মেডিকেল কলেজ হসপিটালে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট।
মেডিকেল কলেজ হসপিটালে ঘোরাঘুরি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা ঘোরাঘুরি পোস্ট নিয়ে। ঘুরতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি।তবে মনে যদি আনন্দ থাকে তাহলে ঘুরে অনেক মজা পাওয়া যায়। আর মন ভালো না থাকলে ঘুরতে তেমন ভালো লাগে না। আসলে কয়েক দিন আগে আমি গিয়েছিলাম মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে। আসলে মেয়ের কানের পাশে ফুলে ছিল তাই দেখে অনেক ভয় পেয়েছিলাম। কান আর মাথার মাঝ খানে তাই ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। যাইহোক আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্য করেন। ডাক্তার দেখানোর পরে মনে সাহস এলো।ঠান্ডা থেকে এমন হয়েছে। তারপর ডাক্তার অনেক এন্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়েছে। ওষুধগুলো এখনো চলছে। আমরা মেডিকেল কলেজে গিয়েছিলাম ভাইয়ার অফিসে। আসলে আমাদের এক ভাইয়া মেডিকেল কলেজে চাকরি করে তার সুবিধার্থে আমরা মেডিকেল কলেজে বড় ডাক্তার দেখায়। যেহেতু মেডিকেল সরকারি আর আপনারা তো সবাই বুঝেন এমনিতে ডাক্তার দেখানো অনেক মুশকিল আর সরকারি হলে তো দেখানো সম্ভবই হয় না। যাইহোক মেয়েকে নিয়ে বৃষ্টির ভিতরে চলে গেলাম ডাক্তার দেখানোর জন্য। তারপর ডাক্তার না থাকার কারণে মেয়েকে নিয়ে মেডিকেল কলেজের ভিতরে ভাইয়া অফিসের ভিতরে ও বাইরে বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করেছি। আমরা যখন ঘুরতে গিয়েছি তখন তেমন বৃষ্টি ছিল না তাই বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছি। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
যেহেতু আমরা ডাক্তার দেখাতে গিয়েছি তাই যাবার সাথে সাথে ভাইয়াকে ফোন দিলাম কলেজ থেকে হসপিটালে আসার জন্য। আমার ফোন পেয়ে ভাইয়া তারাতাড়ি চলে আসলো।আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম আর ভাইয়া গিয়ে একটা টিকিট নিয়ে আসল। আসলে আমরা গেলে হয়তো ঘন্টা পার হয়ে যেত তারপর টিকিট নিতে পারতাম কিনা বলা যায় না।তবে ভাইয়া এখানের স্টপ দেখে যাওয়ার সাথে সাথে পাঁচ মিনিটের টিকেট নিয়ে আসলো। তারপর আমরা সরাসরি চলে গিয়েছিলাম নাক কান গলার ডাক্তার দেখানোর জন্য। আমরা তখনো বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম ।তবে ভিতরে গিয়ে দেখলো ডাক্তার রাউন্ডে আছে, আসতে সময় লাগবে প্রায় ঘন্টাখানেক।তারপর ভাইয়া নার্সকে বলে দিল স্যার আসার সাথে সাথে আমার ভাজতিকে দেখিয়ে দিতে। তারপর ভাইয়ার অফিসে কাজ থাকার জন্য চলে গেল আমাদের ও যেতে বলল কিন্তু আমি যায়নি। ভাবলাম ডাক্তার আসার সাথে সাথে দেখিয়ে চলে যাব।কিন্তু কিছু সময় পর আমার মেয়ে অস্হির হয়ে পড়লো বাইরে বের হবার জন্য। তারজন্য বাধ্য হয়ে ভাইয়া অফিসের ওদিকে ঘুরতে গিয়েছিলাম।
আসলে হাসপাতাল থেকে ভাইয়ার অফিসে যেতে অনেক দূর যেতে হয়। ভিতর দিয়ে বেশ ভালো রাস্তা আছে। যদি ও এখানে সব সময় হাসপাতালের গাড়ি বেশি চলে। আর রাস্তার দুপাশ দিয়ে অনেক সুন্দর ফুল বাগান। তারপর বৃষ্টি হবার কারণে সব ধুলো ময়লা ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তারজন্য রাস্তা গুলো দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল। আমরা দুই পাশ দিয়ে বেশ ভালো করে ঘুরেছি।প্রথমে যেতে চেয়েছিলাম না কিন্তু পরে গিয়ে বেশ ভালোই লেগেছে।
তারপর আমরা যখন ভাইয়ার অফিসের সামনে গেলাম সেখানে ফুল গাছ গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে কিছু সময় পরপর অ্যাম্বুলেন্স আসছে মেডিকেল কলেজের দিকে। এটা দেখে আমার মেয়ে অনেক ভয় পেল।ভাইয়া আবার কলেজের ভিতরে কোয়াটারে থাকে। আমাদের যেতে বলল কিন্তু আমার মনের ভিতরে চিন্তা আছে কখন ডাক্তার দেখাব।আসলে ডাক্তার না দেখানো পর্যন্ত আমার ভালো লাগছে না। তাই আর বেশি দূর গেলাম না।তবে মেয়ের ইচ্ছের জন্য কলেজের ভিতরে একটু ঘোরাঘুরি করেছি। বৃষ্টি ভেজা সব কিছু দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল। তারপর ভাইয়াকে নার্স ফোন দিল ফোন পাবার সাথে সাথে আমরা চলে গেলাম হসপিটালে।
আমরা গিয়ে দেখি অনেক লোক বসে আছে। তারপর আমি মেয়েকে নিয়ে সরাসরি ভিতরে চলে গেলাম। যাবার সাথে সাথে ডাক্তার দেখে ঔষধ লিখে দিল আর ঠান্ডা কিছু খেতে নিষেধ করল। বললে এরকম ঠান্ডা থেকে হয়েছে ঠান্ডা সহজে লাগাবেন না। তারপর আমি মেয়েকে নিয়ে ঔষধ কিনতে চলে গেলাম।আসলে নিজের লোক না থাকলে ডাক্তার দেখাতে অনেক ঝামেলা। ভাইয়ার জন্য আমরা সহজে ডাক্তার দেখাতে পারি।তারপর ঔষধ নিয়ে চলে আসলাম রাস্তার দিকে।
তারপর আমরা রাস্তা থেকে রিক্সার উঠলাম। তবে বৃষ্টিতে অনেক পানি জমেছে। অনেক দিন হলো এভাবে বৃষ্টির দিনে রিক্সায় ঘুরা হয়নি।বেশ ভালোই লেগেছিল। সময়টা অনেক ভালো কেটেছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1843646466818277548?t=wIxj4h0sEweI34aC-Bb3Pw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাড়িতে বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে চিন্তার শেষ থাকে না।ডাক্তার আসতে দেরি দেখে আপনারা ঘোরাঘুরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো।তাছাড়া অনেক কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়া ফুল গাছ দেখতে পেলাম।শেষমেষ ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে চিন্তার শেষ থাকে না। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ার জন্য।
ঘোরাঘুরির সুন্দর একটি মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার চমৎকার এই পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। সর্দি জ্বর হলে ঠান্ডা জাতীয় কোন কিছু খেতে হয় না। ডাক্তার সুন্দর পরামর্শ দিয়েছে। আর এদিকে তো রাস্তার অবস্থা দেখে বুঝতে পারছি বৃষ্টি হয়েছে ভালোই। যাহোক বেশ ভালো লাগলো বিস্তারিত সব কিছু জেনে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
বাচ্চা অসুস্থ হলে চিন্তা সত্যি অনেক বেড়ে যায়। আর যদি মাথায় কোন কিছু ওঠে কিংবা কানের কাছে কোন কিছু ওঠে তাহলে সত্যি অনেক চিন্তার বিষয় আপু। আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
জি আপু দোয়া করবেন, আসলে আপু বাচ্চারা অসুস্থ হলে কিছুই ভালো লাগে না। ধন্যবাদ আপনাকে।
হসপিটালে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে সমস্যা হলে সমস্যার জন্য ডাক্তার রয়েছে তবে সমস্যা সমাধানের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ। তাই ঠান্ডা জাতীয় জিনিস খেতে মানা করেছে আপনি অবশ্যই এগুলো বাবুদের মেনে চলতে বলবেন। যা হোক অনেক কিছু জানতে পারলাম পোস্ট পড়ে।
জি আপু চেষ্টা করবো মেনে চলার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।