হঠাৎ বান্ধবীর সাথে ঘুরাঘুরি ||১০%বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো হঠাৎ বান্ধবীর সাথে ঘুরাঘুরি। গতকাল দুপুরে আমি খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে আছি, এমন সময় একটা ফোন আসলো, আমার এক বান্ধবীর। সে বলল আমি তোদের এলাকাতে এসেছি মানে উপজেলা পরিষদে তুই একটু আই।তারপর তারতাড়ি রেডি হয়ে চলে গেলাম উপজেলা পরিষদে। তখন বেলা তিনটা বাজে আসলে আমার যেতে বিশ মিনিট লেগেছে। তখন বড় মেয়েকে না বলে ছোট মেয়েকে নিয়ে গিয়েছি।হঠাৎ হলেও অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। তাহলে শুধু করি আমার আজকের পোস্ট।
প্রথমে আমি উপজেলার সামনে অটো থেকে নামতে দেখলাম আমার বান্ধবী তার ছেলেকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আসলে প্রায় চার পাঁচ বছর পরে দেখা হলো। শেষ দেখা হয়েছিল মাস্টার্স পরিক্ষা দেওয়ার সময়। তারপর দুজনে চলে গেলাম উপজেলার ভিতরে।যদিও আমি আগে কয়েকবার উপজেলায় গিয়েছি তবে সেদিন এর মতো, এমন ভাবে সব জায়গায় ঘুরেঘুরে দেখা হয়নি।
ভিতরে ঢুকেই প্রথমে আমাদের চোখে পড়ল ফুলের সমারোহ। আসলে শীত তো প্রায় শেষ, তাই অনেক ফুল গুলো পেঁকেছে।আমার মেয়ে ফুল বাগানের ভিতরে গিয়ে অনেক সময় ঘুরাঘুরি করছিল। আর আমরা দুই বান্ধবী মিলে বাগানের সামনে বসে অনেক গল্প করেছিলাম। আসলে অনেক পুরানো দিনের জমে থাকা গল্প। সে আমার প্রিয় বান্ধবী মানে ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু করে মাস্টার্স পর্যন্ত একসাথে একই ডিপার্টমেন্টে পড়ালেখা করেছি। আসলে দুজনের বাবার বাড়ি একই জায়গায়, তবে এখন অনেক দূরে। ও আসলে আমি যায় না আবার আমি গেলে ও আসে না,তাই দুজনের দেখা হয় না।বাচ্চারা মনের আনন্দে ঘুরাঘুরি করছে আর আমরা দুজনে বসে সব কিছু ঘুরে ঘুরে দেখছি আর গল্প করছি।আসলে ওর হাজবেন্ড এখানে একটা কাজে আসছে তাই ওদের নিয়ে আসছে। সে ভিতরে কাজ করছে আর আমরা বাইরে দিয়ে ঘুরছি।আসলে বাইরে ফুল দিয়ে এতো সুন্দর করে সাজানো যে কেউ দেখলে ভালো লাগবে। তবে আমি কিছু পাকা ফুলের বীজ এনেছি।
তারপর আমরা পাশে মোড়ের ভিতরে গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক সুন্দর করে সাজানো রয়েছে বিশেষ করে শেখ মুজিবুর রহমান এর মূর্তি। আমি ও আমার বান্ধবী মিলে পুরো জায়গা ঘুরে দেখলাম। আসলে আগে অনেক দেখেছি তবে গতকাল মনে হচ্ছে সব কিছু অনেক ভালো লাগছে।সত্যি ভালো লাগার কথা একদিকে পুরো জায়গা অনেক সুন্দর করে সাজানো আর অন্য দিকে প্রিয় বান্ধবীর সাথে অনেক দিন পর দেখা। তবে তখন অনেক রোদ ছিল। বান্ধবীর সাথে গল্প করতে করতে মনে হচ্ছিল আমরা কলেজে আছি।ঠিক আগে যেভাবে কলেজে ঘুরাঘুরি করতাম।সব কিছু মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি।
ঘুরাঘুরি শেষ হলে আমরা বেরি এলাম উপজেলার ভিতর থেকে।যদিও আমার বান্ধবী আরো কিছু ক্ষণ থাকবে কারণ ওর হাজবেন্ডের এখনো কাজ শেষ হয়নি।তারপর আমার মেয়ে স্কুল থেকে এসে একা থাকবে, তাই আমি চলে আসলাম আরকি। তারপর আমার সাথে বাইরে এলো। বলল কি খাবি, আসলে আমি দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে গিয়েছি, তাই খেতে ইচ্ছে করছে না। তারপর বলল এতোদিন পর দেখা কিছু না খেলে কেমন হয়। পরে আমার মেয়ে কেক, চিপস ও চকলেট নিল।আর আমার বান্ধবীর ছেলে ও আমার মেয়ে বসে দই খেল। যদিও বিলটা আমি আগে দিয়েছি,সেটা দেখে ও অনেক রাগ করেছে।তারপর আমার বড় মেয়ের জন্য দই ও কেক কিনে দিল।দুজনে মিলে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি,আমার অনেক ভালো লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ও অনেক ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপু কলেজ জীবনের অনেক স্মৃতি মনে পরে গেল।বান্ধবীর সাথে এতদিন পর দেখা সত্যি এ যেন অন্য রকম অনুভূতি। চার থেকে পাঁচ বছর দেখা হলো আপনাদের।খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। অনুভূতি গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন পড়ে ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে আপু অনেকদিন পরে যদি কোন বন্ধু বা বান্ধবীকে সাথে দেখা হয় তাহলে ওই মুহূর্তটির অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত থাকে।কারণ স্কুল জীবনে বন্ধুরা সবথেকে ভালো বন্ধু হয়ে থাকে। আপনি আপনার মেয়েকে নিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরেছেন দেখছি। যেহেতু আমি মিষ্টি পছন্দ করি তাই মিষ্টির দোকানে ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে দারুন লেগেছে এবং মিষ্টি গুলো দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছা করছে আপু।
সত্যি ভাইয়া স্কুলের বান্ধবী সবচেয়ে বড় বান্ধবী, তাইতো বলার সাথে চলে আসলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া ।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/7) Get profit votes with @tipU :)
সত্যি আপু কলেজ লাইফের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। কলেজ লাইফে বান্ধবীদের সাথে কত আড্ডা দেওয়া হয়। আর সময়ের বিবর্তনে সবাই হারিয়ে যায়। কিংবা বছরের পর বছর কেটে যায় তবুও কারো সাথে দেখা হয় না। এত বছর পর যেহেতু আপনাদের দেখা হয়েছে তাই মুহূর্তগুলো দারুন ছিল মনে হচ্ছে। আর বান্ধবীদের সাথে এতদিন পর গল্প করলেও মনে হয় এই তো সেদিন দেখা হয়েছিল। আপু আপনার অনুভূতি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন পড়ে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু বান্ধবীর সাথে কথা বলতে বলতে মনে হয়, সেদিন দেখা হয়েছিল। আসলে সময়ের পরবর্তনে সব হারিয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনারা দুই বান্ধবী মিলে অনেক সুন্দর সময় কাঠিয়েছেন জেলা পরিষদের আঙ্গিনায়।ফুলের বাগান গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনারা দুই বান্ধবী মিলে বেশ গল্প করার পরে নাস্তা খেতে গেছেন বাচ্চারা অনেক মজা করে দই চিপস খাওয়া-দাওয়া করলো।অবশেষে বান্ধবীকে বিদায় দিয়ে ফিরে এলেন।সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে অনেক ভাল লেগেছে।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপু।
সত্যিই আপু পুরানো বান্ধবী গুলো হঠাৎ করে দেখা করলে অনেক ভালই লাগে। আসলে হঠাৎ করে কোন কিছু হলে অনুভূতি অন্যরকম লাগে। যেমন আপনি শুয়ে রইলেন দুপুরের খাবার খেয়ে। তারপর আপনার বান্ধবী ফোন করল। তবে বান্ধবীর সাথে দেখা করতে গিয়ে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে দুপুরে খাবার পর কোন কিছু খেতে অনেকের ইচ্ছে করে না। তারপরও ছোট বাচ্চারা কিছু খেলো এটাই অনেক ভালোই লাগলো। আপনার বড় মেয়ের জন্য আপনি জলদি চলে আসলেন। খুব সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সত্যি বলেছেন আপু হঠাৎ করে বান্ধবীর সাথে দেখা হলে অন্য রকম আনন্দ লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালই হয়েছে বান্ধবী আসা উপলক্ষ্যে ঘুরাঘুরি করতে পেরেছেন। বড় মেয়েকে নিয়ে গেলেও পারতেন ঘুরে আসত তাও ভাল দই কেক নিয়েছেন তাতে যদি একটু মন ভাল হয়। তবে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ অনেক সুন্দর। আমি কখনো যাইনি তাই দেখিনি। এত সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজানো দেখে ভাল লেগেছে। বান্ধবীর সাথে অনেক দিন পর দেখা হয়ে জমিয়ে আড্ডাও দেয়া হল। ধন্যবাদ আপু।
আরে ভাইয়া বড় মেয়ে স্কুলে ছিল, তাই তারাতাড়ি রেডি হয়ে চলে গিয়েছি।না গেলে কি খাবার তো আনতেই হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।