---

🌼হ্যালো,আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি।

---

---

আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি কিছুটা ভিন্ন ধর্মী কিছু নিয়ে।না মানে হচ্ছে,রোজ তো ধরুণ এটা ওটা লিখি তবে আজকের লিখার সাথে আপনাদের সামনে উপস্থাপনা করেছি একটি কবিতা আবৃত্তি। মানে আমার নিজের করা একটি কবিতা আবৃত্তির ভিডিও।

---

🌼কবিতার নামঃ বিকর্ণ

🌼কবির নামঃ আর্যতীর্থ

🌼আবৃত্তিতেঃ নূসুরা নূর

---

---

---

কবিতাটির মূল বক্তব্যই কবিতাটির নামটি ঘিরেই। অর্থাৎ বিকর্ণ কে ঘিরেই।

---

---

নিজের ভাষায় কবিতার মূলভাব

---

{ বি:দ্রঃ যেহেতু কবিতাটির মূলভাব আমি লিখছি সম্পূর্ণ নিজের অনুভূতি বা আমি যা বুঝেছি তা থেকেই। সেহেতু পাঠকের সাথে আমার মতের অমিল হতেই পারে । তার জন্য আপনার বক্তব্যটি অবশ্যই আমাকে জানাতে পারেন। }

---

কবিতার প্রথম দু লাইনে কবি লিখেছেন যাজ্ঞসেনীর শাড়ি খুলছে তবে যে পাঁচজন এর গর্জে উঠার কথা সে পাঁচজন মাথা নিচু করে রেখেছে।
এখানে যাজ্ঞসেনী বলতে কবি বুঝিয়েছেন দ্রুপদ রাজার কন্যা দ্রোপদীকে।যখন দুঃশাসন দ্রোপদীর শাড়ি ধরে টানছিলেন তখন যাদের গর্জে উঠার কথা তারা ছিলো মাথা নিচু করে আর ছিলো চুপ।যজ্ঞ থেকে দ্রোপদীর উৎপন্ন বলেই তার নাম যাজ্ঞসেনী।
দুর্যোধন যখন নগ্ন উরু দেখিয়ে অপমান করছিলো তখন ও তারা ছিলো নির্বিকার।
অন্যরা বসে হাসছিলো কারণ সে হচ্ছে রাজার দলের লোক।
এরপরের লাইনগুলোকে কবি আমাদের সমাজে চলমান অবস্থাকে তুলে ধরলেন।আমাদের সমাজে রাজার কিছু লোকরা অন্যায় করেও পার পেয়ে যায় আর তার একমাত্র কারণই হচ্ছে তারা রাজার লোক,তারা অনেক দোষ করলেও তার কোনো বিচার হয়না।
আর কবি এইসব কে হিন্দু ধর্মের পৌরাণিক কাহিনীর সাথে তুলনা করেছেন। আর সমাজের অনেক খারাপের
মাঝে একজন যেমন মাথা তুলে অন্যায়ের বিরোধিতা করে। ঠিক তেমন দ্রোপদীর ব্যাপার এ এক মাত্র চেঁচিয়ে উঠেছিলেন বিকর্ণ।বিকর্ণ দুর্যোধনের ভাই হলেও সে তার বাকি ভাইদের মতো ছিলোনা। তার বাকি ভাইরা ছিলো বদমেজাজি ও অহংকারী।
যখন প্রকাশ্যে দ্রোপদীর বস্ত্রহরণ করছিলো অর্থাৎ একটি নারীর আব্রু কেও কাড়ছিলো তখনই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলো বিকর্ণ। যেখানে রাজা ও ছিলো নীরব।
কবি এরপর আবার আমাদের সমাজের কথা তুলে ধরেছেন,
আমাদের সমাজে আমরা একটা ভোট বাদে আর কিছুই নই। রাজার লোকরা অত্যাচার করলে আমাদের চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা। তাই জন্য কবি আমাদের সবাইকেই বিকর্ণ হতে বলেছেন যাতে আমরাও অন্যায় এর বিরোধিতা করতে পারি,অন্যায়ের সামনে রুখে দাড়াতে পার।

কবির একটাই চাওয়া তা হচ্ছে মরার আগে একবার বিকর্ণ হতেই হবে।

---

কবিতাটি নিয়ে নিজস্ব বক্তব্য

---

আমি হিন্দু ধর্মের মানুষ নই। তবে পৌরাণিক কাহিনী পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। আর বিশেষ করে দ্রোপদীর এই কাহিনীটি আমাদের সমাজে আজকাল ঘরে ঘরে এই কাহিনী।
সেই সাথে আমাদের সমাজের কথাও কবি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আমাদের সমাজে রাজারা প্রজাদের উপর হরহামেশাই জুলুম করছে আর রাজাদের লোকরা কখনো যদি কোনো দোষ করে তাহলে সে দোষের কোনোদিন বিচার তো হয় ই না উলটো তারাই বুক চেতিয়ে সবার সামনে ঘুরে বেরায় নির্দ্বিধায়।

কবিতাটি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত যে বিকর্ণের মতো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় রুখে দাঁড়াতে হবে।

আজকের জন্য এখানেই শেষ করছি। আবার কাল দেখা হয়ে নতুন উদ্যমে নতুন কোনো টপিকসের সাথে। আশা করি সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।ভালো থাকাটাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। আবৃত্তিটি কেমন লাগলো এবং লেখা কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।

---

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---