আফগান রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মূহুর্ত।

---

---

🌼হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি।

---

---

---

---

গতকাল ঈদের পরে প্রথম একটু বাইরে বের হলাম ফ্রেন্ডের সাথে ।অনেকদিন আমার ফ্রেন্ড সুমাইয়ার সাথে দেখা হয় না আমার ।তাই গ্রামের বাড়ি থেকে এসেই তাকে নক করলাম যে বের হবে কিনা ।সেও রাজি হয়ে গেলো এককথায়।কারণ অনেকদিন হলো আমরা কোথাও একটু বাইরে বসে আড্ডা দিয়ে খেতে পারি না অনেকদিন।কারণ রমজানের সময় খুব একটা সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ দিনের বেলা তো রোজা রাখতাম ।আর রাতের বেলা অতিরিক্ত রাত হয়ে যেত। তাই খুব একটা সম্ভব হয়নি ।সেই কারণেই আমরা দুজনে বের হলাম।

---

---

---

---

গতকাল গিয়েছিলাম আফগান রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্ট এর নামই হল আফগান রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টটিতে আমি এর আগে কখনোই যায়নি,সেদিনই প্রথম গেলাম। প্রথমে ঢুকেই আমার কাছে তাদের ইন্টেরিয়র ডিজাইন গুলো খুব সুন্দর লাগলো ।আমরা একটি সিট দেখে বসে পড়লাম এবং কিছুক্ষণ গল্প গুজব করছিলাম ।আমি সেই ফাঁকে এই ছবিগুলো তুলে নিলাম ।এটা অনেকটা পারিবারিক রেস্তোরা টাইপ্স এর।যে রেস্তোরাগুলোতে অফিসের বিভিন্ন মিটিং বা পারিবারিক লোকজন বেশি আসে।

🗺রেস্তোরার লোকেশন🗺

৬২ ,বাদশা মিয়া ভবন,ঈস্ট নাসিরাবাদ: ০৭৮৯/৮০৫ বাদশা মিয়া পেট্রল পাম্প,চট্টগ্রাম।

🧆রেস্তোরার নামঃ আফগান রেস্টুরেন্ট🧆

---

---

---

---

আমরা দেখছিলাম কোনটা অর্ডার দেওয়া যায় ।যেহেতু আমরা এই রেস্তোরায় সেইদিনই প্রথম গেলাম ।তাই আমরা একটু কনফিউজড ছিলাম যে এখানে কোন খাবারটা সবচেয়ে বেশি ভালো হবে ।কিংবা কোন খাবারটা খুব মজা হবে ।সেই কারণেই আমরা একটু প্রথমে পুরো মেনুটি দেখে নিলাম।

---

---

---

---

মেনুটি বেশ বড় ছিল আর খাবার গুলো বেশ মজার মনে হচ্ছিলো ।তাই আমরা আফগান বিরিয়ানি নামে বিরিয়ানিটি অর্ডার করে ফেললাম।

---

---

---

---

এরপরে আমরা আলাদা করে একটি চিংড়ি মাছ অর্ডার দিলাম ।চিংড়ির দোপেঁয়াজা আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছিলো।তাই সেটি অর্ডার দিয়ে দিলাম।

---

---

---

---

এরপরে দুইটা কোল্ড ড্রিংস অর্ডার দিলাম। আমার জন্য পেপসি আর সুমাইয়ার জন্য ডিউ অর্ডার দিলাম ।আমি সব সময় পেপসি ই খাই।

---

---

---

---

আমরা যা যা অর্ডার করলাম তা হল,

আফগান বিরিয়ানি ৬৯০ টাকা (১:২)
চিংড়ির দোঁপেয়াজা ৪৯০ টাকা (১:২)
পেপসি একটি ৫০ টাকা
ডিউ একটি ৫০ টাকা
মোট বিল: ১২৮০ টাকা।

---

---

---

---

এরপরে আমি একটু সামনের দিকে ভালোভাবে খেয়াল করতেই একটি অনেক বড় আর্ট চোখের সামনে পরলো। আর্টটিতে অনেকটা আফগানিস্তানের খাবারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আমার কাছে আর্টটি খুব সুন্দর লেগেছে ।তাই আমি ঝটপট একটি ছবি তুলে ফেলেছি ।আপনারাও দেখলে বুঝতে পারবেন ।আর আর্টটিতে দেখা যাচ্ছে আফগানিস্থানের কিছু মানুষ তাদের দৈনন্দিন খাবার গুলো তৈরি করছে।

---

---

---

---

খাবার আসতে একটু দেরি হচ্ছিল তাই বসে বসে ফটোগ্রাফি করা।

---

---

---

---

একটু পরে খাবার গুলো চলে আসলো। এখানে বিরিয়ানি যতটুকু দিয়েছে তাতে আমাদের হয়তো চারজনের হয়ে যেতো।তাই আমরা শেষে কিছু পার্সেল নিয়ে এসেছিলাম ।কারণ দুই জনের পক্ষে এতগুলো বিরানি খাওয়া কখনোই সম্ভব নয়।

---

---

---

---

চিংড়ির দোঁপেয়াজাটি দেখে জাস্ট মুখে পানি চলে আসলো।কারণ আপনারা একটু খেয়াল করলে দেখতে পারবেন কতটা মসলাদার মনে হচ্ছে খাবারটি দেখে। আর স্বাদ ছিল অতুলনীয়। চিংড়ি মাছ গুলো অতিরিক্ত নরম করে ফেলেনি।যার কারণে খেতে খুব বেশি মজা লাগছিলো।আর চিংড়িমাছ তো আমার প্রিয়।

---

---

---

---

আফগান বিরিয়ানিতে ছিল বিরিয়ানি রাইস। চারটি মাটনের বড় পিস ।পিসগুলো রাইস এর নিচে দিয়েছে তাই উপর থেকে দেখা যাচ্ছে না,দুই পিস চিকেন ।চিকেন গুলোকে তারা টিক্কা কাবাব এর মত করে দিয়েছে।তাই খেতে খুব বেশি মজা লাগছিলো সেই সাথে দিয়েছে সালাদ এবং আচার।

---

---

---

---

আচার টি ছিল বড়ইয়ের ।আর বড়ইয়ের আচার তো খেতে কত মজা হয় তা আমরা সকলেই জানি।

---

---

---

---

আমার কাছে সালাদটি বেশ ইউনিক লেগেছে।কারণ সালাদটি বিভিন্ন সস দিয়ে মেরিনেট করা আর কিউব করে কাটা ।যে কারণে সালাদটি খেতে বেশ মজা লেগেছিলো।আর এই ধরনের সালাদ আমি অন্য কোনো রেস্তোরাঁয় খুব একটা দেখিওনি।

---

---

---

---

এইযে আমার প্লেইট।

---

---

---

---

একটু পরেই পেপসির ক্যানটি দিয়ে গেলো।পেপসি আমার অলটাইম ফেভারিট।

---

---

---

---

দেখুন দুজনে খাওয়ার পরেও কতো খাবার বেচে গিয়েছিলো।সেসব পার্সেল করে নিয়ে এসেছিলাম আমরা।

---

---

---

---

খাবার শেষ করার পরে টুথপিক আর মিষ্টি কিরা দিলো।সেই সাথে ছিলো সুইট বল আর বিভিন্ন কিছু।যা খেতে ভালোই লাগে।এরপরে বল মিটিয়ে বের হয়ে গেলাম।

---

---

---

---

রেস্তোরাটির বাইরের সিড়িটিও বেশ সুন্দর ভাবে করা।

---

---

---

---

এই হলো আমার কিছু ছবি।সেলফি তুলতে আমার বরাবর ই ভালো লাগে।খুব প্রিয় একটি কাজ।

---

---

---

---

এরপরে ফিনলে স্কয়ার নামক শপিং মলটিতে গিয়ে আমার জন্যে একটি ফোনের কভার কিনলাম।

---

---

---

---

আর এরপর আসার পথে খেলাম আমার প্রিয় ভেলপুরি।

---

---

সমাপ্তি

---

---

আজকে ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।
আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। আবার অন্যদিন অন্য কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।
ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---

---

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

---

---