রেস্তোরায় কাটানো কিছু বিরক্তিকর মূহুর্ত!

---

---

🌼হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি।

---

---

---

---

আপনারা এই পর্যন্ত আমার কাছে যতগুলো রেস্টুরেন্ট এর গল্প শুনেছেন তার বেশ বেশিরভাগ ই শুনেছেন ভালো রিভিউর গল্প।কারণ আমি সবসময় কোনো রেস্তোরায় যাওয়ার আগে তার একটু খোজখবর নিয়ে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই রেস্টুরেন্টের একটু রিভিউ দেখে এর পরেই যাই তা না হলে যাই না। কারণ আমার চিন্তা ভাবনা থাকে যদি গিয়ে টাকা গুলো নষ্ট করতেই হয় তবে তার চাইতে না যাওয়াই ভালো।তবে এইবার একটু ব্যতিক্রম হয়ে গেছে। আজকে আমি কোনো ফুড রিভিউ দিতে আসিনি। আজকে আমি আমার একটি অভিজ্ঞতার গল্প নিয়ে এসেছি। যদিও সামান্য একটি অভিজ্ঞতা। তাও ভাবলাম যেহেতু রোজকার সবকিছুই আপনাদের সাথে কম কিংবা বেশী শেয়ার করা হয়ে থাকে। তাহলে এই সামান্য গল্পটি বা বাদ যাবে কেনো। সে কারণে আজ আমি একটি খারাপ রিভিউর কিংবা অভিজ্ঞতার গল্প নিয়ে আসলাম। যদিও আমি খাবার খেয়ে দেখি নি। আমি শুধুমাত্র তাদের নিয়মের রিভিউ দিবো।কারণ আমি আসলে রেস্তোরাটিতে না খেয়েই বেরিয়ে এসেছিলাম। তাহলে চলুন গল্পটা শুরু করি,

---

---

---

---

কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিউজ ফিড স্ক্রল করতে করতে একটি রেস্তোরার রিভিউ সামনে আসলো। রেস্তোরার রিভিউ বললে ভুল হবে, আসলে একটি রেস্তোরার পরিচিতিমূলক পোস্ট আমার সামনে আসলো। দেখলাম শহরে নতুন একটি রেস্তোরা ওপেন হয়েছে এবং তা দেখতে অসম্ভব সুন্দর। আমার আবার রেস্তোরাতে যাওয়ার আরেকটি মূল আকর্ষণ থাকে ছবি তোলা। কারণ আমি মনে করি একটি রেস্তোরার খাবারের মানের সাথে সাথে তাদের নিয়ম শৃঙ্খলার বিভিন্ন পদ্ধতি এবং ছবি তোলার কিংবা লাইটিংয়ের ব্যাপার গুলো একেবারে পারফেক্ট হওয়া উচিত। একটি রেস্তোরা সবার প্রিয় হয়ে উঠতে পারে এসবে। আমি নিজেও তার ব্যতিক্রম নই। আমি বেশ কিছুক্ষণ সম্পুর্ন পোস্ট দেখলাম। দেখলাম অসম্ভব সুন্দর একটি রেস্তোরা আর খাবারগুলোর ছবি দেখে মনে হলো বেশ সুন্দর খাবারগুলো, সেইসাথে বেশ মজা হবে। আসলে ছবি দেখে তো আর সবকিছু বিচার করা যায় না। সেই কারণে আমি মনে মনে স্থির করে নিলাম যে আমিও কোনো একদিন সময় পেলেই রেস্তোরাটি তে যাব।

---

---

---

---

যেই কথা সেই কাজ, আজকে আমরা দুই-তিনজন বান্ধবী মিলে ঠিক করলাম যে সে রেস্তোরাটি তে যাবো এবং আমরা যথা সময়ে রেস্তোরাটি তে পৌঁছে গেলাম। তার আগে একটি সমস্যা হলো। তা হলো রেস্তোরাটির লোকেশন আমরা কোনভাবেই চিনতে পারছিলাম না। কারণ একেবারে মেইন রোডের মাঝখানে রেস্তোরাটি ছিলো। আর আশেপাশে কোনো কিছুই এমন ছিল না যে যার নাম ধরে আমরা রেস্তোরাটি চিনতে পারবো। তাই অনেক সময় চলে গেল রেস্তোরাটি খুঁজতে খুঁজতেই। শেষ মুহূর্তে এসে রেস্তোরাটি দেখা পেলাম। দেখে সত্যি বলছি মনটা একেবারে ভরে গেলো। কারণ এত সুন্দর ভাবে চারপাশটা সাজিয়েছিল যে কি আর বলবো!মনে হয় কোনো গ্রামের কোনো কুড়ে ঘরে ঢুকে গিয়েছে আমরা।

---

---

---

---

রেস্তোরায় ঢোকার পরে আমার একটি দিকে বিশেষ নজর থাকে। তা হল রেস্তোরার লাইটিং! সত্যি বলতে রেস্তোরাটির লাইটিং অসাধারণ ছিল। যা আপনারা একটু হলেও আন্দাজ করতে পারছেন। লাইটিং যেমন ভাল ছিল এবং লাইটগুলো লাগানোর ধরণ ও ভালো ছিল। অসাধারণ যা নিয়ে আমার কোনো কিছুই বলার নেই।

---

---

---

---

আর একটি ব্যাপার আমার খুব ই ভালো লেগেছে।তা হলো রেস্তোরার ঠিক মাঝে একটি বড় গাছ রয়েছে।তারা সে গাছটি কাটেনি, সে গাছকে ডেকোরেশন করেই তার চার পাশ দিয়ে রেস্তোরাটিকে গড়ে তুলেছে।

---

---

---

---

আমি যেদিকে বসেছিলাম তার পাশেই ছিল নিচ থেকে উঠার সিঁড়ি। তার উপরে রয়েছে সুন্দর ছবি তোলার জায়গা। আসলে এটি এমন একটি রেস্তোরা যেটাতে আলাদা করে কোনো ফটো বুথ এর দরকার নেই। রেস্তোরার প্রতিটি জায়গাই আমি মনে করি ফটো বুথের মতো। কারণ প্রতিটি জায়গায় প্রকৃতির ছোঁয়া দিয়ে এত সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে যে কি আর বলবো! শুধুমাত্র মুগ্ধ হতে হয় তাদের সাজানোর আইডিয়া দেখে।কারণ তারা অনেক বেশি খরচ করে কিংবা আহামরি টাকা খরচ করে কিংবা আহামরি জিনিসপত্র কিনে কিন্তু রেস্তোরা টি সাজায়নি। তারা একেবারেই সাধারণ কিছু জিনিস দিয়ে রেস্তোরাটি সাজিয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার রেস্তোরাটির চারপাশে অনেক অনেক গাছপালা রয়েছে। আর এই গাছপালাগুলো রেস্তোরাটি সৌন্দর্য অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

---

---

---

---

মানুষে দেখলাম একেবারে গিজগিজ করছে।বসার জায়গার অভাব এমন অবস্থা।

---

---

---

---

দুই তালা থেকে নিচের দিকে তাকিয়ে জাস্ট মুগ্ধ হতে হয়। কি সুন্দর দেখেছেন?

---

---

---

---

চারপাশের পরিবেশটাও দারুণ।

---

---

---

---

^তবে মূল সমস্যা হলো,
আমরা যখন মেনুটি দিতে বললাম! তখন তারা একেবারেই ছোট একটি মেনু আমাদের দিয়ে গেলো। আমরা তাই জিজ্ঞেস করলাম যে শুধুমাত্র এইটাই মেনু কিনা। তারা বলল হ্যাঁ এটাই মেনু। আমরা পরে ভেবে নিলাম হয়তো অনেক রেস্তোরা আছে যেখানে অল্প খাবার বিক্রি করে কিন্তু বেশ নামকরা হয় সেই খাবারগুলো, সেই কারণেই আমরা আর কোনো কথা বারালাম না। মেনু দেখতে লাগলাম, কিন্তু আমরা বেশ অবাক হলাম। যখন দেখলাম রাইস আইটেম ছাড়া কোনো আইটেম নেই!
অর্থাৎ আমরা প্রায়ই বিকেলের দিকে গিয়েছিলাম। তো সাধারণত আমরা নাস্তাই করবো। কারণ আমরা সকলেই দুপুরে বাসা থেকে ভাত খেয়ে বের হয়েছিলাম। তাই আবার সন্ধায় গিয়ে ভাত খাওয়ার কোনো মানেই হয় না। সেই কারণে আমরা আবার একজন ওয়েটার কে ডাক দিলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম কোনো রাইস আইটেম ছাড়া অন্য কোনো নাস্তার আইটেম আছে কিনা।তিনি আমাদের একটি এপিটাইজার এর পেইজ খুলে দিলো। যেখানে দুই তিনটি আইটেম বাদে আর কিছুই তেমন ছিলোনা।আমরা জাস্ট অবাক হয়ে গেলাম!কারণ এতো সুন্দর ভাবে সাজানো একটি রেস্তোরার খাবারের অবস্থা এতোটা বাজে।আমরা আর কথা না বাড়িয়েই অন্য রেস্তোরায় যাওয়ার জন্যে বেরিয়ে গেলাম।কারণ আমার মতে,কখনো অদরকারে টাকা খরচ করার মানে হয়না।প্রতিটি রেস্তোরায় সাজসজ্জা এবং খাবার দু দিকেই নজর দিতে হবে।কিন্তু তারা আসলে তা করেনি।ঠিক এ কারণেই এ রেস্তোরাটি নিজের ভুল গুলো না শুধরালে এভাবেই কাস্টোমার হারাতে থাকবে।

---

---

---

---

আমি ভেবে রেখেছি অন্য একদিন যাবো দুপুর বা রাতের খাবারের সময়।এরপর রাইস আইটেল গুলো ট্রাই করবো।এরপর বুঝা যাবে খাবারের মান ভালো না খারাপ।কিন্তু তাও এভাবে চলতে থাকতে রেস্তোরাটি খুব শীঘ্রই বন্ধ করে দিতে হবে।কারণ এ ধরণের রেস্তোরায় মানুষ বেশি আসে বিকেলেই।

---

---

সমাপ্তি

---

---

আজকে ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।
আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। আবার অন্যদিন অন্য কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।
ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---

---

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

---

---