স্বরচিত কবিতা - পৃথিবীটাই স্বর্গ নরক।

---

---

🌼হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি।

---

---

শিল্পীপ্রেমীদের উদ্দেশ্য সামান্য কথা

---

---

আমি জানি এখানে অনেক অনেক শিল্পীপ্রেমী রয়েছে। আর আমি চাই আমি ওই শিল্পীপ্রেমীদের মনের এক কোণায় জায়গা করে নিতে। তবে তা চাই সম্পূর্ণই নিজের যোগ্যতা,নিজের সৃজনশীলতা প্রদর্শন করেই।তাই জন্য আমার আজকের এই সামান্য প্রচেষ্টা। @amarbanglablog কমিউনিটিতে আমার আরো একটি নিজের লিখা কবিতা ।আশা করি সবার ভালো লাগবে,

মন খারাপ থাকুক বা ভালো থাকুক,কবিতা লেখা আজকাল একরকমের নেশায় পরিণত হয়েছে বলা যায়।তাই যখন ই ইচ্ছে করে কবিতা লিখতে বসে যাই।আসলে কবিতা লেখার মূল বিষয়টা মাথায় আসে একেবারেই হুট করে।আর মাথায় আসার পর যদি একটু হলেও না লিখি তবে পরে আবার সে টপিক ভুলে যাই।এটাই সমস্যা তাই ঝটপট একটু হলেও লিখে ফেলি।সেসব যাই হোক।আজকের টপিক নির্বাচন নিয়ে তেমন কিছুই বলার নেই।তার কারণ আসলে এ পৃথিবীটা সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্যে খুব সুন্দর করে সাঁজিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের হিসেব নিকেশ করে পরবর্তী জীবনে স্বর্গ,নরক কোথায় থাকবো তা নির্ধারণ করবে।তবে সমস্যা হলো আমরা তার অপেক্ষায় কেও ই থাকি না।পৃথিবীটাকেই স্বর্গ কিংবা নরক বানিয়ে ফেলি।
নিজের জন্যে এ পৃথিবীকে স্বর্গে রূপান্তরিত করতে চাইলেও অন্যের জন্যে এ পৃথিবীকে নরকেই রূপান্তর করতে চাই।সেটাই আজকাল আমাদের মূল লক্ষ্য হয়ে গিয়েছে অনেকটাই।আর নারীর জন্যে তো এ পৃথিবী নরকের চাইতেও খানিক আংশে বাড়ে।আমরা আমাদের অহংকার,মনের রাগ,ক্ষোভ,হিংসা সবটা দিয়ে বিষিয়ে তুলি চারপাশটাকে।আবার তা দেখেই নিজেরা আনন্দে মেতে উঠি,বলা চলে পৈশাচিক আনন্দে মেতে উঠি আমরা।সেসব নিয়েই আমার আজকের এ কবিতা,

---

---

কবিতার নাম: পৃথিবীটাই স্বর্গ নরক।

---

---

মেঘে মেঘে আজ অনেক বেলা,

চাহনিতে আজ ভরা বর্ষা।
মেঘের কোলে গর্জে উঠা আকাশ পানে চাই,
হাতছানি দেয় স্বর্গ থেকে তাও যেনো ছুটি না পাই।

শুনি স্বর্গ খুব দূরে নয়,
নরকটাই বুঝি কাছে।
স্বর্গ বুঝি আকাশেতে আর নরকটা পৃথিবীতে।
আকাশের মানে চেয়ে আমি দেখি,মুক্ত পাখির জলকেলি।
মানুষ তাই বন্দী,নারী বলে তাও বাড়ে আরো আধখানী।

স্বর্গ - নরক তফাৎ কতো,
পৃথিবীটা বুঝি এক!
পৃথিবীতেই তো স্বর্গ নরক,
পৃথিবীতে তাই যন্ত্রণা সই।

মেঘের গর্জনে গর্জে উঠে মন,
ভেঙ্গে দিতে চায় সব,
যেনো মানেনা বারণ।
তাও মোরা চেয়ে থাকি,
অপেক্ষার প্রহর গুণি,
যদি বেলা ফুরোয় এ নাটকীয়তার কোনো নাটকীয় ধরণে।

পৃথিবী নাকি খুব সুন্দর,
পৃথিবী নাকি মমতার।
তবে ধরণীর বুকে কেনো এতো অহংকার,অবিচার!
অহংকারের জ্বালায় শরীর ঝলসে যায়,
তাও মোরা সে আগুনে জ্বালাই খুশির জয়জয়কার।

পতনের মূল বলে মোরা বুলি ফুটাই মুখেতে,
সে বুলির ই ধার ধারিনা কোনো কর্মেতে।
অহংকারে করি মোরা গর্ব,
বুক চিতিয়ে করি স্বীকার।
অহংকার ই গৌরব,
পতন তা ভুলে যাই!

মনের কষ্ট মনে পুষে থাকে হাসিমুখ,
এটাই নাকি বাস্তবতা,
মেনে নেওয়া চিরসুখ!
এ সুখের সাগরে ভাসিয়ে শরীর,
জ্বলে যায় এ হৃদয়।
হৃদয় পোড়া ঘ্রাণেই নাকি,
উজ্জ্বল হয় এ জীবন!

জীবন যেনো পাখির বাসা,
ঝুলে থাকা বাবুইপাখি।
জীবন নিয়ে শতো জল্পনায়,
বাস্তবতায় হারি কিংবা অশ্রু মুছি।

স্বর্গ নরক মোরাই বানাই এই ধরণীকে,
সেই আমরা আবার সুর তুলি যাবো স্বর্গের রথে চড়ে।
ধরণী সুন্দর,ধরণী পবিত্র,
অপবিত্র শুধু এ মন।
অপবিত্র মনেই ধরণীকে করি নরকে রূপান্তর।

---

---

সমাপ্তি

---

---

কবিতা ব্যাপারটি ভীষণ স্পেশাল।অনেকের কাছে কবিতা মানে শুধু যা মন চায় লিখে দেওয়া।তবে আমার মতো কবিতা প্রেমী মানুষদের কাছে কবিতা মানে ভাবের বহিঃপ্রকাশ,কবিতা মানে ভালোবাসা,কবিতা মানে কোনো গল্পকে ছন্দে বাঁধা,কবিতা মানে ছন্দে ছন্দে গল্প গুলোকে সকলের সামনে উপস্থাপনা করা।তাই আজকাল কবিতা লেখার ট্রাই করছি অল্পস্বল্প।খুব একটা ভালো না হলেও ,আপনাদের যে ভালোবাসা পাই তা ই আমার জন্য যথেষ্ট।

ধন্যবাদ সকলকে আমার কবিতা পড়ার জন্যে।

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---

---