নিজস্ব অভিব্যাক্তিঃ বৃষ্টির এপিঠ ওপিঠ।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আমি বলেছিলাম যে আমি একটি সিরিজ আকারে কিছু লেখালেখি করবো। তবে কি নিয়ে লেখালেখি করবো তা একেবারেই পূর্বপরিকল্পিত থাকেনা। কারণ এখানে এই সিরিজের মূল বিষয়টি হচ্ছে, কখনো যদি আমার মনে কোনো কিছু নিয়ে ভাবনা আসে। তবে সেই ভাবনা গুলোকে সুন্দরভাবে লেখায় রূপান্তরিত করে আপনাদের সামনে তুলে ধরা। এবং তার মাধ্যমে আপনাদের সকলের মতামত কিংবা কমেন্টগুলো জানা।

যাই হোক আসলে আমরা সকলেই জানি একটি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে এসেছে,সংকেত দিয়েছে চট্টগ্রামের সহ আরও বিভিন্ন জায়গাতে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষজন এর সাবধানে থাকার কথা জানানো হচ্ছে বারবার।

তাই নিয়েই আজকে ভাবছিলাম। কারণ গতকাল রাতে আমার ভার্সিটির ফ্রেন্ডরা সবাই একটা প্ল্যানিং করছিলো, সেটা হচ্ছে সবার ইচ্ছে বিচে ঘুরতে যাবে। যেহেতু একটা ঝড় উঠছে, সেহেতু সমুদ্রের অবস্থাটা খুব ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। আর সেই ভয়ঙ্কর রূপটা দেখার জন্য আসলে সবাই যেতে চাইছে। কিন্তু সেদিন রাত্রে আবার প্ল্যানটা ক্যান্সেল করা হলো। যখন সিগনাল দেওয়া হয়েছে। কারণ চট্টগ্রামের সিগনাল দেওয়ার পরে বিচের ধারে কাছে খুব একটা যেতে দেয় না। সে কারণেই মূলত আমরা প্ল্যানিং ক্যান্সেল করেছিলাম। না হলে কিন্তু আমরা আজকে বিচে যেতাম।

যাইহোক এসব মুল ব্যাপার নয়। ব্যাপারটা হচ্ছে যে আমরা এই ঘূর্ণিঝড় কিংবা এই ঝড়-বৃষ্টি কে কিভাবে দেখছি। আর যারা আসলেই কষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষজন ওনারা কিভাবে দেখছে? অর্থাৎ এই যে এখন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পরছে, ঠাণ্ডা একটা ওয়েদার। বাসায় আমরা খিচুড়ি খাচ্ছি বিরানি খাচ্ছি অর্থাৎ একেবারে অন্যরকম একটা পরিবেশ যেনো। তাই না? আমি কি ভুল বলেছি?

কিন্তু অন্যদিকে দেখলাম যে কিছু মানুষ খুবই ভয় এবং আতঙ্কে রয়েছে এই ঝড় বৃষ্টির কারণে। তার কারণ আসলে সকাল থেকেই আমাদের অনেকজন ভাড়াটিয়া আমাদের বাসায় এসেছে বিভিন্ন কারণে। তবে তাদের মুখে এবং আসলে তাদের কথায় একটা আশঙ্কাই দেখতে পেয়েছি। তা হলো যাদের বাড়ি দক্ষিণাঞ্চলের ওইদিকে রয়েছে।তারা খুবই ভয় রয়েছে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে। কারণ তারা এখানে হলেও তাদের বেশিরভাগ আত্মীয়-স্বজন কিন্তু ওই ঐদিকে রয়েছে। সে কারণেই তাদের মন আসলে খুব একটা ভালো নেই এবং বারবার তারা খুব বেশি চিন্তা করছে। তা তাদের কথাতেই টের পাওয়া যাচ্ছে। তার মানে বুঝতেই পারছেন এই ঝড় বৃষ্টি সবার জন্য কোনোভাবেই সুখ বয়ে আনে না।

যে সময়টাতে আমরা এখন বাড়িতে বসে কাজ না থাকলে একটু ঠান্ডার কারণে গায়ে চাদর জড়িয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি, আর একটু প্রশান্তি অনুভব করছি। ঠিক তার বিপরীতে কিন্তু কিছু মানুষ, কিছু পরিবার কিভাবে তাদের মূল্যবান সম্পদ গুলো নিয়ে কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে যাবে সে চিন্তায় আছে। তার মানে বোঝাই যাচ্ছে যে বৃষ্টি যখন কারো জন্য খুবই সুখের মুহূর্ত। ঠিক তেমনি বৃষ্টি অন্য কারো জন্যে খুবই দুঃখের মুহূর্ত।

সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতিতে সবসময় ব্যালেন্স করতে পছন্দ করেন।তাই আমাদের উচিত সবার জায়গা থেকে সবাইকে যথাসম্ভব সাহায্য করা।আসলে,দিন শেষ এ আমরা সবাই মানুষ।আমাদের ভেতর অন্তত এতুটুকু মনুষ্যত্ব বোধ রাখা উচিত যেনো, অন্যের দুঃখে আমরা দুখী হতে পারি,অন্যের সুখে আমরা সুখী হতে পারি।

আসলে এ ব্যাপার গুলোই ভাবছিলাম যে প্রকৃতি মাঝেমাঝে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে।তখন চাইলেও মানুষজন এর চুপ করে চেয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় ই থাকেনা।এসব মূহুর্তে হয়তো অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে যায় জানে বেঁচে যায়।তবে আসলে তাদের যে ক্ষতিগুলো হয় তা জাস্ট অপূরণীয়।ভাবতেই খারাপ লাগে কারণ নিজের মাথার উপর ছাদ ছাড়া আমরা কেও ই একটা দিন ও ভাবতে পারিনা।

বৃষ্টি সুখের পরশ দেয় আমাদের আর কিছু মানুষকে দেয় কষ্টের আহাজারি।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।