বিদ্যালয়ে থাকাকালীন তিক্ত অভিজ্ঞতা(১০% @shy-fox দাদার জন্য এবং ৫% @abb-school এর জন্য)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

তারিখ-২২.০৯.২০২২

নমস্কার বন্ধুরা!
আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি। সকাল বেলা কাজ সেরে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি আমার বাংলা ব্লগে নতুন একটা কম্পিটিশনের আয়োজন করা হয়েছে। ধন্যবাদ হাফিজুল্লাহ দাদা কে এই কম্পিটিশনের বিজ্ঞপ্তিটি দেওয়ার জন্য আর ধন্যবাদ বাকি অ্যাডমিন ও মডারেটর দাদা দিদি বা ভাই বোনদের এবং বিশেষ ধন্যবাদ আমাদের কমিউনিটির ফাউন্ডার দাদা কে। আর বিষয়টি অসাধারণ একটি বিষয় এবং এতে মূহুর্তের মধ্যে আমার মনটা যেন ভীষণ ভাবে খারাপ হয়ে গেলো সবটা মনে পড়ে।প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়াই সব কিছু নয়, কিন্তু কিছু অনুভূতি যা কখনও কারো সাথে ভাগ করে নেওয়া হয় নি, যা মন এবং মানসিকতা কে মূহুর্তের মধ্যে নাড়িয়ে দিতে পারে একজন ছাত্রীর, তা অবশ্যই ভাগ করে নিতে পারলে এত বছর পর মনটা আরেকটু হাল্কা হয়।

93549462_603475377184236_1297443430380601344_n.jpg

প্রেক্ষাপটের কথা বলতে গিয়ে অনেক কিছু বলে ফেললাম।এবার আসল কথা আপনাদের সাথে ভাগ করে নি বরং। আমি আমাদের এলাকায় একটি সরকার অনুমদিত বিদ্যালয়ে পড়তাম।শিক্ষকদের উপর অভিমান থাকলেও স্কুলের উপর কোন ক্ষোভ নেই। তাই আমি স্কুলের নাম উল্লেখ করলাম না। সেখান থেকেই মাধ্যমিক(দশম শ্রেণী) এবং উচ্চমাধ্যমিক (দ্বাদশ শ্রেণী) পরীক্ষা পাশ করি। আমি ক্লাস ৫ এ যখন আমার স্কুলে ভর্তি হই তারপর থেকে ক্লাস ১০ পর্যন্ত প্রথম থেকে চতুর্থ স্থানের মধ্যেই ঘোরাঘুরি করতাম প্রতি পরীক্ষায়।

ফল স্বরূপ শিক্ষক শিক্ষিকার নজরে তো পড়েছিলামই, এছাড়াও সিনিয়র জুনিয়র সবাই-ই চিনত, অত বড় সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর মাঝে। যেটা হয় আর কি, সব স্কুলেই প্রথম দিকের ছেলে মেয়েদের সবাই চেনে। কিন্তু আরেকটা বিষয় যেটা আমার মধ্যে ছিলো,স্কুলে বাকি ভালো ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছিলো না(এটা শিক্ষকরাই বলতেন) এটাই যে আমি নাকি বেশ ভালো লীডারশীপ করতে পারি।

আসলে যে কোন বিষয়েই আমার উদ্যোগ,উৎসাহ,আগ্রহ আর সবাইকে কোন বিষয়ে রাজি করানোর যে ধরণটা ছিলো সেটা নাকি অন্যদের মধ্যে ছিলো না। আর এই বিষয়টাই আমার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ালো।

তো যেটা বলছিলাম, এই ভাবেই ভালো ভাবে পড়াশোনা করে ধীরে ধীরে আমি দ্বাদশ শ্রেণীতে উঠলাম।পড়াশোনায় ভালো ছিলাম বলেই হয়তো বাবা মা জোড়াজুড়ি করে দশম শ্রেণীর পর বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করিয়ে দিলো।এর অর্থ মোটেই এটা নয় যে অন্যান্য বিভিগের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা তে দুর্বল।আমি শুধু একটা জেনারালাইজড ট্যাবুর কথা বললাম।

দ্বাদশ শ্রেণী তে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছাত্রী ছিলো মোট ১২ জন। বাকি ১৫০ জন কলা বিভাগে পড়াশোনা করত।১২ জনের মধ্যেও আমরা ৫ জন মেয়ে ছিলাম। বাকি সব ছেলে।তো একরকম ঠিক ঠাক পড়াশোনা চলছে।আমাদের বিজ্ঞান বিভাগে ছাত্র ছাত্রী কম বলে আমাদের আলাদা একটা ছোট রুম ছিলো। আর বড় হল ঘরে আর্টসের ছাত্র ছাত্রীরা বসতো এবং আমরা কমন পিরিয়ড গুলো অর্থাৎ বাংলা এবং ইংরেজি টা আর্টসের ছাত্র ছাত্রীদের সাথেই করতাম।বাংলা, ইংরেজি পিরিয়ড হয়ে যাওয়ার পর আমরা ১২ জন সায়েন্সের রুমে যেতাম।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আর ২ মাস বাকি এমন একদিন আমরা সায়েন্সের ছেলে মেয়েরা আমাদের রুমে তখনও যাই নি। দাঁড়িয়ে আছি আর্টসের রুমেই।মানে ভাবছিলাম একটু গল্প করে তারপর যাব।হঠাৎ ই দেখি আর্টসের ৪-৫ জন ছেলে আমাদের সায়েন্সের রুমে ঢুকলো আর সেই রুম থেকে খুব হট্টগোল হচ্ছে।
আমি গেলাম সেই রুমে আমার স্বভাব বশতঃ লীডার স্বরূপ আচরণ নিয়ে, বাকিদের ডাকলাম, "আয় তো দেখি কি ব্যাপার।"

বলে আর পেছন ঘুরে দেখলাম না যে কেউ এলো কি না।পাশেই ভোকেশনালের ক্লাস হত। গিয়ে দেখি সেই পাঁচজন একটা পুরোনো সেভেন-আপের বোতল নিয়ে টানাটানি করছে আর সেটার মুখ টা খোলা।

আমি গিয়ে বললাম, "কি করছিস এখানে? আর এটা কিসের বোতল? দেখি!"

বলেই আমি ওদের থেকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করতেই সেই বোতল থেকে তরলটা ছিটকে আমার জামায় পড়লো।গন্ধ শুঁকে বুঝলাম এটা অ্যালকোহল। আমি হতবাক হয়ে গেলাম যে, স্কুলের মত একটা জায়গায় কি করে কেউ অ্যালকোহল আনতে পারে! ওরা আমায় অনেক রিকুয়েস্ট করছে যেন আমি টিচারদের না বলি।

ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। ভোকেশনাল ক্লাস থেকে এক দাদা এবং আমার সাথেই পড়ত স্বাগতা(যার কথা আপনারা আমার প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অভিজ্ঞতাতে পড়েছেন)জানি না ওর কি সমস্যা এবং হিংসে ছিলো আমার সাথে, ওরা দুজন গিয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট হেড স্যার (যিনি স্বাগতার জেঠু ছিলেন) কে গিয়ে বলে এসেছিলো, "স্যার সায়েন্সের রুমে তমাল, প্রীতম,দ্বীপ, পার্থ ওরা সবাই মদ খাচ্ছিলো, ওদের সাথে পায়েলকেও দেখলাম।"

68967279_1102675083268060_460196850889129984_n.jpg

যথারীতি ডাক পড়ল ওদের সাথে আমারও। গেলাম। কাঁদছিলাম, বলছিলাম, "স্যার আমি কিছু করি নি।আমি ওদের দেখতে গিয়েছিলাম যে ওরা কি করছে আমাদের রুমে। আর কিছু না।" আমার মুখ শোঁকা হল যে মদের গন্ধ পাওয়া যায় কি না! পেলো না। গার্ডিয়ান কল হল। মা এলো।মা বলল, "আমার মেয়ে এতদিন ধরে আপনাদের স্কুলে পড়ছে, পড়াশোনা হোক, গান বা ড্রয়িং বা সায়েন্স কম্পিটিশন বা ক্যুইজ সব কিছু তে স্কুলকে রিপ্রেজেন্ট করে আসছে।আপনারা একবারও বিবেচনা করবেন না যে ও কেনো এমন করবে? ও কি ব্যাক বেঞ্চার?" অ্যাসিস্ট্যান্ট হেড স্যার বললেন, "ঠিক আছে আমরা বিষয়টা অনুসন্ধান করব।কিন্তু যেহেতু ওকে ওখানে দেখেছে অন্য ছাত্র ছাত্রীরা, তাই যতদিন না অনুসন্ধান শেষ হবে ততদিন ও স্কুলে আসবে না।"

মা বলল, "অন্য ছাত্র ছাত্রী মান? আপনার ভাইঝি দেখেছে তো।তাই আপনি এতটা শিওর হলেন? আপনি যদি আপনার ভাইঝির কথায় শিওর হন, তবে আমিও আমার মেয়ের ব্যাপারে শিওর।ওকে আমরা যা শিক্ষা দিয়েছি, আমরা জানি ও এমন করবে না।"

এটা বলে মা আমার হাত টেনে বাড়ি নিয়ে এলো। এর পর আমি ১৫ দিন সাসপেন্ড ছিলাম,স্কুলে যেতে পারি নি। ১৫ দিন পর বাড়িতে কল আসে হেড স্যারের। উনি জানান যে বাকি যারা ওই রুমে সেদিন ছিলো তারা স্বিকার করেছে যে পায়েল ওদের সাথে ইনভল্ভ ছিল না। ও যেন কাল থেকে স্কুলে আসে।

এই ঘটনার পর সত্যি বলতে আমি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলাম। সামনেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ছিলো। মানসিক অবসাদে পুরোপুরি ডুবে গেছিলাম।কারণ পাড়ায়, এলাকায় সবাই জানত আমি স্কুলে মদ খেয়েছি। ততদিনে বদনাম ছড়িয়ে গেছিলো। আমি বাড়ি থেকে বার হতাম না। একজন টিনেজারের মন এমনিই ভীষণ কোমল এবং কৌতুহলী থাকে।এই অবস্থায় এতবড় একটা মানসিক বিপর্যয় আমি কিছুতেই মানতে পারছিলাম না। স্কুল থেকে ফোন করে যে মা-বাবার কাছে ক্ষমা চেওয়া হয়েছে সেটা তো কেউ-ই জানলো না।১৫ দিন পর স্কুলে যাবই বা কি ভাবে? সবাই কি ভাববে? আদেও কি সবাই বিশ্বাস করবে যে আমি সেদিন নির্দোষ ছিলাম! এগুলো ভেবেও স্কুলে গেলাম।একমাস সে ভাবে আর কোন কিছুতেই সক্রিয় থাকি নি। যেতাম অ্যাটেন্ডেন্স দিতাম, চলে আসতাম ক্লাস শেষ করে।

তবে ফেয়ারওয়েলের দিনটা ছিলো আমার দিন। ওই দিন সবার সামনে বলে এলাম, "ছোট থেকে এই স্কুল থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। ভালো ছাত্রীর তকমা, নেত্রী তকমা, লিডার তকমা আরো কত কী! ভালোই ছিলো সবটা।সব স্যার ম্যাডামদের এত ভালোবাসা দেখে ভেবেছিলাম যে তারা আমার উপর বিশ্বাস এবং ভরসা করেন বলেই এই ভালোবাসা।কিন্তু মাস তিনেক আগে সায়েন্সের রুমে যে ইন্সিডেন্ট হয় আর বিনা দোষে আমায় শাস্তি পেতে হয়, স্কুলে এবং নিজের এলাকায় আমার যে বদনাম হয় যা কোনদিনই আর মিটবে না,সবাই আমাকেই ভুল বুঝে যাবে, তার জন্য আমি এই স্কুলের কাউকেই ক্ষমা করব না।জানি আমার ক্ষমায় আপনাদের কিছু যায় আসে না। কিন্তু মনে রাখবেন আমি এমন একজন ছাত্রী যে সব সময়েই আপনাদের অনুগত ছিলাম। কিন্তু সেদিনের পরই বুঝতে পেরেছিলাম যে ভুল করেছি।আর অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডস্যার It's on your name।" বলে আমি ফেয়ারওয়েল পার্টি ছেড়ে স্কুল থেকে বাড়ি চলে আসি। তারপর থেকে আর কখনও ওই স্কুলে পা রাখি নি।

এই বিষয়টা আমায় এতটাই নাড়িয়ে দিয়েছিলো যে আমি পুঙ্খানুপুঙ্খ সবটা মনে রেখেছি আজ প্রায় ১০-১২ বছর পরও। আমি আজ পর্যন্ত ওই স্কুলের কোন স্যার ম্যাডামের সাথে মন থেকে কখনওই ঠিক ভাবে কথা বলতে পারিনা। অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডস্যার পরে যদিও বলেছিলেন যে, "আমার ভুল হয়ে গেছে।" আমি বলেছিলাম যে, "বদনাম যখন করলেন স্যার তখন সবার সামনে করলেন।আর যখন বুঝলেন যে ভুল হয়ে গেছে তখন সেটা আপনি নিজের রুমে ডেকে বললেন?যাতে আর কেউ জানতে না পারে? আমি তো আপনার পাড়ার মেয়ে। আমায় বা আমার পরিবার কে আপনি ভালোই চেনেন। তারপরও এতোটা ভুল বুঝলেন স্বাগতার কথা শুনে?"

স্যার সেদিন মাথা নিচু করেছিলেন ঠিকই কিন্তু ততদিনে স্কুল, ব্যাচ, পাড়া সব জায়গায় আমার মাথা নীচু হয়ে গেছিলো।এটার আফ্টার এফেক্ট এতটাই সুদূর প্রসারী হবে তা ভাবি নি। বছর খানেক আগে পাড়ার একজন দিদির সাথে ফেসবুকে হেলথি ডিবেট হচ্ছিলো। তিনি বিষয়টিকে ঝগড়ায় ঘুরিয়ে নিয়ে ওপেন ফোরামে বললেন, "তুই কত ভালো ছাত্রী জানা আছে। ভালো নম্বর পেলেই ভালো হওয়া যায় না। স্কুলে তো মদ খেয়ে সাসপেন্ড হয়েছিল।"

আমার আর উত্তর ছিলো না।আর কথা বাড়াই নি। চোখের কোনায় কোথা থেকে একটু জল জমলো দেখলাম। এবার আপনারাই বিবেচনা করুন যে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি আমার যে অভিমান সেটা কি সত্যিই আমার বাড়াবাড়ি?

আজ অনেকটা সাহস সঞ্চার করেছি এগুলো লিখতে গিয়ে।একটা মেয়ের নিজের নামে রটনা নিয়ে লিখতে গেলে কতটা হাত কাঁপে তা আশা করি বুঝবেন। জানিনা কমিউনিটির মেম্বাররা আমায় কেমন ভাববেন। কিন্তু সত্যি বলতে আমি কখনওই ভয় পাই নি।তাতে আমি একা থাকতেও রাজি।আজ আসি তবে। কাল আসব অন্য কোন লেখা নিয়ে।

🌸🌸🌸ধন্যবাদ🌸🌸🌸

Sort:  
 2 years ago 

পরবর্তীতে মাধ্যমিক কোথা থেকে পাশ করেছেন?

আর বিষয়টা সত্যিই অনেক খারাপ লাগলো শুনে।শিক্ষকদের ও দোষ ছিল এটা সত্যি তবে আপনার ইগো ধরে রাখাটা আমার মনে হয় উচিত হয় নি। আরে এই সমাজ আপনার ভালো কাজ ভালো দিক কখনোই এপ্রিশিয়েট করবে না এটা ত জানা কথা।তারপরেও ওদের কথা নিয়ে এত ভাবা আপনার উচিত হয় নাই।এক্ষেত্রে আপনার পরিবারকে আমি বেশি দায়ী করবো,কারণ আপনি তখনও পরিপক্ব না আপনার বাবা মার বোঝা উচিত ছিল ব্যাপারটা।আপনাদের তখন উচিত ছিল বাকি সবার মুখে জুতা ছুড়ে মারা "আমি মদ খেয়েছি তাতে তোর বাপের" ঠিক এরকম একটা মানুষিকতা রাখা উচিত ছিল।যাইহোক দুঃসহ স্মৃতি ভুলে যাওয়াই ভালো,আশা করবো আপনিও ভুলে যাবেন।🖤

 2 years ago 

ওখান থেকেই পাশ করেছি। পাশ করার পলর রিইউনিয়নে বলে এসেছিলাম। আসলে তারপর আর প্রয়োজন হয় নি, তাই আর যাই নি। এমনিও ভীষনভাবে পলিটিক্স চলে ওখানে।

 2 years ago 

আর আমার মা বাবা একটা স্কুলে তো আর এই মানসিকতা নিয়ে কথা বলতে পারে না।তবে তারা আমায় বিশ্বাস করে যে আমি এসব করব না।

Hi, @payelb,

Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.

Your post was picked for curation by @rex-sumon.


Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP

 2 years ago 

স্কুল জীবনের আপনার সাথে ঘটে যাওয়া খুবই তিক্ত, একটা ঘটনা তুলে ধরেছেন আপনি। সম্মান সবারই আছে, হোক সেটা বড়লোক হোক সেটা গরিব, হোক সেটা শিক্ষক আর হোক সেটা ছাত্রছাত্রী। আর সম্মান বালির তৈরি হয়, শোন সম্মান গড়তে অনেক সময় লাগে কিন্তু ভাঙতে খুবই কম সময় লাগে বলতে গেলে আকষ্মিক ভাবে ভেঙে যায়। আপনি সেদিনের ঘটনায় অবশ্যই সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন কিন্তু এই সাহসের পরিনাম যে এতটা ভয়ানক হবে সেটা আমিও বুঝে উঠতে পারেনি গল্পের ভেতর প্রথমে। সবাই নিজের ভুল স্বীকার টা কেন গোপন ভাবে করে এটা আমার মাথায় আসেনা। নিজের গুনগান গাওয়ার জন্য মঞ্চের স্টেজ কে বেঁছে নেয় আর নিজের ভুল স্বীকার করার জন্য নিজের পার্সোনাল রুমকে বেছে নেয়। আপনি স্যারদেরকে হয়তো খুব ভালবাসতেন কিন্তু স্যারদের অবিশ্বাসের ফলে আপনার বিশ্বাস ভেঙে যায় সেজন্য হয়তো আপনি তাদেরকে আর মন থেকে কখনোই মেনে নিতে পারেন। কারণ সব অসম্মান টা আপনাকেই বরণ করতে হয়েছিল। এই ঘটনাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।

 2 years ago 

আমি অনেকটা সাহস সঞ্চার করেই পোস্ট টা করেছি। কখনও কারো সাথে সে ভাবে শেয়ার করা হয় নি। কিন্তু এই প্লাটফর্ম সুযোগ দিলো শেয়ার করার।

 2 years ago 

সত্যি বলেছেন এমন সৎ সাহস থাকাটা জরুরী। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দিদি।

 2 years ago 

খুবই পেথেটিক এবং তিক্ত অভিজ্ঞতা। দিদি সত্যিই খুব খারাপ লেগছে পুরো লেখাটি পড়ে। আপনি যেখানে নালিশ করে স্কুলের পরিবেশ ঠিক করতে চেয়েছিলেন সেখানে উল্টো আপনাকে ফাসিয়ে দিল। আর সবচেয়ে খারাপ বেপার হচ্ছে স্কুলের শিক্ষক যাচাই না করেই আপনাকে সাস্পেন্ড করে দিল? এটা ঠিক করেনি বলে আমার মনে হয়। তবে আপনার মা আপনার উপর ট্রাস্ট রেখেছে এটা কিন্তু তখন বড় একটি সাপোর্ট ছিল তা না হলে আপনি আরও ভেংগে পরতেন। আশা করি আপনি পুরনো ব্যথা ভুলে এখন ভাল আছেন এবং ভবিষ্যতে আরও ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ দিদি।

 2 years ago 

সত্যিই দাদা। ঐ সময় টা খারাপ গেছে খুব। ধন্যবাদ। 😊

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59471.57
ETH 2618.20
USDT 1.00
SBD 2.40