গ্রামের বাড়ির চারপাশের কিছু ফটোগ্রাফী

🌼হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি।

---

---

---

---

গতকাল গ্রামের বাড়ির যাত্রার গল্প তো শুনালাম ই।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বাড়িতে এসে একেবারে আশেপাশের করা কিছু ফটোগ্রাফী।আসলে গ্রাম প্রতিটা মানুষের ভালোবাসার একটি জায়গা,গ্রাম মানুষের ভালোলাগার একটি জায়গা।এই গ্রামের টানে প্রতি বছর শহরের চার দেয়ালের আটকে থাকা মানুষ গুলো দুদিন ছুটির অপেক্ষায় মাসের পর মাস অধীর আগ্রহে বসে থাকে।এই গ্রামকে ঘিরেই প্রতিটা অনুষ্ঠান কিংবা উৎযাপন নিয়ে নানান জল্পনা কল্পনা থাকে।আসলে আমার মনে হয় এতো সব ভালোবাসার কারণ হলো একমাত্র নাড়ির টান!যদিও গ্রামের সাথে আমার সেভাবে কোনো নাড়ির টান নেই।কারণ আমার জন্ম শহরে এবং বেড়ে উঠা এবং বর্তমান ও এই শহরেই।তাই গ্রামের প্রতি ভালোলাগা থাকলেও সেভাবে কোনো অতিরিক্ত স্মৃতি নেই,যা আছে তা খুবই অল্প।তবে গ্রামে সবার অনেক বেশি ভালো লাগলেও আমার ভালোলাগাটা সবার ভালোলাগার চেয়ে একটু কম হবে। তার কারণ যেহেতু আমি খুব একটা গ্রামে আসা-যাওয়া করি না। তাই আমার খুব একটা স্মৃতি ও নেই। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো একটা মানুষের অবশ্যই পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে হবে। তবে আমার একটু গ্রামের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে সমস্যা হয়। তবে সব জায়গাতে খাপ খাওয়াতে সমস্যা হয়না। যেমন যদি নানুর বাড়িতে যাই তাহলে কোন সমস্যাই হয় না। কারণ নানু বাড়িতেই থাকে।তাই সবকিছু একেবারে পারফেক্ট করে রাখে। তবে আমাদের বাড়িতে আমার দাদা দাদি কেউ বেঁচে নেই। তাই আমাদেরকেই এসে সব করতে হয়। বললাম তো চার বছর পর ঘরের তালা খুললাম।সেই কারণে দাদার বাড়িতে একটু অসুবিধা হয়। তবে সব মিলিয়ে নিজের বাবার জন্মস্থান এটাই। তাই ভালো না লেগে কোন উপায় নেই। চারপাশটা ভীষণ সুন্দর, শুধুমাত্র সমস্যা হলো একটু খাপ খাওয়ানোর ব্যাপারে। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যেই সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে। তবে চারপাশের পরিবেশ উপভোগ করিনি তা কিন্তু নয়।

---

---

---

---

এই হলো আমার দাদার বাড়ি অর্থাৎ আমার বাবার জন্মস্থান। এই বাড়িটা নতুন করা হয়েছে। নতুন করা হয়েছে বলতে। আমি জন্মের পরেই আমার বাবা নতুন করে বাড়ির কাজ করিয়েছিলো। তবে বাড়ির ভিত্তিটা বাবার জন্মের সময়ের।শুধু তফাৎ হলো বাবা বাড়িটাকে পাকা করেছে। আগে মাটির ঘর ছিলো।আমার জন্মের সময়েই আবার নতুন করে কথা হয়েছিলো।

---

---

---

---

প্রায় বিকেলের দিকে ভাবলাম একটু ছাদে যাই। তাই আর না ভেবে ছাদে উঠে গেলাম। ছাদে উঠে চারপাশের দৃশ্য গুলো দেখে সত্যিই মন ভালো হয়ে গেল।কারণ চারপাশের দৃশ্য গুলো খুবই সুন্দর দেখতে। আর চারপাশের পরিবেশ টা আপনারা নিজেরাই একবার দেখুন। এই ছবিগুলো একেবারে কোনো ইডিট করিনি। কোনো ইডিট ছাড়াই ছবিগুলো এতোটা সুন্দর অর্থাৎ গ্রামের পরিবেশ এতোটা সুন্দর।

---

---

---

---

এরপরে কিছুক্ষণ ঘুরে তাড়াতাড়ি আবার নিচে নেমে গেলাম। কারণ ইফতারের সময় হচ্ছিল আর যেহেতু আম্মু আসার পর থেকে সবকিছু গুছাচ্ছিলো।তাই আম্মুর হাতে হাতে কয়েকটা কাজ করে দিলাম। আর এরপরে তো ইফতার। ইফতারের পরেই আমি এই পোস্টটা লিখতে বসলাম। অবশ্য আপনারা এই পোস্ট পাবেন আরো কিছু সময় পরেই।

---

---

সমাপ্তি

---

---

আজকে ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।
আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। আবার অন্যদিন অন্য কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।
ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---

---