||আমার আজকের দিনলিপি || আর সাথে ফুলের সমাহার! ||২৯/০৮/২০২১ || 10% Beneficiary To @shy-fox ||
আসসালামু আলাইকুম।আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।।আমি আজকের আমার সারাদিনের দিন লিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।আশা করছি আমার দিন লিপিটি পড়ে সবার ভালো লাগবে।তাহলে চলুন শুরু করি,
সকাল বেলা
হসপিটালের গেইটে ঢুকে বামে মোড় নিতেই এর দেখা!
সকালে চোখ ডলতে ডলতে ফোনটা হাতে নিলাম একরাশ বিরক্তির সাথে।ইচ্ছে হলো ফোনটাকে আছাড় মেরে টুকরো টুকরো করে পাশ বালিশটাকে জড়িয়ে আরেকটা লম্বা ঘুম দেই।কিন্তু সে গুড়ে বালি! আরেকটি ফোন নেই আর আমার এইবার উঠে যেতেই হবে।এমনটাই জানান দিচ্ছে আমার ফোনের বিরক্তিকর এলার্মটা।আজ হসপিটালে যেতে হবে।নানুর কিছু টেস্টের রিপোর্ট দিবে।ওই রিপোর্ট গুলো নিয়ে সেগুলো ডাক্তারকে দেখিয়ে এরপর আবার ডাক্তার ওষুধ দিবে।ওই ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরতে হবে।আর এসব সবটাই সম্ভব হবে যদি এখনই ঘুম থেকে উঠে পড়ি।এখন বাজে বেলা দশটা বেজে বিশ মিনিট।আর তা না হলে কপালে লিখা আছে আম্মুর হাজার খানেকটা বকা আর সাথে আব্বুর ফোনের সেই বোরিং লেকচার।এসবের চেয়ে উঠে যাওয়াটাই শ্রেয় মনে হলো।দুটো অপশন না থাকায় জলদি উঠে হাত মুখ ধুয়ে, কোনোরকমে ড্রেস চেঞ্জ করে, চুলটা বেঁধে ঘর থেকে বের হয়ে গেলাম নিত্যপথের সঙ্গী কাঁধের ব্যাগ, হেড ফোন আর ফোনটি নিয়ে।মিনিট পাঁচেক হাটতেই পেয়ে গেলাম সিএনজি।দরদাম করার শক্তি বা ইচ্ছে কোনোটির রুচিই হয়নি আমার। তাই মামা যাবেন বলতেই মামার মাথার পজিটিভ দুলুনি দেখেই উঠে পড়লাম গাড়িতে।এখন গন্তব্য হসপিটাল। গেইটে নেমে বাম পাশের গলিটায় পা দিয়েই দেখা পেয়ে গেলাম উপরের ছবির এই জলের রাণীকে।টুক করে ফোনের ক্যামেরার বাটনটায় একটা ক্লিক করেই ঢুকে গেলাম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দালানটায়।
দুপুর বেলা
হাসপাতালের জানালার বাইরের একটা ঝুলানো ফুলের টবের সদ্য ফুটে উঠা ফুল।
ওয়েটিং রুমে বসে বসে এই ঝুলন্ত টব আর টবে ফুটা ফুলটা দেখছিলাম।আজকাল কেনো জানি শুধু ছবি তুলতে ইচ্ছে করে।স্টিমিটের কারণে নয় তো?কে জানে!সে যাই হোক,অপেক্ষার ঘড়ি যখন সাড়ে বারোটা ছুঁই ছুঁই তখন এলেন ডাক্তার। এরপর রিপোর্ট দেখাতেই বললো মা এর তো কোলেস্টেরল একটু বাড়া।ডাক্তারটির বিশেষত্ব উনি বৃদ্ধ মহিলা সবাইকেই মা বলে সম্বোধন করেন।আমি জাস্ট মাথা নাড়লাম।এরপর প্রেসক্রিপশন মিলিয়ে ওষুধ নিয়ে আবার সিএনজি চড়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম।বাসায় ঢুকেই হাতের ব্যাগ পত্র সব রেখে গোসলটা সেরে ফেললাম।এখন একটু নিজেকে মানুষ মানুষ মনে হচ্ছে!!এরপর সকলের সাথে বসে দুপুরের খাবারটা কমপ্লিট করলাম।
বিকেল বেলা
আমার কলেজ ক্যাম্পাসের ছাদ থেকে ছবিটি তুলা
বিকেলের চারটা বাজতেই এক বান্ধুবির জরুরী তলব।ফোন উঠাতেই এক নাগাড়ে বলে ফেলল, " দোস্ত তাড়াতাড়ি কলেজে আয়।আজকে ইফতারির বার্থডে, কেক টেক সব রেডি।তুই জাস্ট তাড়াতাড়ি আয়।" ইফতারি মানে আমার ফ্রেন্ড মিফতার বার্থডে।অতি আদরে আমরা তাকে ইফতারি বলেই ডাকি।আর কি করার!রেডি হয়ে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।একটু সময়েই পৌঁছেও গেলাম।এরপর শেষ করলাম আগে থেকে আয়োজিত ওই বার্থডে পার্টি।এরপর মিফতার আম্মুর ফোন
সবাইকে বাসায় যেতে হবে, আন্টির তরফ থেকে দাওয়াত।তাও ফুচকা দাওয়াত!মিস করাটা ঘোর অপরাধ!!
সন্ধ্যা বেলা
আমার বান্ধুবি মিফতার বারান্দার একটা ঝলক
প্রায় চারিদিকটা সন্ধ্যা সন্ধ্যা তখন ঢুকলাম মিফতার বাসায়।ওর বাসাটা আমার খুব প্রিয় কারণ হলো ওর বারান্দাটা। কি সুন্দর বারান্দাটা,ফুলে ফুলে ভর্তি।এরপর অনেকক্ষণ হৈ, হুল্লোড়,খাওয়া-দাওয়া।জমিয়ে আড্ডা সাথে চা তাও কয়েক দফায়।এরপর আন্টি সবার জন্য দিলো অগণিত ফুচকা।যে যতটা পারলাম খেলাম।এক্কেবারে পাকস্থলীর এক ইঞ্চিও বোধহয় কেও খালি রাখিনি!এইবার আন্টি জোরাজোরি করছে ভাত খেয়ে যেতে।কোনো রকমে আন্টিকে বুঝিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসলাম।
রাতের বেলা
দুপুরে কলেজের বাগানের একটি ফুলের ছবি তুলেছিলাম
এরপর বাসায় ঢুকেই আম্মুর আধা ঘন্টার একটা বকা শেষ করে ফ্রেস হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম।ফোন হাতে নিয়ে গ্যালারিতে ঢুকতেই দেখলাম বেগুনী একটি ফুলের ছবি উঠিয়েছিলাম দুপুর।দারোয়ান আংকেল নতুন লাগিয়েছে চারাট,আগে কখনো দেখিনি।তাই ছবি তুলেছিলাম।মেসেঞ্জারে কয়েকটা ছবি ডে দিলাম।এরপর আম্মু এক কাপ চা নিয়ে রুমে ঢুকলো।এরপর আম্মুর সাথে সামান্য আলাপ সেরে অনেকক্ষণ ডিস্কোর্ড এ আড্ডা দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।রাতের খাবারের ইচ্ছা আর হয়নি।
এভাবেই আমার দিনটা শেষ হলো।আসলে আজকের দিনটা খুব ভালোরকম স্পেশাল ই কাটলো।এটা ওটা করতে করতেই দিন যে কোনদিকে কেটে যায় তা টের ই পাই না।অদ্ভুত লাগে যে কিভাবে যে দিন যায় খেয়ালটাই করতে পারিনা।
পোস্টটির ১০% রিওয়ার্ড @shy-fox কে উৎসর্গ করা হয়েছে।
আশা করি আমার পোস্টটি সবাই পড়েছেন।আর অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়েছেন তাই।
ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
নূসুরা নূর।
অবশ্য আপনার ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ,তবে ডিভাইস এবং লোকেশন টা দিলে আরো ভালো হইতো ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা আসলে একদম মনে থাকেনা, সত্যিই সরি।ধন্যবাদ।
আপনার সারাদিনের কার্যকলাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং ফুলের ছবিগুলো খুবই অসাধারণ ছিল। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি খুব ফুল প্রেমিক। কিন্তু আপনার গল্পের ভাষাগুলো আমার কাছে একটু কঠিন মনে হলো। আর আপু আপনি কোন দেশে থাকেন, তো এত তাড়াতাড়ি রাত হয়ে গেছে। আর হা পরবর্তীতে লোকেশন এবং ডিভাইসের নাম দিতে ভুলবেন না কিন্তু ধন্যবাদ।
আসলে আমি একটু সাহিত্য প্রেমী মানুষ আর না চাইতেই সাহিত্যিক ভাষাগুলো চলে আসেই।তার জন্য খুব দুঃখিত খুব আমি। এরপরের বার থেকে চেষ্টা করবো সহজ ভাষায় লিখতে।আমি বাংলাদেশেই থাকি আর সারাদিন বাইরে থাকাতে খুব টায়ার্ড হয়ে যাই।
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সময় কাটালে খুবই ভালো লাগে। আসলে বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় গুলো আমাদের জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনি আপনার আম্মুকে অনেক ভয় পান মনে হচ্ছে এটা ভালো বাবা-মার শাসন ছাড়া আমাদের জীবনটাও অসম্পূর্ণ লাগামছাড়া হয়ে যেতে পারে। আপনার বান্ধবীর বারান্দা থেকে যে ছবিটা তুলেছে ফুলের ছবিটা খুব সুন্দর হয়েছে। আপনি না গল্প লিখতে চাই ছিলেন? আপনার গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।
হুম একদম ঠিক, বন্ধু ব্যাপারটাই তো আলাদা।হ্যা ভয় তো পাই কারণ আম্মু বেশ রাগী একজন মানুষ আর এজন্যই হয়তো এখনো ভালো পথেই আছি।হ্যা গল্প লিখবো,প্লট টা একটু মাথায় সাজিয়ে নি আগে।
বন্ধুদের বার্থডে সেলিব্রেট করা জীবনের একটি অন্যতম স্মরণীয় ঘটনার মধ্যে একটি হয়ে থাকে। আপনার দিনটি অনেক সুন্দর কাটিয়েছেন, আপনার জন্য অসংখ্য শুভ কামনা।।
হ্যা। একদম ঠিক বলেছেন,ধন্যবাদ।
দিনটা খুব ভালো ভাবে অতিবাহিত করেছেন।আপনার দেয়া প্রতিটা ফুলের ছবি অসাধারণ হয়েছে।তবে আপনার পোস্টে আপনি যদি মার্ক ডাউন ব্যবহার করেন তাহলে পোস্ট আরো সুন্দর লাগবে। ধন্যবাদ।
এর বেশি আসলে মার্ক ডাউন ব্যবহার করলে দেখতে খারাপ লাগবে তাই করিনা।
🙄🙄🙄
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে। আপনার দিন টাও বেশ ভালো কেঁটেছে। এমন সুন্দর সুন্দর আপনার জিবনে বার বার ফিরে আসুক এই দোয়া করি
দোয়ার জন্য কৃতজ্ঞ।
আপনার অনেক সুন্দর সময়কেটেছে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সময় কাটালে খুবই ভালো লাগে। আসলে বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় গুলো আমাদের জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো 🥀 আপু
হ্যা একদম। বন্ধু মানে আলাদা কিছু।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
সুন্দর একটা দিন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার দিনটি সম্পর্কে পড়ার জন্য।