তখন তার পাশের বাড়ির একটি দাদু তাকে ভর্তি করে দিয়ে আসছিল। এখন মুশফিক আবার সেই চাচাকে বলে যে তুমি আমার তার দাদু হয়ে স্কুলে যাও। আসলে সেই লোকটা কিন্তু তার মেয়েকে পড়ায়। তো তার বউ এবং সেই দাদুকে নিয়ে তারা স্কুলে গেলো।
তো একদিন হঠাৎ করে স্কুলের সকল গার্জিয়ান জানতে পারে যে, এই মেয়েটির মা বাবা সুইপার(মেথর)। এই কথাটি সকল গার্জিয়ান জানার পর তারা সঙ্গে সঙ্গে ইস্কুলে চলে আসে।স্কুলে আসার পর তারা সকলেই তাদের নামে বিচার দিয়ে যায়।তারা বলেন যে, এইরকম একটা মেয়ে এখানে পড়াশোনা করলে আমাদের ছেলে মেয়েরাও তাদের মতো হয়ে যাবে।মানে তারা বলতে চাচ্ছে যে এই মেয়েটিকে এই স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হোক। কিন্তু এই মেয়ে হচ্ছে এই স্কুলের ফাস্ট।তারপর স্যার তাদের সকল গার্জিয়ানকে ঘরের ভেত ডাকলো।স্যার তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের কথা বার্তা বললো। স্যারের শেষ কথা হচ্ছে যে,এই মেয়েটিকে বের করে দেওয়ার আগে আমি এই স্কুল থেকে বের হয়ে যাবো।কারণ স্যার তাদের বিষয়টি খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পারছে। তারা তো শখের বয়সে সুইপার না। এটা হচ্ছে তাদের পেশাগত একটি জব।তারা এই কাজ করে তাদের সংসার চালায়।
তো সকল গার্জিয়ান স্যারের কথা শুনে তাদের মনটা একটু নরম হয়ে গেলো।কারণ এইদেশে সুইপার না থাকলে আমাদের ওই জায়গাটি অপরিষ্কার সব সময় হয়ে থাকবে।তারা তাদের পেশা নিয়ে থাকবে আমরা আমাদের পেশা নিয়ে থাকবো। সকল গার্জেন এই বিষয় গুলো বুঝার পর তারা স্যারের কাছে আবার চলে আসলো। এবং তারা স্যারকে রিকোয়েস্ট করলো যে, স্যার আপনি এই স্কুলে থাকেন এবং এই মেয়েটি এই স্কুলেই পড়াশোনা করবে।তো পরে সবকিছু মিটমাট হওয়ার মুশফিক স্যারের কাছে মাথানত করলো।তো পরে মুশফিক এবং মুশফিকের বউ তারা তিনজনেই স্কুলে প্রবেশ করে।তারপর নাটকটি এখানেই শেষ হয়ে যায়।
নাটকটি আসলে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এই নাটকের মধ্যে পরিচালক খুব সুন্দর একটি শিক্ষা অর্জন করার সুযোগ দিয়েছে।আসলে আমাদের দেশের বিভিন্ন পেশায় মানুষ জড়িত।তবে কোনো পেশায় কম না। পেশা তো পেশায়,তাই কোন পেশাকে অসম্মান করা ঠিক না। ভাবেন যে আমাদের দেশে কোন সুইপার নাই।আর এই দেশে সুইপার না থাকলে আমাদের টয়লেট, বাথরুম, এবং ডাস্টবিন এগুলো পরিষ্কার করার মত কেউ থাকবে না। এইজন্য কোন পেশাকে আমরা ছোট করে দেখব না। যাই হোক পরিশেষে এবং শুরু থেকে নাটক টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।আপনারা যারা এখনো নাটকটি দেখেন নাই আশা করি দেখে নিবেন ভালো লাগবে।তো আজকের মত আমি এখানে বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
https://x.com/Polashislam681/status/1823353618101424624?t=S2PYTx-OYO8joDR88Na5sw&s=19
অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। বেশ ভালো লাগলো আপনার রিভিউ করা আজকের এই অসাধারণ নাটক দেখে। খুবই ভালো লাগলো এতো সুন্দর নাটকটা দারুন ভাবে গুছিয়ে রিভিউ করেছেন দেখে।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আজ আপনি অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। এই নাটকটা আমার দেখা হয়েছিল বেশ কয়েকদিন আগে। আসলে প্রত্যেকটা মানুষই এই ধরনের মানুষগুলোকে সম্মান করে না। তবে তারাও যে মানুষ এটা কেউ বুঝতে চায় না। তাদের কাজ যেরকমই হোক না কেন তারা তো মানুষ। এই নাটকটার কাছ থেকে অনেক শিক্ষা অর্জন করা দরকার প্রত্যেকটা মানুষের এটা আমি মনে করি। এই নাটকটা অনেক বেশি শিক্ষনীয় ছিল। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার এই রিভিউ টা।
জি আপু এগুলো মানুষকে সম্মান দেওয়া আমাদের কর্তব্য।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের কোন পেশাকে ছোট করে দেখা উচিত নয়। আজকে আমাদের দেশে যদি সুইপার না থাকতো তাহলে কি একটা অবস্থা হতো না। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত প্রতিটি পেশাকে সঠিক পর্যায়ে দেওয়া। বাবা সুপার হওয়ার কারণে মেয়েটি স্কুলে অনেক অসুবিধা হতো কিন্তু শিক্ষকরা অনেক সুন্দর একটি কাজ করেছে। এরকম স্কুলের ফাস্ট একটি মেয়েকে তারা বের না করে সঠিক মর্যাদা দিয়ে রেখেছে বেশ ভালো লাগলো নাটকটি। স্কুলে তো বাবা মা যাই করুক না কেন পড়াশোনাটা আগে দেখা । খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া এরকম শিক্ষানীয় একটি নাটক আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু সব পেশাদার মানুষকে আমরা এক চোখেই দেখবো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
আমি নাটক দেখতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আর আমার কাছে নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তেও অনেক বেশি ভালো লাগে। এই নাটকটা অনেক শিক্ষনীয়। এ ধরনের নাটক গুলো দেখে সবারই উচিত শিক্ষা অর্জন করা। ফারহানের নাটক গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তার বেশিরভাগ নাটক শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। এই নাটকটা আমার যদিও দেখা হয়নি, তবে আমি সময় পেলে নাটকটা অবশ্যই দেখার চেষ্টা করবো।
আমারো মুশফিকের নাটক খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি এবং এই নাটকের মধ্যে আমি আমার দুজন পছন্দের নায়ক এবং নায়িকাকে দেখতে পাচ্ছি৷ তাই নাটকটি নিঃসন্দেহে অনেক সুন্দর হবে৷ আর আজকে যেভাবে আপনি নাটকটির রিভিউ এখানে শেয়ার করেছেন তা বেশ অসাধারণ হয়েছে৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর নাটক এর রিভিউ শেয়ার করার জন্য৷