করোনার ভ্যাক্সিনের ২য় ডোজের পরে গেলাম প্রিয়" দা ইটালিয়ায় "।

---

---

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।

এই রেস্তোরাটি আমার খুবই পছন্দের একটি রেস্তোরা। ওইদিন যাওয়ার পর ভাবলাম রেস্তোরাটির খাবারের একটি রিভিউ আপনাদের সাথে শেয়ার করি আর রেস্তোরাটির সৌন্দর্য ও।আমি রেস্তোরার রিভিউ দেওয়ার চেষ্টা করি ওই রেস্তোরায় কয়েকবার যাওয়ার পরে।আর এই রেস্তোরাটিতে আমি বহুবার এসেছি।তাই আমার প্রিয় একটি রেস্তোরার মধ্যে এই রেস্তোরাটি বলা চলে।তাহলে চলুন শুরু করি,

---

---

রেস্তোরাটির নামঃ " দ্যা ইটালিয়া "( The EATALIA)

---

---

রেস্তোরাটির লোকেশনঃ ফোরাম সেন্টার(৭ম তালা),৭৮৭/৮৬৩,এম.এম আলী রোড,গোল পাহাড় মোড়,চট্টগ্রাম।

---

---

---

---

কয়েকদিন আগে করোনার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। সকালের দশটার দিকে এরপরে লম্বা লাইন পেরিয়ে ভ্যাক্সিন দিতে দিতে তখন প্রায় দুপুর হয়ে গিয়েছিলো।সত্যি কথা বলতে আমার আমি বোধহয় কোনো অপারেশন কে ও এতোটা ভয় পাই না। যতোটা ভয় পাই ইনজেকশন দেওয়ার সময়। জীবনে শুধুমাত্র এই ইঞ্জেকশন কে ভয় পাওয়ার কারণ এই জীবনের অনেকগুলো ভ্যাকসিন আমি দেইনি। এমনকি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভ্যাকসিন ও আমি দেইনি। যেগুলো আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের দেওয়া উচিত। যখন স্কুলে পড়তাম তখন প্রায়ই সময় বিভিন্ন ধরনের ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা করা হতো স্কুলে। সেই সময় আমি প্রতিটা সময় পালিয়ে পালিয়ে থাকতাম। আর শেষ পর্যন্ত টিচাররা হাজার চেষ্টা করেও আমাকে কখনোই কোনো টিকা দেওয়া তে পারেনি। আমি এতোটাই ভয় পাই ইনজেকশন কে। কিন্তু এই করোনার জন্য দিতেই হচ্ছে!যাইহোক এরপরে ভ্যাক্সিন দেওয়ার পরে প্রচন্ড ক্ষুধা অনুভব হলো। তাই ভাবতে লাগলাম কোথায় যাওয়া যায়।এই রেস্তোরা নতুন মনে হবে না। কারণ আমি প্রায়ই যাই এই রেস্তোরায়।

---

---

---

---

প্রথমেই বলেছি অসম্ভব ক্ষুধা ছিলো পেটে। তাই তাড়াতাড়ি করে বসেই আগে মেনুটি দেখে নিলাম। যদিও আমার খুব পরিচিত এবং প্রায় মুখস্থ করা একটি মেনু। তাও একবার চোখ বুলিয়ে নিতে হয় অর্ডার করার আগে। মুখস্ত করা বলতে আসলে আমি রেস্তোরায় এতোবার এসেছি যে এই মেনুর প্রায় সবকিছুই আমার মোটামুটি ট্রাই করা শেষ। তাও আমি সিগনেচার প্ল্যাটার নামক প্ল্যাটারটি অর্ডার দেওয়ার জন্য ঠিক করলাম।

---

---

---

---

এরপরে আমি অর্ডার করে চলে আসলাম আমার সিটে।এখানে আগে অর্ডার করতে হয়। এরপরে ওয়েটার এসে খাবার গুলো টেবিলে দিয়ে যায়।
আমি অর্ডার করেছিলাম,

১.প্লেটার সিগনেচার - ২ টি(দাম প্রতি - ৩১০ টাকা)
২.কোক - ২ টি ( দাম প্রতি - ৩০ টাকা)

মোট বিল: ৬৮০ টাকা।

---

---

---

---

এই রেস্তোরাটির সাজসজ্জা আমার বরাবরই খুবই পছন্দের। সেই কারণে খাবার আসার জন্য অপেক্ষা করতে করতে আমি রেস্তোরাটির আশেপাশে কিছু ছবি তুলছিলাম। কারণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আর দেখতে সুন্দর এমন যে কোনো জায়গার ফটোগ্রাফি করতে বেশ ভালো লাগে আমার।

---

---

এরপর খাবার চলে এলো।আমি একটু বলেই দেই এই প্ল্যাটার এ কি কি আছে।এই প্ল্যাটার এ আছে ফ্রাইড রাইস,চাইনিজ ভেজিটেবল,চিকেন গার্লিক পেপার,চিকেন ব্ল্যাক পেপার,সেজওয়ান চিকেন,ব্যাংকক স্টাইল চিকেন।

---

---

---

---

তাদের ফ্রাইড রাইস কি আমার সব সময় এতো পছন্দের কি আর বলবো। তারা ফ্রাইড রাইস কি করে একেবারে চিকন চাউল দিয়ে আর স্বাদ হয় একেবারে বেসিক। সে কারণে খেতে খুব মজা লাগে।

---

---

---

---

সেই সাথে চিকেন গার্লিক পেপার আইটেমটি আমার সবচেয়ে প্রিয় এই প্ল্যাটার এর মধ্যে। কারণ এতো মজা আর শুকনো মরিচ দিয়ে করে, সে কারণে ঝাল একটি ফ্লেভার থাকে।এই প্ল্যাটারটির এর আইটেমটির কারণে এই প্লাটারটি আরো বেশি মজা লাগে। সেই সাথে এতোগুলো আইটেম দেয় তার মানে বুঝতেই পারছেন খাবারটি কতোটা মজা।

---

---

---

---

এই প্ল্যাটারটির প্রতিটি খাবারই খুব মজা। ফ্রাইড চিকেন গুলো দেখতে পাচ্ছেন কত বড় বড় পিস দিয়েছে। তারা দুই,তিনটি দেয়, তাও দুইটা পিস ই থাকে রেগুলার সাইজের। সে কারণে খেতে খুব মজা লাগে। এই প্লেইটের বিশেষত্ব হচ্ছে একসাথে অনেকগুলো আইটেম পাওয়া যায়।যা সত্যিই ভালো লাগে। কারণ সময় এতোগুলো আইটেম আলাদা আলাদা ভাবে কারোর ই অর্ডার করে খাওয়া হয়না।সেই সাথে এতোগুলো আইটেম আলাদা করে অর্ডার করাতে অনেক বেশি বিল ও চলে আসে তাই প্ল্যাটার সবসময় আমার প্রিয়।

---

---

---

---

খাবারের ফটোগ্রাফী করতে সবসময় ই আমার খুব ভালো লাগে।এতো মজার মজার খাবার গুলো ফটোগ্রাফী করতে যদিও একটু কষ্ট হয়।কারণ খিদে আরো বেশি বেড়ে যায়।তাও আপনাদের সাথে শেয়ার না করে কি আর থাকা যায়!

---

---

---

---

প্রতিটি আইটেম অসাধারণ।তবে সব আইটেমের মধ্যে আমার প্রিয় হলো এখানকার চিকেন ব্ল্যাক পেপারটি।কারণ খুব ঝাল ঝাল করে তৈরি করে।আর সস দেওয়াতে আমার প্রিয়।এতো মজা যা ভাষায় প্রকাশ করার মতোন না।

---

---

---

---

দেখতেই পাচ্ছেন সবসময় মানুষ এর ভীড় লেগেই থাকে এ রেস্তোরায়।তার কারণ এখানকার মজাদার খাবার আর সুন্দর পরিবেশ।সেই সাথে সবসময় খুব সুন্দর সুন্দর গান প্লে করা হয়।

---

---

---

---

রেস্তোরার সাজসজ্জার আরো কিছু ফটোগ্রাফী আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।হুট করে চারপাশটা অন্ধকার হয়ে এসেছিলো মেঘের কারণে।তখন পরিবেশটি আরো সুন্দর হয়ে উঠেছিলো।

---

---

---

---

আড্ডা দিতে দিতেই খাবার খাওয়া শেষ হয়ে গেলো।এরপর ভাবলাম ফটোবুথ এ গিয়ে একটু ছবি তুলি।যে ভাবা সে কাজ।সে সাথে কিছু সেল্ফিও তুলে নিলাম।

---

---

সমাপ্তি

---

---

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।

আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। আবার অন্যদিন অন্য কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---

---

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

---