কচুর ডাটা ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
বরাবরের মতো আজ আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আমাদের মাছ ভাত সবারই অনেক প্রিয় খাবার। আর সেই মাছ গুলো যদি হয় নদীর তাহলে তো কোন কথায় নেই। আর নদীর টেংরা মাছ গুলো অনেক মজার। আমার কাছে টেংরা মাছ অনেক ভালো লাগে। কাটতে ও বেশ ভালো লাগে আর খেতেও অনেক ভালো লাগে। আসলে টেংরা মাছের কাটা কম থাকে বলে বেশ ভালো লাগে।যাইহোক কাঁঠালের বিচি কিন্তু অনেক মজার। আমি কিন্তু তেমন কাঁঠাল খায় না কিন্তু বিচি অনেক ভালো লাগে। তো রেসিপিটি অনেক মজা হয়েছিল।তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
টেংরামাছ | ৮পিস |
কচুর ডাটা | ১ টি |
কাঁঠালের বিচি | পরিমাণ মতো |
পিঁয়াজ কুঁচি | ২ টি |
পিঁয়াজ বাটা | ২ চামচ |
আদা ও রসুন বাটা | ১ চামচ করে |
হলুদের গুঁড়ো | ১ চামচ |
মরিচের গুঁড়ো | ১চামচ |
ধনের গুঁড়ো | ১/২ চামচ |
জিরার গুঁড়ো | ১/২চামচ |
তেল | পরিমাণ মতো |
লবন | স্বাদমতো |
ধাপ-১
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে আমি একটি কড়ায় নিয়েছি তারপর কড়ায় গরম হয়ে আসলে ভিতরে তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ-২
![]() | ![]() |
---|
তেল গরম হয়ে আসলে কুচি করে রাখা পিঁয়াজ দিয়ে দিলাম তারপর পিঁয়াজ বাদামি রঙের হয়ে আছে পিঁয়াজের পেস্ট দিয়ে দেব।
ধাপ-৩
![]() | ![]() |
---|
এখন আদা ও রসুন দিয়ে কিছু ক্ষণ কষিয়ে নেব। তারপর সকল মষলা দিয়ে আরো কিছু সময় কষিয়ে নেব।
ধাপ-৪
![]() | ![]() |
---|
এখন একটু পানি দিয়ে আর একটু কষিয়ে নেব তারপর ধুয়ে রাখা মাছগুলো দিয়ে দেব।
ধাপ-৫
![]() | ![]() |
---|
মাছগুলো কষানো হয়ে গেলে তুলে নেব।তারপর সেই মসলার ভেতরে কেটে ধুয়ে রাখা তরকারি গুলো দিয়ে দেব।
ধাপ-৬
![]() | ![]() |
---|
তরকারি কষাণো হয়ে গেলে সিদ্ধির জন্য পানি দিয়ে দেব। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেবো।
ধাপ-৭
![]() | ![]() |
---|
পানি ফুটে আসলে কষিয়ে রাখা মাছগুলো দিয়ে দেব। মাছ দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে জিরার গুঁড়ো দিয়ে দেব।
ধাপ-৮
![]() | ![]() |
---|
ব্যস এভাবে হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নেব। এখন একটি বাটিতে তুলে পরিবেশন করব। আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
কচুর ডাটা এবং কাঁঠাল বিচি দুইটাই হচ্ছে আমার অনেক প্রিয় খাবার। আপনি টেংরা মাছ দিয়ে কচুর ডাটা এবং কাঁঠাল বিচি দিয়ে রান্না করছেন রেসিপিটি অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে। বেশ মজার করে রান্না করেছেন আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু অনেক মজা হয়েছিল,ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি বেশ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। কাঁঠালের বিচি এবং টেংরা মাছের দুর্দান্ত একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রান্নার প্রক্রিয়া অসাারণ ছিল।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু রেসিপিটি অনেক মজা হয়েছে হয়েছিল,ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁঠালের বিচি আমারও খুবই পছন্দের। তবে টেংরা মাছ ও কচুর ডাটা দিয়ে কাঁঠালের বিচি এভাবে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপির কালার টি খুবই লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জি আপু অনেক মজা হয়েছিল, ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
নদীর যে কোন মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে। আর মাছগুলো খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়।
কচুর ডাটা ও কাঁঠালের বিচি দুটোই আমার ভীষণ প্রিয়। টেংরা মাছের সাথে কচুর ডাটা ও কাঁঠালের বিচি রান্না করেছেন দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজার হয়েছিল। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আপু আপনার প্রিয় জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার রেসিপিটা দেখেই তো আমার জিভে জল চলে এসেছে। রেসিপির কালার টি দেখে বোঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছে।কচুর ডাটা ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি। এ ধরনের রেসিপি খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে ভাইয়া জল আসার মতোই রেসিপি ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
নদীর টেংরা মাছগুলি অনেক স্বাদের হয়ে থাকে।কচুর ডাটা ও কাঁঠালের বিচি কখনো একত্রে খাওয়া হয় নি।টেংরা মাছ ও কাঁঠালের বিচি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে।আমরা মাছগুলি ভেঁজে রান্না করি,তাছাড়া আপনার রেসিপিটিও সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপু।
আসলে আপু তাজা মাছ আমি ভাজি না, ধন্যবাদ আপু অনেক মজা হয়েছিল।
কচুর ডাটা ও টেংরা মাছ কাঁঠালের বিচি দিয়ে রান্না করতে এই প্রথম দেখেছি। কাঁঠালের বিচি দিয়ে অনেক তরকারি রান্না করা যায় তবে কচুরি ডাটা রান্না করতে প্রথম শুনলাম। নতুন নতুন রেসিপি দেখিতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে আপনার রেসিপিটা আমার পছন্দ হয়েছে ধন্যবাদ।
আপু এভাবে একদিন রান্না করবেন অনেক মজা লাগে, ধন্যবাদ।
কচুর ডাটা ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপিটি বেশি ইউনিক একটি রেসিপি। আপনি বেশ ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন কারণ কচুর ডাটা ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি আমি এর আগে কখনো খাইনি। রেসিপিটির কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। অসম্ভব সুন্দর উপস্থাপনা ছিল আপনার। অনেক শুভকামনা রইল।
জি ভাইয়া রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
টেংরা মাছ আমার খুব প্রিয় মাছ। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে কচুর ডাটা এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি করছেন। এখনকার সময় কাঁঠালের বিচি খেতে অনেক মজাই লাগে। সত্যি বলতে আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে। আমারও মন চাইতেছে রেসিপিটি খেতে। অনেক সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
টেংরা মাছে কাটা কম থাকে এই কথা সত্যি, তবে এই টেংরা মাছের ঘাড়ের কাছে একটা কাটা থাকে যেটা যদি গলায় আটকে যায় তাহলে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয় সেটা দূর করার জন্য। এজন্য সাবধানতা অবলম্বন করে খাওয়া উচিত। যদিও টেংরা মাছ ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেক পছন্দ করি সেটা বিলের হোক বা নদীর হোক। আপনার রেসিপিটা নতুন নয় আপু, আমরা কম বেশি এরকম করেই বাড়িতে রান্না করে খাই। তবে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।
রেসিপিটি পুরানো কিন্তু অনেক মজার, আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।