জেনারেল রাইটিং :- পরিশ্রম আর ধৈর্য থাকলে সব কিছুই সম্ভব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট।
জেনারেল রাইটিং :- পরিশ্রম আর ধৈর্য থাকলে সব কিছুই সম্ভব
বরাবরের মত আজ আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে।আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। আসলে আমাদের জীবনে সফলতা পেতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আর কোন কাজে এক বার ব্যর্থ হলে হবে না বারবার চেষ্ঠা করলে সফলতা আসবেই । আসলে মানুষ সফল হবার পরে সবাই খোঁজ নেয়। কিন্তু সফলতা পেতে তার যে কষ্ট করতে হয়েছে তার কোন শেষ নেই। ভালোর সময় সবাই পাশে থাকে কিন্তু খারাপ সময়ে কেউ থাকেনা।তবে আমি মনে করি জীবনে সফলতা আনতে হলে কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য ধরতে হবে।
আমরা বেশ কিছু দিন আগে একটা ট্রেনিং গিয়েছিলাম। আসলে ট্রেনি অনেক কিছু শিখিয়েছে।সত্যি বলতে আমাদের জীবনে শিক্ষার শেষ নেই। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিখতে হয়।যাইহোক রানু আপা তার চেষ্টার জোরে সব পরিবর্তন করেছে। রানু আপারা দুইবোন,ছোটবেলা মা মারা গিয়েছে। আসলে পৃথিবীতে যার মা নেই তার মত কষ্টের জীবন মনে হয় কারো নেই। রানু যখন ছোট তখন তার মা মারা যাওয়ার পরে তার খালার বাড়িতে এসেছে। খালার কাছেই বড় হয়েছে তবে বাবা তেমন কোন খোঁজ খবর নেই না। রানু যখন ক্লাস এইটি পড়ে তখন থেকে চেষ্টা করত কিছু করে নিজের সব খরচ চালানোর জন্য। তাই সে কাঁথা সেলাই করে টুকিটাকি খরচ চালাতো।এভাবে আস্তে আস্তে সে বড় হয় আর ব্যবসা করতে উদ্যোগ নেই। একদিন রানু একটা এনজিও থেকে ৫০০০ টাকা লোন নেই।তারপর সেই টাকা দিয়ে রানু কিছু থ্রি পিস এনে বাড়িতে বিক্রি করে। এভাবে আস্তে আস্তে রানু ব্যবসায় লাভ করতে থাকে।
এভাবে চলে গেল বেশ কিছু দিন। এদিকে রানু টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি।রানু টেইলর এর কাজের পাশাপাশি জামাকাপড় বিক্রি করে থাকে। তারপর রানুকে আবার এনজিও থেকে ২০০০০ টাকা লোন দেই।তবে রানু বিশ হাজার টাকার কাপড় কিনে এনেছিল ঠিক কিন্তু এবার আর লাভ করতে পারিনি।তবে লোন চালাতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এক পর্যায়ে রানু অভাবে তার ব্যবসা ছেড়ে দিতে চেয়েছিল।আসলে এনজিও গুলো লোন এলোমেলো দিলে আর দিতে চাই না। এখন রানুর ব্যবসার জন্য আবার টাকা দরকার কিন্তু কোথায় টাকা পাবে।অনেক ঘুরে ফিরে আবার ৪০০০০ টাকা লোন নিল। এখন আবার রানুর ব্যবসা বেশ ভালো চলছে।
আসলে ব্যবসা তো এমনি একবার লাভ আবার লস।যাইহোক রানু এখন বড় একজন সফল ব্যবসায়ি।এক সময় রানুকে কোন এনজিও থেকে লোন দেয়নি কিন্তু আজ রানু চাওয়ার আগে লোন দেবার জন্য অস্হির। আজ রানু সফল ব্যবসায়ি।আজ প্রায় কোটি টাকার মালিক রানু।তবে এর জন্য রানুকে করতে হয়েছে কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য।একবার ব্যবসায় লস খেয়ে বাদ দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু তার ধৈর্যের জন্য আজ সে সফলতা পেয়েছে। এখন রানুর কয়েকটি দোকান আর অনেক কিছু হয়েছে।আজ রানু সফল তাই সবাই রানুকে খোঁজে। তবে একদিন রানু সবাইকে খুঁজে ছিল। শুধু তার পরিশ্রম আর ধৈর্যের জন্য আজ সে সফল ব্যবসায়ি।আসলে আমরা পরিশ্রম এর মাধ্যমে সফলতা আনতে পারি।
রানু আপা আজ তার খালাত ভাইয়ের সাথে ব্যবসা করে বেশ বড় হয়েছে। তাকে দেখে আরও অনেকে এভাবে ব্যবসা করতে আগ্রহী প্রকাশ করেছে।আসলে ব্যবসায় সফলতা আসবে তবে ধৈর্য ধরতে হবে।যাইহোক সবাই রানু আপাদের জন্য দোয়া করবেন। আর আমাদের সবার উচিত পরিশ্রম করা। আর পরিশ্রম এর মাধ্যমে জীবনে সব কিছু সম্ভব। আশাকরি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1842508614927528415?t=RNMG6ZLDr3fNoiFcDjQ-JQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রানু আপার গল্প পড়ে বেশ ভালো লাগলো আমার। আসলে প্রত্যেকটা মানুষ যদি ধৈর্য সহকারে কোন একটি কাজে লেগে থাকে তাহলে সেখানে সফলতা অর্জন করতে পারে। তাই ধৈর্যশক্তি টা বড় জিনিস। এখানে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন উনি তাই তার আজকে ভালো অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া ধৈর্য আর পরিশ্রম করতে পারলে ভালো কিছু হবে এটাই স্বাভাবিক। ধন্যবাদ আপনাকে।
রানু আপার মত অনেক মানুষ আছে যারা নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে যায়। আর সফলতার গল্প গুলো সম্পর্কে জানতেও ভালো লাগে। ভালো লাগলো পোস্ট পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাইয়া এমন মানুষ আছে বলেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
এই ধরনের ট্রেনিং গুলোতে গেলে অনেক কিছুই শেখা যায়। আসলে আমরা অনেক সময় অন্যের কথা শুনে উৎসাহ পাই। আর নিজ উদ্যমে এগিয়ে যাই। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার এই পোস্ট পড়ে। সফলতা এমনিতে আমাদের জীবনে আসে না। সেজন্য অবশ্যই নিজের চেষ্টা এবং পরিশ্রম দরকার হয়।
জি আপু সফলতা আসতে হলে চেষ্টা আর ধৈর্যের প্রয়োজন, ধন্যবাদ আপু।
যখন রানু আপুর হাত শূন্য ছিল তখন কেউ তাকে লোন দিতে চায়নি।কিন্তু এরপর যখন তার ব্যবসা বড় হয়ে গিয়েছে তখন সকলেই হাত বাড়ালেই তাকে লোন দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়।ঠিক বলেছেন আপু পরিশ্রম ও ধৈর্য মানুষকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। জীবনে পরিশ্রম ছাড়া এবং ধৈর্য ছাড়া কখনোই কোন কাজে সফল হওয়া যায় না। আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।