গরুর খাবার কেনার মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।
গরুর খাবার কেনার মুহূর্ত
আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে চিনতে আমরা সবাই অনেক ভালোবাসি। তবে সবাই সব কিন্তু কিনতে পারে না একথা একদম সত্য। আসলে আমাদের বাড়িতে একটা ফ্রিজিয়ান গরু আছে। পাঁচমাস ধরে গরুটি একটা বাচ্চা দিয়েছে। আসলে ফ্রিজিয়ান গরু অনুযায়ী তেমন দুধ হয় না।তারপর যা হয় মাশাআল্লাহ। তবে বড় গরুর অনেক খাবারের প্রয়োজন। তবে আমাদের গরুর খড়, কুড়া ও ঘাস বাড়িতেই আছে এগুলো আর কিনতে হয় না। বরং খেড় আরো আমরা বিক্রি করে থাকি।তবে গমের ভূষি, খেসারির ভূষি এগুলো কিনে খাওয়াতে হয়।যাইহোক গরুর খাবার সব সময় আপনাদের ভাই এক সাথে এক মাসের খাবার নিয়ে আসে। এবারো এনেছিল কিন্তু খেসারির ভুসি হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আর আপনার ভাই বেশি ব্যস্ত থাকার জন্য আর শহরে যেতে পারেনি।আমি কয়েক দিন আগে গিয়েছিলাম তাই আমাকে আপনার ভাই কিছু খেসারির ভুষি কিনে আনতে বলল। কিছু ভুষি কিনতে গিয়ে মহা বিপদে পড়েছিলাম। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমাদের ফরিদ পুর শহরের দুই পাশে বাজার।একটাকে এপার বাজার আর একটা ওপার বাজার বলে । আসলে নদীর দুই পাশে বাজার। আর নদীতে রয়েছে বড় একটা লোহার ব্রিজ। যাইহোক আমি প্রথমে ওপার বাজার থেকে আমার প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো কিনে এনেছি। তারপর বাচ্চাদের জন্য টুকিটাকি কিনেছি। তারপর ব্রিজ পার হয়ে চলে আসলাম গরুর খাবার কেনার জন্য। আসলে গরুর খাবার কখনো কিনিনি তাই এগুলো সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না। শুধু আপনার ভাইকে ফোন করে বললাম ভূষি কতটা কেজি।তারপর প্রথম একটা গলি দিয়ে বাজারের ভিতরে চলে গিয়েছি।আসলে এবার বাজার সহজে যাওয়া হয় না।
প্রথম গলিতে গিয়ে খেসারির ভূষির কথা বলাতে তারা আমাকে বললো আপনি তিন নম্বর গলিতে যান।আসলে হাতে অনেক জিনিস তারপর আবার গলিতে গলিতে ঘুরা সত্যি মুশকিলের কাজ।তবে কিছু করার নেই খাবার তো কিনতেই হবে। তারপর ঘুরে চলে গিয়েছি তিন নম্বর গলিতে। সেখানে গিয়ে দেখি শুধু গরুর খাবারের দোকান। তারপর একজনকে বললাম আমি কিছু খেসারির ভূষি কিনবো।তারপর দোকানদার চাচা বললো আপনি কি বস্তা ধরে কিনবেন। তখন আমি বললাম না দশ কেজি কিনবো।তখন দাম জিজ্ঞেস করাই দোকানদার বললো ৬০ টাাক করে।তখন আমি দশ কেজি দিতে বললাম। দোকানদারের লোকজন খুব সহজে আমাকে দশ কেজি মেপে দিল।
তারপর দোকানদার ভাইকে বললাম আমাকে একটু অটোতে তুলে দিয়ে আসতে। উনারা ঠিক নিয়ে আসতে লাগলো।দুই পা যেতে না যেতেই পলিথিন ছিড়ে ভূষি গুলো পড়ে গেল। আসলে ভূষি আনতে হলে ব্যাগ নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু কখনো কিনিনি তাই আমার জানা ছিল না।তারপর আর কি করা আর একটা ব্যাগ কিনে ভূষি গুলো গুলো এনেছি।সত্যি কতো কিছু কিনি কিন্তু কয়েক কেজি ভূষি কিনতে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে।তবে ভালো একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1863211066777632864?t=oJVSXw6farA-pejY-fsbSQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন আপু এই গরুগুলোর অনেক খাদ্য লাগে। আমার খামারেও তিনটা আছে ওদের অনেক খাবার দিতে হয়। যদিও আমি পুরো মাসের খাবার একবারেই নিয়ে আসি। গরুর খাবার কেনার মুহূর্ত পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু।
আসলে বস্তুা এবং কেজির দাম দুটোই অনেক পার্থক্য,তাই বস্তার থেকে কেজির দাম টা একটু বেশি হয়। আর বাজারে এগুলো খরচ করলে অনেক অভিজ্ঞতা হয়।আপনার গরুর খাদ্যের খাবার কিনার অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।