ভাগ্নের জন্য খেলনা কিনার মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
ভাগ্নের জন্য খেলনা কিনার মূহুর্ত
ববাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে বেশ কিছু দিন আগে আমরা দুই বোন মিলে গিয়েছিলাম মার্কেটে। আসলে পোস্টটি করব করব করে আর করা হয়নি। তবে এক সপ্তাহের বেশি পরিবারের একের পর এক জনের অসুস্থ লেগেই আছে। তবে আজ সকালে থেকে ছোট মেয়েটার জ্বর একটু কমেছে কিন্তু বড় মেয়ের আবার দুপুর থেকে এসেছে। আসলে বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে মা কি আর সুস্থ থাকতে পারে। তারপর দুটি বাচ্চা অসুস্থ। যাইহোক আজ এসেছি ভাগ্নের জন্য খেলা কিনার মূহুর্ত নিয়ে। আসলে আমার ভাগ্নের বয়স দেড় বছর। সে খেলনা কিনবে তাই আমরা আমার বোনের বাসায় গিয়ে বোনের সাথে খেলনা কিনতে গিয়েছিল। সেই মূহর্ত আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
যেহেতু আমরা খেলনা কিনতে গিয়েছি তাই আমরা আগে খেলনার দোকানে আসলাম। আসলে ভাগ্নে তো ছোট, তাই আমি ভেবেছিলাম যেকোন একটা খেলনা দিলেম চলবে। সত্যি বলতে বর্তমান যুগের বাচ্চা বলে কথা। মানুষ কিন্তু ছোট কিন্তু সে যেটা বলবে সেটাই নেবে । তারপর আমার ভাগ্নে মাঝের পুতুল টি কিনবে। তার জন্য পুতুলটি কিনা হলে। পুতুল পেয়ে সে অনেক খুশি।আসলে ভাগ্নে কিনবে খেলনা ঠিক কিন্তু সাথে আমার বাচ্চারা ও কিনবে ।
এখন আমার ছোট মেয়ে খেলনা কিনবে। সে ও পুতুল নেবে, তবে এটা না অনেক গুলো। যদিও এই সব পুতুল অনেক কিনেছে তারপর ও সে সেগুলোই নেবে।কি আর করা তারপর ছোট মেয়ের জন্য পুতুল দেখতে লাগলাম। আসলে দুই মেয়ে পুতুল তো আর কম কেনেনি।বর্তমান একই পুতুল দাম চায় ডাবল।কি আর করা তারপর ছোট মেয়ের জন্য মাঝের তিনটা পুতুল কিনলাম। এখন আবার বড় মেয়ের বলছে সবাইকে কিনে দিয়েছো আমার তা কো।কি আর করা আবার চলে আসলাম বড় মেয়ের জন্য কিছু কিনব বলে।
অবশেষে আরো কতো গুলো খেলনা দেখা হলো।আমার বড় মেয়ে এক ঝুড়ি ভর্তি খেলনা কিনলো।যাইহোক সবারই টুকিটাকি খেলনা কিনা শেষ। তবে এবার কপাল ভালো কেউ দুটি খেলনা নিতে চায়নি। আমার দুই বাচ্চা এই সকল খেলনা অনেক কিনেছে।বলে আগের গুলো পুরানো হয়েছে। যাইহোক মাঝে মাঝে বাচ্চাদের কিছু দিতে পারলে নিজের কাছে ও অনেক ভালো লাগে। তবে বাচ্চারা তো সামান্য জিনিসে অনেক খুশি। আর বাচ্চাদের খুশি দেখে আমার কাছে ও অনেক ভালো লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আব৭দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/7) Get profit votes with @tipU :)
আসলে ছোট বাচ্চাদের যতই খেলনা থাকুক না কেন, তারা খেলনার দোকানে গেলে অবশ্যই খেলনা খেলবে। বিভিন্ন রকমের খেলনা না কিনে তারা কখনোই বাড়ি আসবেনা। আপনার ভাগ্নের জন্য খেলনা কিনতে গিয়ে দেখছি আপনার মেয়ে অনেক বেশি খেলনা কিনেছে। আপনার সম্পূর্ণ পোস্টটা বেশ ভালোই উপভোগ করলাম। আশা করছি আপনার ভাগ্নে খেলনাটা পেয়ে অনেক খুশি হয়েছিল।
জি ভাইয়া বাচ্চাদের এটা সম্ভব তাদের যতই খেলনা থাক না কেন তারা খেলনা দেখলে কিনবেই।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে বাচ্চাদেরকে খেলনা কিনে দিলে তারা অনেক বেশি খুশি হয়। কারণ ছোট বাচ্চারা খেলনা খুবই পছন্দ করি। আমার মেয়েটা তো এইধরনের খেলনা খুবই ভালোবাসে ,খেলনার দোকানে গেলে তাকে খেলনা অবশ্যই কিনে দিতে হয়। আপনার বড় মেয়ে ঝুড়ি ভর্তি খেলনা কিনেছিল জেনে ভালো লাগলো। আপনারা আপনার ভাগ্নের জন্য খেলনা কিনেছিলেন, সেই মুহূর্তটা সত্যি অনেক বেশি সুন্দর ছিল।
জি আপু বাচ্চাদের যতই থাক না কেন, খেলনা দেখলে কিনে দিতে হবে। ধন্যবাদ আপু।
আমার খুব শখ করে এমন একটা ভাগ্নে যদি আমার থাকতো। ছোটদের জিনিস পত্র কিনতে বেশ ভালোই লাগে।দারুন ইঞ্জয় করেছেন ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দোয়া করি তারাতাড়ি একটি ভাগ্নে আপনার ঘরে আসুক, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার পরিবারে যেন অসুস্থতা ছেড়ে যাচ্ছেই না। পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য অসুস্থ হতেই চলেছে। কিছুদিন আগে ভাই অসুস্থ ছিল এরপর আপনার ছোট মেয়ে আবার এখন আপনার বড় মেয়ে। সবদিনে অসুস্থর মধ্যে দিয়ে আপনাদের দিন পার হচ্ছে। পরিবারের জন্য সুস্থতা কামনা করছি। আর এর মধ্য দিয়ে আপনার ভাগ্নের জন্য বেশ কিছু খেলনা কিনেছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া দোয়া করবেন যেন তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে, ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমে আপনার দুই মেয়ের জন্য অনেক দোয়া রইল যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। আসলে ওয়েদারটা ভালো যাচ্ছে না সবার ঘরে ঘরে অসুস্থতা। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে কয়েকদিনের মধ্যে। তো ভাগ্নির জন্য খুব সুন্দর খেলনা কিনলেন। আসলে এই বয়সের বাচ্চাদের খেলনার প্রতি অনেক বেশি আকর্ষণ। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
ভাগ্নির জন্য অনেক সুন্দর একটি খেলনা কিনেছেন আপু। সত্যি বলতে গেলে বাচ্চারা এরকম খেলনা ভীষণ পছন্দ করে। আপনার বড় মেয়ে ঝুড়ি ভর্তি খেলনা কিনেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।