তারিখ-১২.১১.২০২২
নমস্কার বন্ধুরা
আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।আজ সারাদিন ধরে ভাবছি যে কমিউনিটি তে কি লিখব, কি পোস্ট করব?অবশেষে ভাবনা চিন্তা করে ঠিক করলাম সপ্তাহে তো আমি একটা ড্রয়িং পোস্ট করিই, আর কয়েকদিন ধরেই ছোটবেলায় আঁকার ক্লাসে যেমন সিনারি আঁকতাম সেরম সিনারি আঁকতেও মন চাইছে, তাহলে বরং আজ একটা সিনারি আঁকি।ব্যাস বসে গেলাম খাতা,পেন্সিল নিয়ে।
জানেন মাঝে মাঝে এসব করতে বসে মনে হয় এত তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাওয়ার কি সত্যিই খুব দরকার ছিলো?যখন ছোট ছিলাম, ভেবে গেছি কখন বড় হব। আর এখন বড় হয়ে ভাবি আগেই তো ঠিক ছিলাম। কেন বড় হলাম। জীবনে এত কমপ্লিকেশনই থাকতো না।
এই কারণেই হয়তো কবিগুরু বলেছিলেন-
নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস,
ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস।
নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে;
কহে, যাহা কিছু সুখ সকলি ওপারে।
সব মনে পড়ে যায় যে রবিবার হলেই সকাল ৮টার সময় ব্যাগ নিয়ে আঁকার স্কুলে যেতাম আমি আর ভাই। এরপর স্যার ছুটি দিতো ১০.৩০টার সময়। বাড়ি ফিরে মায়ের বানানো গরম গরম খাসির মাংস দিয়ে অল্প ভাত, সাথে টিভিতে ঠাকুমার ঝুলি।এখন মনে পড়লে ভাবি হয়তো আমিই তখন সব থেকে বেশী সুখী ছিলাম এই পৃথিবীতে।
যাই হোক আবোল তাবোল বলতে শুরু করলে হয়তো থামব না।বরং উপকরণ এবং কি ভাবে ছবি আঁকলাম, সমস্ত ধাপগুলো একটু পর পর বলেদি।
ক্রমিক | উপকরণ |
১ | খাতা |
২ | পেন্সিল |
৩ | স্কেল |
৪ | ইরেজার |
৫ | অয়েল প্যাস্টেল |
৬ | কালার পেন্সিল |
৭ | তুলো |
কি ভাবে আঁকলাম
খাতার চারপাশে পেন্সিল দিয়ে একটা বর্ডার করে নিলাম।
প্রথমে ভূমির একটি অংশ এবং ঘর এঁকে নিলাম।
এবার ঘরের উপর থেকে পাহাড় এঁকে নিলাম।
এবার নারকেল গাছের কান্ড এবং সূর্য এঁকে নিলাম।
এবার রঙের পালা। আকাশের একদম উপরে হলুদ রং , তারপর কমলা রঙ এবং সব শেষে লাল রঙ করলাম এবং রঙগুলো কে মেলানোর জন্য তুলো দিয়ে ঘষে দিলাম।
এবার পাহাড়ের পালা। পাহাড়ের নীচে ডিপ সবুজ এবং উপরের দিকে হাল্কা সবুজ রং করলাম। আর একই ভাবে তুলো দিয়ে ঘষে দিতে হবে।এবার ঘরের চালা রঙ করলাম এবং ঘরের পাশ দিয়ে ছোট গাছ আঁকলাম।
এবার ভূমির একদিকে কমলা আর তারপর হলুদ দিয়ে রঙ করব এবং রঙ মেলানোর জন্য সাদা ব্যাবহার করব।সাথে ছোট গাছগুলো রঙ করলাম।
এবার জল রং করব। জলের উপর এবং ভূমির পার বরাবর ডীপ নীল, তারপর হাল্কা নীল করব এবং অবশেষে সাদা দিয়ে মিলিয়ে দেব।
এখানে নারকেল গাছের কান্ড খয়েরি রং করলাম এবংঘরের মধ্যে নীল রঙ ব্যাবহার করলাম। আর বর্ডার দিয়ে দিলাম।
এবার নারকেল গাছের পাতাগুলো আঁকলাম এবং পুরো ছবি তে শেড দিয়ে দিলাম।
এবার ছবির চারপাশের বর্ডার কে বেগুনী দিয়ে ডীপ করে দিলাম এবং নীচে নাম ও তারিখ লিখে দিলাম।
ধৈর্য্য সহকারে আমার ছবি আঁকার ধাপগুলি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।আপনাদের মধ্যে আমার মত কারো ড্রয়িং ক্লাসের কোন অভিজ্ঞতা বা স্মৃতি থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে ভাগ করে নিতে পারেন আমার সাথে। আমার আঁকা ছবিটি কেমন লাগলো জানাবেন দয়া করে।আজ এখানেই শেষ করলাম বন্ধুরা। কেমন লাগলো জানাবেন।আবার আসব অন্য কোন পোস্ট নিয়ে।
🌸🌸🌸ধন্যবাদ🌸🌸🌸
আমি পায়েল।ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার কাছাকাছি ডাক্তার বিধান রায়ের স্বপ্নের শহর কল্যাণীর বাসিন্দা।একসময় যদিও চাকরী করেছি কিন্তু বর্তমানে ফুলটাইম ব্লগার এবং ভ্লগার।যদিও নিজেকে এখনও শিক্ষানবিশ মনে করি। আর তা ই থাকতে চাঈ।সফল হয়েছি কিনা বা কতদিনে হব তা জানি না, কিন্তু নিজের প্যাশনকেই লক্ষ্য করে এগিয়ে চলেছি।বাকিটা আপনাদের হাতে।আশাকরি আমার সাথে যুক্ত থাকলে আশাহত হবেন না।
OR
Set @rme as your proxy
প্রিয় দিদি এগুলো কোনো আবল তাবোল কথা নয়৷ প্রতিটি কথা একদম যথার্থ দিদি সময় এমন একটি জিনিস যেটা চলে গেলে আর ফিরে আসে না ৷ আসলে জীবনটা যেখানে যে রকম ৷ একটা সময় ছোট বেলায় ভাবতাম একমত ৷ আর এখন বড় হয়ে দেখি আরেক রকম ৷ আর জীবনের পরিক্রমায় চলবে ৷
তবে এটা সত্য ছোট্ট বেলায় জীবনটাই ছিল জীবনের অন্যতম ৷ আর এখন সেটা না হয় নাই বললাম ৷
আর দিদি সত্যি বলতে গ্রাম বাংলার দৃশ্যটি সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে ৷
ধন্যবাদ ভাই।
ছবি আঁকা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে ছোটবেলা থেকেই কিন্তু আমি নিজে আঁকতে গেলে গুলিয়ে ফেলি বারবার 😅। তবে আর্ট শিখতে যাওয়া হয় নি কখনোই। আর কবি গুরুর লাইন গুলো যে কতটা বাস্তব আর সত্য, সেটা বোধ হয় বেশ ভালোই উপলব্ধি করতে পারি এখন। যাই হোক এর আগেও দেখেছি ছবিটা বেশ ভালই অঙ্কন করেন আপনি। আজকেও তাই। বিভিন্ন কার্টুন সিরিজে গ্রামের দৃশ্য গুলো যেমন দেখা যায় টিভিতে ঠিক ওরকম লাগছিল আপনার আঁকা ছবিটা আমার কাছে।
বলে দেই হবে নাকি শেষ টায়? একবার একটু দেখবেন তো। 🙏
আসলে আঞ্চলিকতার ভেদে 'দি/দেই' দুইই ব্যবহার হতে পারে।এই যেমন ধরুন বাংলা ব্যাকরণে যে বর্ণবিপর্যয় বলে বিষয়টা হয় সেখানে বা্কস হয়ে যায় বাস্ক, রিক্সা হয়ে যায় রিস্কা। তেমনই দেই/দি দুইই অঞ্চল ভেদে পরিবর্তন হয়। এটা কোন ভুল নয়। তবে আপনার দৃষ্টিতে পড়েছে দেখে ভালো লাগলো। ছবিটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ছোট বেলায় সবাই এরকম ছবিই আকতো। ছবিটা বেশ সুন্দর লাগছে। সুন্দরভাবে প্রতিতি ধাপ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ছবি আঁকা দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আসলে ছোটবেলা থেকে তেমন ছবি আঁকা হয়নি।সেই কারণে হয়তো ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ থাকলে ও পারিনি।তবে চেষ্টা করছি হয়তো আঁকতে পারবো আপনি কিন্তু অনেক ভালো ছবি আঁকেন।দৃশ্যটি সত্যিই মনোরম ছিল । সত্যিই বলেছেন দিদি ছোটবেলায় অনেক ভালো ছিল সবারই মায়ের রান্না খেতে অনেক মজা। আর এখন তো রান্না করে খেতে হয় হা হা হা।
সত্যি এখন আর ছোটবেলা দুটোয় কত তফাৎ। কত নিশ্চিন্ত জীবন ছিলো। ধন্যবাদ দিদি। 😌
মাঝে মাঝে যখন পেইন্টিং করতে বসি তখন পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়। বিশেষ করে ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়ে যায়। হয়তো ছোটবেলায় আমরা সবাই পেইন্টিং করতাম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আর পেইন্টিং করা হয়ে ওঠেনা। আমরা যদি সপ্তাহে একটি করে পেইন্টিং পোস্ট শেয়ার করি তাহলে পেইন্টিং করার চর্চা থাকবে। আপু আপনার পেইন্টিং সুন্দর হয়েছে।
সেটা ভেবেই আমিও সপ্তাহে একটা দিন ছবি আঁকি। মনটাও ভালো থাকে। ধন্যবাদ বোন।
সত্যিই আপু আপনি একটি মনোরম দৃশ্য অঙ্কন করেছেন। আপনার অংকন আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। ইউনিক আইডিয়া ছিলো। আপনার ইউনিক আইডিয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ দাদা। আঁকতে বসে আমারও মনে পড়ে গেলো।
যে বিষয়টি আপনি পোস্টেরর মধ্যে তুলে ধরেছেন সেই বিষয়টি আমাদের সকল ব্লগারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। প্রতিদিন একটা আলাদা টেনশন থাকে, আজকে কি পোস্ট করব!! কি লিখবো। এর মাঝে মাঝে কিন্তু আমরা বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন ইউনিক আইডিয়া উপস্থাপন করে থাকি। যাইহোক আপনার ড্রইংটি কিন্তু অনেক চমৎকার ছিল। মাঝে মাঝে কোন কিছু ভেবে না পেলে এই ভাবে ড্রয়িং করবেন এবং আমাদের মাঝে সেগুলো শেয়ার করে নেবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।
আসলে দিদি সপ্তাহে যে কোন একদিন ছবি আঁকি আমার বাংলা ব্লগের জন্য। তাই ভাবছিলাম আজ আঁকব নাকি অন্যদিন। ধন্যবাদ দিদি।
আপনি খুবই সুন্দর একটি দৃশ্য অঙ্কন করেছেন। আপনার দৃশ্যটির কালার কম্বিনেশন দেখে আমি মুগ্ধ। খুবই সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। আপনার পোস্ট পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আপনি খুবই সুন্দর আর্ট করতে পারেন । খুবই ইউনিক ছিল আপনার আজকের এই আর্ট। যাইহোক এরকম আর্ট আরো দেখার অপেক্ষায় থাকবো।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দাদা। আপনি রিস্টিম করেন দেখে বেশ আনন্দ হয় মনে।
আপনি খুব সুন্দর করে প্রাকৃতিক অপরূপ দৃশ্য চিত্রাংকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে আপনার চিত্র অঙ্কন খুবই নিখুঁত হয়েছে। এত চমৎকারভাবে ধাপে ধাপে চিত্র কোনটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দাদা।