ডাক্তার দেখতে গিয়ে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট ।
ডাক্তার দেখতে গিয়ে ঘোরাঘুরি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা ঘোরাঘুরি পোস্ট নিয়ে। গতকাল বিকেলে গিয়েছিলাম ডাক্তারের কাছে।আসলে আমি আর আমার হাজব্যান্ড গিয়েছিলাম।সত্যি বলতে অনেক দিন হলো আপনাদের ভাইয়ের সাথে কোথাও যাওয়া হয় না। আসলে সব জায়গায় বাচ্চাদের নিয়ে আমি বেশি যায়।কিন্তু এবার যেহেতু ডাক্তারের কাছে যাব তারজন্য বাচ্চাদের রেখে আপনাদের ভাইয়ের সাথে গিয়েছি।আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন আমি বেশ কয়েক দিন ধরে আঙ্গুলের যন্ত্রণায় ভুগছি। আসলে আঙ্গুলের ভিতরে ইনফেকশন হয়েছে। আঙ্গুলের ভিতরে পুজ হয়েছে। তারপর বেশ কয়েকটি এন্টিবায়োটিক খেয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি ভিতরে ব্যথা রয়েছে। তাই গতকাল গিয়েছিলাম ডাক্তারের কাছে। তারপর ডাক্তার ইঞ্জেকশন দিয়ে আঙ্গুলের ভিতর থেকে সব ময়লা পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দিল। আবার কিছু এন্টিবায়োটিক ঔষধ লিখে দিল তারপর আবার যেতে বললো।যাইহোক পরের দিন আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন ডাক্তার একটু বাড়িতে গিয়েছে। আসলে চেম্বারের কাছেই বাড়ি। তারপর আমি আর আমার হাজব্যান্ড মিলে একটু ঘুরতে লাগলাম। আসলে আমরা যে সময় গিয়েছি তার একটু আগেই ট্রেন চলে গেল। তারজন্য আর ট্রেন দেখতে পারিনি।তাই ভাবলাম একটু রেললাইন দিয়ে ঘুরে আসি ।
আমরা প্রথমে রেলরাস্তার উপরে গিয়েছি।আসলে অনেক দিন হলো রেলরাস্তার ওদিকে যাওয়া হয়নি।আমাদের বাড়ি থেকে বেশ ভালো দূর। তবে আগে মাঝে মাঝে যেতাম কিন্তু এখন অনেক দিন যাওয়া হয়নি। তবে যখন গিয়েছি তাই ভাবলাম একটু বাইরে ঘুরে আসি। আসলে অনেক দিন পরে গিয়েছি তাই দেখতে মনে হয় অনেক ভালো লেগেছিল। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন তেমন ভীর ছিল না। আর আবহাওয়া অনেক ভালো ছিল। আসলে ভালো আবহাওয়ায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
তারপর আমি আর আমার হাজব্যান্ড মিলে রেললাইন এর ওপর দিয়ে অনেক দূর হাঁটতে লাগলাম। আসলে প্রিয়জনের সাথে আমরা যেখানেই যায় না কেন অনেক ভালো লাগে। কিছু দূর যেতেই সামনে পড়ল আমাদের এক চাচা। চাচা আমাকে দেখে জোর করে চা খাওয়াতে চাইলেন কিন্তু আমি চা খায়নি।তারপর আমাদের জন্য ঠান্ডা কিনে আনলেন। আমাদের দুজনের সাথে চাচা ও যোগ দিলেন হাঁটতে।লোহার ব্রিজের ওপর উঠতে অনেক ভয় লেগেছিল। আসলে নদী ভরা পানি দেখে ভয় লাগা স্বাভাবিক। তারজন্য আর বেশি দূর যায়নি।
এই ব্রিজটি অনেক সুন্দর। ব্রিজটির ওপর দিয়ে হাঁটতে অনেক ভালো লাগে।এখন নদীতে অনেক পানি, নদীর চারপাশে পানি গুলো দেখে মনে ভয় লাগে।তারপর আমি ব্রিজের ওপর দিয়ে হেঁটে যখন নদীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম তখন বেশ ভালো লেগেছিল।যাইহোক বেশ কিছু সময় নদীর পাশ দিয়ে ঘোরাঘুরি করেছিলাম। সত্যি আবহাওয়া ভালো থাকলে অনেক ভালো লাগে। আমরা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
রেল রাস্তায়গুলোতে হাঁটতে আপনার মত আমারও অনেক ভালো লাগে । আসলে জীবনে ঘোরাঘুরি করার একটা গুরুত্ব রয়েছে এটি আমাদের জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়। যাইহোক ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ঘোরার অনুভূতিটা আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লাগে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1840035764438217141?t=eB35bp90HW11r6rH9LsYtQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আবহাওয়া এরকম ভালো থাকলে ঘুরাঘুরি করতে আসলেই ভালো লাগে। রুদ্রউজ্জ্বল দিনগুলোতে একটু গরম লাগলেও ঘুরোঘুরি করে মজা পাওয়া যায়। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। ব্রিজটা আসলেই খুব সুন্দর। ডাক্তার দেখাতে গিয়ে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
ডাক্তার দেখাতে গিয়ে রেললাইন এলাকায় ঘুরাঘুরি করেছেন দেখছি। কুষ্টিয়ার থাকাকালে রেললাইন দেখতাম রেলওয়ে চড়েছি মাঝেমধ্যে বেড়াতে যেতাম পাকস্থানে। তবে এখন আর শহর এলাকায় যাওয়া হয় না তবে নিজের এলাকার মধ্যেই সুযোগ পেলে মোটরসাইকেলের পিছনে চড়ে ঘুরে আসি। আর এভাবেই ভালো লাগার মুহূর্ত ইনজয় হয়। যাইহোক আপনার জন্য দোয়া করি দ্রুত সুস্থ হয়ে যান যেন।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এক কাজে গিয়ে দুই কাজ হয়ে গেল আপু আপনার। আসলেই রেল রাস্তায় হাঁটতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে আপু।আমার কলেজে গেলে হাটা হয়।ব্রিজটি সুন্দর ছিল,ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।