জেনারেল রাইটিং :-মেয়েদের ইচ্ছের কোন দাম নেই শশুর বাড়িতে
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
জেনারেল রাইটিং :-মেয়েদের ইচ্ছের কোন দাম নেই শশুর বাড়িতে
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। একজন মেয়ে মানুষ কত কষ্ট করে সংসার করে। আসলে মেয়েরা যখন কাজ করে তারা তাদের মন থেকেই করে। আর তারা তাদের সংসারের জন্য জীবন দিতে ও রাজি থাকে।তবে সংসারে তাদের ইচ্ছের কোন দাম নেই। যেমন ধরুন একটা মেয়ে সংসারে সব কিছু করে।তবে সে যদি একটু কিছু কাউকে দিতে চাই তাহলে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। তবে আমার মনে হয় এটা সবার ক্ষেত্রে হয় না।
আমাদের পাশের বাড়ি ভাবি তার সংসারের জন্য জীবন দিতে পারে।আবার তার শশুর বাড়ির লোকজন এলে সে নিজের পালন করা হাঁস মুরগি ইত্যাদি খাওয়ানোর চেষ্টা করে। তবে তার বাবার বাড়ির লোকজন এলে সে তাদের খাওয়াতে চাই কিন্তু তার স্বামী বা শাশুড়ি কেউ কিছু করতে দেয় না। তখন তার অনেক কষ্ট লাগে। আসলে আত্মীয় তো আত্মীয়। তারা যেকোন জায়গা থেকে আসুক না কেন আমাদের সবার উচিত নিজের সাধ্যমতো খাওয়ানো।
তারপর ভাবির বাড়ির তেমন কেউ আসে না। তবে তাদের পাশেই তার বোনের বাড়ি। কিন্তু বোন ঢাকায় থাকে। অনেক দিন পর পর আসে।একদিন ভাবির বড় জারা সবাই আসবে। আর তখন তার বোন বাড়িতে এসেছে। ভাবি নিজের পালন করা হাঁস রান্না করবে। তাই বলেছে তার বোনকে বলবে।এ কথা শোনে তার শাশুড়ি বলেছে হাঁস রান্না করতে হবে না। কারণ ভাবি তার বোনকে কেন বলবে।এ কথা শোনে ভাবি মনে অনেক কষ্ট পেয়েছে। নিজের পালন করা জিনিস ভাই বোনদের খাওয়ানো যাবে না। এটা কেমন সংসারে থাকি।যে সংসারে আমার কোন দাম নেই।
সেই রাগে অভিমান করে সে আর হাঁস জবাই করেনি।আসলে করেনি বললে ভুল হবে। তার শাশুড়ী তাকে করতে দেয়নি।অথচ সেই দিন তার বোন আর আসেনি।কিন্তু তার জারা এসেছে।তারপর ভাবি আর কিছু করেনি তাদের জন্য। আসলে এটা করতে ভাবি বাধ্য হয়েছে। যাইহোক আমরা মেয়েরা এখনো বন্ধী। সবাই বলে ছেলে মেয়ের সমান অধিকার কিন্তু বাস্তবে এটা হয় না।তবে আমার মনে হয় এমন করা উচিত নয়। আসলে আমাদের সবার উচিত মেয়েদের কথা শোন।আর যে স্বামী তার কথা বেশি শোনা উচিত। দুজনের একমত না হলো সংসার করা মুশকিল। আসলে স্বামীদের বিপদের সময় পাশে স্ত্রী ছাড়া আমার মনে হয় কেউ পাশে থাকে না। যাইহোক সবাই মেয়েদের ইচ্ছের মুল্যায়ণ করুন।
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1962165805568929988?t=h6kfJXRJd37nL2DQuarDbQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1962166854987993218?t=ygaWUH6yMu3jWV3DANdI2g&s=19
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1962167573342310483?t=h-BLgmrUmLWw_wGXbXj4xA&s=19
একজন নারী যখন ভালোবাসা দিয়ে সংসার গড়ে তোলে, তখন তার ইচ্ছারও সম্মান পাওয়া উচিত। শুধু সংসারের দায়িত্বই নয়, নিজের আপনজনদের জন্য সামান্য কিছু করতে চাওয়াটাও তার অধিকার। আপনার লেখায় বাস্তব জীবনের কষ্টগুলো খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। সমাজে মেয়েদের ইচ্ছাকে ছোট করে দেখার এই মানসিকতা পরিবর্তন হওয়া জরুরি। সত্যিই দারুণ লিখেছেন আপু পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ।