ঈদ হোক সকলের জন্যে

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরো একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটি আপনারা সকলেই উপভোগ করবেন।

আমি প্রতিনিয়তই এমন কিছু লেখা আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করি। যে লেখাগুলোতে আমার চিন্তা ভাবনা আপনারা খুঁজে পাবেন অর্থাৎ আমি মাঝেমধ্যে যা ভাবি তা নিয়েই পোস্ট করার চেষ্টা করি। যাতে আপনাদের সাথে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আমি খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার কর‍তে পারি।

আসলে আমি যে বিষয়টি নিয়ে আজকে লেখালেখি করবো ভেবেছি। তা হলো এই ঈদকে ঘিরে অর্থাৎ আমাদের সামনে আসছে ঈদুল ফিতর। যা আমাদের জন্য অনেক বেশি আনন্দের মুহূর্ত।

এবং এই আনন্দের মুহূর্তের জন্য আমাদের সকলের কেনাকাটার মোটেও কমতি নেই। সেটা আমাদের সবাই কমবেশি যাই করি না কেনো, করছি ঠিকই। অর্থাৎ আনন্দের মুহূর্তে আনন্দ করবো এটাই স্বাভাবিক। আর আমরা যে যেই অবস্থানে আছি সেই অবস্থান থেকেই আমরা আমাদের সর্বোচ্চ টা দিয়ে চেষ্টা করি আনন্দের মুহূর্তটাকে উপভোগ করার জন্য।

কিন্তু একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না। যে মুদ্রার এপিঠ যেমন রয়েছে ঠিক এর পরের একটি পিঠও রয়েছে। যা আসলে আমরা কখনো দেখি না কিংবা দেখেও না দেখার ভান করে থাকে।

অর্থাৎ আমরা সবাই এই ঈদকে ঘিরে অনেক বেশি শপিং করছি, শপিংয়ে যাচ্ছি, তাই না? কিংবা ইফতার পার্টিতে যাচ্ছি। অর্থাৎ আমরা যেখানেই যাই না কেনো, আজকাল আমরা অবশ্যই যানবাহন ব্যবহার করেই যাচ্ছি।আমার কথা এখানেই অর্থাৎ আমরা যারা মোটামুটি বেশিরভাগ সময় রিক্সা বা সিএনজি করে যাতায়াত করি। আমরা সব সময় দামাদামি করে রিকশায় উঠি এবং এটা উঠতে হয়। কারণ অনেক সময় রিক্সাওয়ালা মামারা অনেক বেশি দাম চেয়ে ফেলে।

সেসব ঠিক আছে, কিন্তু আমার যেটা বক্তব্য সেটা হলো এই রমজানে কিংবা ঈদকে ঘিরে যে আনন্দটা সেটা অবশ্যই আমাদের ওই মানুষগুলোর সাথে ভাগ করে নেওয়া উচিত। অর্থাৎ যা ভাড়া অন্তত এই রমজান মাসে তার চেয়ে কিছুটা বেশি ভাড়া দেওয়া আমাদের সকলের উচিত। কারণ আমাদের যেমন ঈদ রয়েছে, অফিস আদালতে যেমন বোনাস দেওয়া হয়, তেমন রিক্সাওয়ালাদেরও প্রাপ্য এই অংশটুকু।

প্রতিটা বড় বড় অফিস কিংবা কাজের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে বেশ মোটা অংকের একটা বোনাস দেওয়া হয়। যে বোনাস দিয়ে সে তার পরিবারের জন্য ভালো ভালো উপহার কিনে, শপিং করে। কিন্তু আমরা কখনোই ওই রিক্সাওয়ালা মামাদের কথা ভাবি না। তাদেরও পরিবার রয়েছে। তাদের পরিবারেও কিছু মানুষ রয়েছে যারা ওই উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটির দিকে তাকিয়ে থাকে, যে কবে তিনি তাদের সম্পূর্ণ পরিবারের জন্য কিছু না কিছু কিনে আনবেন এবং কিভাবে ঈদটা তাদের আনন্দের হবে।

আমরা কিন্তু চাইলেই খুব সূক্ষ্মভাবে তাদের ওই আনন্দে জড়িয়ে যেতে পারি। অর্থাৎ আমরা প্রতিটা মানুষ যদি প্রত্যেকের অবস্থান থেকে ভাড়াটা কিছুটা বাড়িয়ে দেই অন্তত এই রমজান মাসে। তাহলে দেখা যায় তারাও তাদের আনন্দটা তাদের মতো করে উপভোগ করতে পারে। যেভাবে আমরা উপভোগ করি আমাদের আনন্দ।

আর আমার কাছে মনে হয় ঈদ মানে আনন্দ এবং ঈদ মানে খুশি। আর এই খুশিটা কখনোই শুধুমাত্র কিছু গুটিকয়েক মানুষকে নিয়ে হয় না। এই খুশিটা উদযাপন করা উচিত আশেপাশের সকলকে নিয়ে। তাদের খেয়াল রাখার দায়িত্ব ও একমাত্র আমাদের। কারণ সৃষ্টিকর্তা আমাদের দিয়েছেন যেনো আমরা তাদের দিতে পারি।