বয়সে ভালোবাসা পালায় প্রথম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
বয়সে ভালোবাসা পালায়
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা বাস্তব গল্প নিয়ে। সত্যি কিছু কিছু মানুষ টাকার জন্য সব পারে।আজ থেকে আরো অনেক বছর আগের কথা। আসলে আমি যখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি তখনকার ঘটনা। পরিচিত লোকজন যখন সামনে পড়ে যায় তখন তার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যায়।আসলে আমাদের স্কুল জীবনের বন্ধু বান্ধবীদের সাথে যখন অনেক দিন পরে দেখা হয় তখন অনেক ভালো লাগে। কয়েকদিন আগে আমি গিয়েছিলাম বাচ্চাদের নিয়ে আমার বড় ভাসুরের বাসায়। আসলে আসার সময় আমার এক বান্ধবী আমার বড় ভাসুরের বাসায় ভাড়া থাকে তার সাথে হঠাৎ দেখা হয়ে যায়। তারপর আমাকে দেখে বাসায় যাবার জন্য অনেক রিকোয়েস্ট করলো। আসলে বান্ধবী বলতে এক সাথে পড়তাম আরকি তবে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নয়। তারপরেও বেশ ভালোই সম্পর্ক ছিল।
যাইহোক ওদের বাড়ি ছিল স্কুলের কাছে তবে আমরা মাঝে মাঝে যেতাম।তবে ওর এক চাচাতো বোন ছিল আমরা ক্লাস Eight এ পড়ি তখন সে পড়ত নাইনে।নাম ছিল তার তন্নী। আসলে দেখতে অনেক সুন্দর আবার বাড়ির অবস্থা ও অনেক ভালো। তবে স্কুলে নামকরা বেয়াদব ছিল। যখন দশম শ্রেণিতে উঠল তখন তার বাবা ভাব খারাপ দেখে বিদেশি এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিল।আসলে ছেলেটার অনেক টাকা পয়সা আছে তবে বয়সটা অনেক। ইটালি থাকে।বিয়ের দুই মাস পরে তন্নীকে ইটালি নিয়ে গেল।আসলে খারাপ মানুষ ভালো করা সহজে যায় না।আমরা যখন এসএসসি পরীক্ষার্থী তখন একবার বাংলাদেশে এসেছিল আমাদের সাথে দেখা ও করেছে।তাই সালমার সাথে দেখা হলে সেই তন্নীর কথা জিজ্ঞেসা করলাম। আসলে আমার বান্ধবীর নাম ছিল সালমা। সালমা তন্নী সম্পর্কে আমাকে বললো।আসলে তন্নীর মামাতো ভাইয়ের সাথে তন্নীর সম্পর্ক ছিল। তন্নীর স্বামীকে বলে তন্নীর মামাতো ভাইকে বিদেশে তন্নীদের কাছে নিয়ে নিল।
তন্নী তখন গর্ববতী,তাই তন্নীর মামাতো ভাই তন্নীর দিকে অনেক খেয়াল রাখত।এদিকে তন্নী আগের মতো তার মানাতো ভাইয়ের সাথে সম্পর্কে জড়ালো।আসলে তন্নীর স্বামীর টাকার কোন অভাব নেই তবে বয়স বেশি থাকার কারণে তন্নী পছন্দ করে না। তবে তন্নী এখন মা হতে চলছে তাই কোন রকম সে বাচ্চাটাকে জন্মদেবে।এভাবে চলে গেল কয়েক মাস । আসলে তন্নীর জামাই সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে তো এদের ভালোবাসা কিছু টের পায়নি।সত্যি বলতে তন্নীর স্বামী তন্নীকে অনেক ভালোবাসা ও বিশ্বাস করে। এদিকে তার স্বামীর টাকা পয়সা তার মামাতো ভাইয়ের কাছে দিল। অনেক স্বর্ণ ও দিল, তন্নীর নিজের সকল গয়না দিয়েছিল সবগুলোই দিয়ে দিল তার মামাতো ভাইকে। তন্নীর মামাতো ভাই এখন আলাদা বাসায় থাকে তবে সব সময় তন্নীর সাথে যোগাযোগ রাখে।
এভাবেই চলতে থাকলো তন্নীর জীবন। তন্নী একদিন হঠাৎ অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ল তারপর তাকে সবাই হাসপাতালে নিয়ে গেল।নেওয়ার সাথে সাথে তন্নীর ফুটফুটে পুত্র সন্তান হলো।তারপর কয়েক দিন পরে বাসায় আসলো তন্নী আস্তে আস্তে সুস্থ হতে লাগলো।তবে বাচ্চাটা তন্নী ও তার মামাতো ভাই দু'জন অনেক আদর করত।আর বাচ্চাটা ছিল তন্নীর স্বামীর প্রাণ। আসলে অনেক বয়সে একটা বাচ্চা হলে যা হয় আরকি।এভাবে তন্নী তার মামাতো ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক রেখে তার স্বামীর সব টাকা পয়সা নিতে লাগলো।(চলবে)
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আসলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বয়সের তফাৎটা বেশি হলে এরকম সমস্যা ঘটে থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে স্বামী স্ত্রী এটা মানিয়ে নেয়। কিন্তু তন্নী স্বভাবে যেহেতু বেয়াদব। তাই তার সন্তান হওয়ার সত্ত্বেও অন্যের সাথে অবৈধ সম্পর্ক বজায় রাখে। যেটা সম্পূর্ণ নৈতিকতা বিবর্জিত। যাহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
জ্বী ভাইয়া তাড়াতাড়ি চেষ্টা করব পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ পোস্টটি করার জন্য।
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 2/7) Get profit votes with @tipU :)
তন্নী মোটেও ঠিক করেনি বিয়ের পর এবং সন্তান সম্ভবা হওয়ার পরেও মামাত ভাই এর সাথে সম্পর্ক রাখা।স্বামীর বিশ্বাসের অমর্যাদা করা।আসলে এসব মানুষের মানসিক অবক্ষয়ের জলন্ত উদাহরণ। পরবর্তী পোস্টে বিস্তারিত জানার অপেক্ষায় থাকলা।ধন্যবাদ
আসলে আপু পরকীয়া অনেক খারাপ একটা জিনিস ধন্যবাদ আপু।
খুবই খারাপ লাগতেছে যে আসলে এটাই হতে চলছে, বর্তমান সময়ে স্বামী বিদেশ বা টাকা-পয়সা থাকলে বয়স কোন মেটার করে না, বাপ-মা তার সাথেই বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু বাপ মার একটা ভাবা হওয়া উচিত মেয়ে আমার কোথায় সুখে থাকবে? তন্নীর উচিত ছিল তারা স্বামীকে ভালোবাসা, স্বামী তার জন্য অনেক কষ্ট করে অনেক টাকা-পয়সা দেয় কিন্তু তার মামাতো ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক লিপ্ত হয়ে তার স্বামীকে ধোকা দিচ্ছে, খুবই খারাপ লাগলো এটা। অন্তত ছেলে মেয়ের কথা ভেবে তার সম্পর্ক বন্ধ করা উচিত।
আসলে ভাইয়া পরকিয়া এমনই জিনিস সব কিছু ধ্বংস করে দেয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনার গল্পটি পড়তে পড়তে আমার মনে একটি দারুন প্রশ্ন জেগেছে। উত্তরটা হয়তো অজনাই থেকে যাবে। তবে আমার কিন্তু ভিন্ন মত। ভালোবাসা থাকলে বয়স কোন বিষয় নয়। আর তন্নীর যদি তার স্বামীকে পছন্দ নাই হত সে আগেই চলে যেতে পারতো। এখন স্বামীর টাকা পয়সা সব নিয়ে চলে যাচেছ। আমার তো মনে হয় যার কাছে যাচেছ তাকে ও সে সুখী করতে পারবে না। কারন সুখ শুধু বয়স আর টাকায় নয়। আমার মতে সুখ হলো মানসিকতায়।
আসলে অনেকদিন পর যদি চেনা পরিচিত কারো সাথে দেখা হয়, তখন অনেক বেশি ভালো লাগে। আর যদি হয় নিজের ক্লাসমেট এবং বান্ধবী তাহলে তো কোন কথাই নেই। ঐরকম গভীর বন্ধুত্ব না হলেও জাস্ট ফ্রেন্ড ছিলেন আপনারা। আর দেখা হওয়ার পর অনেক বেশি ভালো লেগেছিল নিশ্চয়ই। যাই হোক আপনার বান্ধবীর চাচাতো বোনের গল্পটা অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। উনার চাচাতো বোনের কিন্তু একেবারেই উচিত হয়নি, নিজের স্বামী থাকতে আবারও মামাতো ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক রাখা। বাচ্চা হওয়ার পরেও সম্পর্কটা রেখেছে এটা ভাবতেই খারাপ লাগতেছে। যাইহোক শেষ পর্যন্ত কি হয় এটা দেখার অপেক্ষা।
কেউ আছে নিজের অর্থ সম্পদ বাড়িয়ে নিতে সেই চেষ্টায়। আবার কেউ আছে ভালোবাসার মানুষকে আপন করে নিতে। সেটাই আপনার গল্পের মধ্যে ফুটে উঠেছে। যদিও ইতালি প্রবাসীর সাথে বিয়ে হলেও তার মনটা রয়েছে মামাতো ভাইয়ের কাছে। গল্পের শেষটায় প্রবাসী ভাইয়ের কপাল পুড়বে। সেই বিষয়টি বুঝতে পারলাম পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম।
আসলে ভাইয়া পরকীয়া বেশ খারাপ একটা জিনিস, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার গল্পটি পড়ে সত্যিই আমার কাছে অনেক খারাপ লাগলো। আপনার বান্ধবীর চাচাতো বোন তন্নী এর কাহিনী শুনে আমি নিজে হতবাক হয়ে গেলাম। বিয়ের আগে মামাতো ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক তা ঠিক আছে কিন্তু বিয়ের পর আবারও মামাতো ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক এটি তো বড় অন্যায়। অথচ তার স্বামী তাকে বিদেশ নিয়েছে এ কারণে সে তার মামাতো ভাইকেও বিদেশ নিয়েছে ইতালিতে। আমার মনে হয় দুইজন প্লান করে লোকটিকে নিঃস্ব করে ফেলবে। যাইহোক পরের পর্বে কি ঘটে সে অপেক্ষা রইলাম।
তন্নীর মতো মেয়েরা নিজেদের স্বার্থের জন্য সবকিছুই করতে পারে। সে যেহেতু তার হাসবেন্ড কে বলে তার মামাতো ভাই অর্থাৎ প্রেমিককে ইটালি নিয়ে যেতে পেরেছে, সে তাহলে সবকিছুই পারবে। তন্নীর হাসবেন্ড এর জন্য খারাপ লাগছে। লোকটা এতো ভালোবাসে তন্নী এবং নিজের বাচ্চাকে,কিন্তু তাদের সংসারের শেষ পরিণতি ভালো হবে বলে মনে হচ্ছে না। বর্তমানে পরকীয়া প্রেম অনেক বেড়েছে। দিনদিন মানুষের বিবেক বুদ্ধি লোপ পাচ্ছে বলেই এসব বেড়ে চলেছে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।