বৈশাখীর ঝড় দেখতে ছাদ ভ্রমণ।

---

---

🌼হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।

---

---

---

---

রোজার শুরু থেকেই প্রচন্ড গরম শুরু হয়েছিলো।একেবারে যাকে বলে নাভীশ্বাস অবস্থা।তখন ভাবছিলাম তখন ই এতোটা বেশি গরম লাগছে তবে রোজা শুরু হলে তখন কি করবো আর!যদিও সৃষ্টিকর্তা কখনোই তার বান্দাদের ক্ষতি করেনা।তাই কি করে যেনো বেশ ভালোভাবেই রোজা গুলো রাখছি।যেমনটা ভেবেছিলাম যে অনেক বেশি কষ্ট হবে তেমনটাও আর হচ্ছেনা।এটা একটা সৃষ্টিকর্তার রহমত ছাড়া আর কিছুই মনে করি না আমি।
তবে বাইরে বের হলে খারাপ একটু লাগত ই।বিশেষ করে দুপুরের দিকটাতে অতিরিক্ত রোদের কারণে ঘেমেনেয়ে এক অবস্থা হয়ে যেতো।তখন অবশ্য একটু কষ্ট হতোই।তাও সবসময় ওই একই কষ্টের কথা নিয়ে পেনপেন করতে কি আর ভালো লাগে!

---

---

---

---

আসুন আজকে একটু প্রকৃতির দেওয়া শান্তির কথাই না হই বলি।আজকে সকালের ৯.০০ টার পরে করে চোখ মেলতেই দেখি চারপাশটা অসম্ভব অন্ধকার হয়ে আছে।যেনো মনে হচ্ছে এখনো রাত।আমি ভাবলাম সত্যি সত্যিই এখনো রাত
তাই আবার ঘুমিয়ে পরতে নিচ্ছিলাম।তাও স্বভাবগত কারণে কি যেনো ভেবে মোবাইল টা হাতে নিতেই দেখি সকাল পেরিয়ে যাচ্ছে।এরপর চোখ ডলতে ডলতে পর্দাটা সরিয়ে দেখি অসম্ভব মেঘ করে আকাশ জুড়ে।তাই আমি জানালার গ্লাস টা একটু খুলে দিয়ে আবার ঘুম দিয়েছি একটা।

---

---

---

---

এরপর ঘুম ভাঙ্গলো এক আপুর ডাকে।গ্রামের বাড়ি থেকে আমার এক ফুফাতো বোন এসেছে কারণ ওর কোনো একটা এক্সাম আছে এখানে তাই।এরপর উঠলাম,তখন ও বাইরে অন্ধকার অনেক মেঘ আকাশে।তাই আপুর সাথে কিছুক্ষণ ইনিয়ে বিনিয়ে এটা সেটা বলে তাল তুললাম ছাদে যাওয়ার!

---

---

---

---

আমি আমাদের ছাদে যাইনা প্রায় মাসখানেক তো হবেই।হিসেব করলে হয়তো বছর ও হতে পারে।কারণ আমি থাকি দ্বিতীয় ফ্লোরে,আর ছাদ হলো ৭ম ফ্লোরে।সিঁড়ি বেয়ে এতোটা উপরে উঠা বেশ খাটনির ব্যাপার।আর আমি কি পরিমাণ অলস তা তো আপনারা জানেন ই।এরপর আপুকে কিছুক্ষণ কনভিন্স করতে লাগলাম ছাদে যাওয়ার জন্যে।আপু একটু পরেই রাজি হলো।

---

---

---

---

ছাদে যাওয়ার সময় বুদ্ধি করে একটা ছাতাও সাথে করে নিয়ে নিলাম।কারণ বাইরে অল্প একটু বৃষ্টি হচ্ছিলোই।এরপর ছাদে গিয়ে তাড়াতাড়ি সিড়ির নিচে দাঁড়ালাম।কারণ বাতাসের জোরে সম্পূর্ণ ভিজে যাচ্ছিলাম।ছাতাটা যে মাথায় ধরবো তার ও সুযোগ ছিলোনা কারণ অসম্ভব বাতাসের জোর।

---

---

---

---

সিড়ির নিচে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আপুর সাথে গল্প করতে লাগলাম।এরপর একপাশে তাকাতেই দেখলাম সুন্দর ৭ম ফ্লোরের ছাদ থেকে ৬ষ্ঠ ফ্লোরের ছাদে পানি পরছে।আমাদের আবার ছাদ দুই পার্টে ভাগ করা।৬ষ্ঠ তালায় হাফ ছাদ আর ৭ম ফ্লোরে সম্পূর্ণ।

---

---

---

---

এরপর বাতাস একটু কমতেই আপুর হাতে ফোন দিয়ে বললাম আমি একটু সামনে যাই আর তুমি ছবি তুলো।তবে এই ছবির ভালোই মূল্য দিয়ে হয়েছে আমার।কারণ বাতসের তীব্রতায় ছাতা একদিকে একটু বাঁকা হয়ে গেছে।এই ছাতা হচ্ছে আব্বুর প্রিয় ছাতা।যাই হোক,বাসায় এসে ছাতা আবার আগের জায়গাতেই রেখে দিয়েছিলাম।হি হি হি

---

---

---

---

এরপর আশেপাশের ছবি তুললাম।প্রকৃতি অপরূপ সাঁজে সেজেছিলো তখন।

---

---

---

---

আকাশের অবস্থাটা দেখতেই সবচাইতে বেশি দারুণ লাগছিলো।কারণ মেঘলা আকাশ কার না ভালো লাগে।

---

---

---

---

প্রকৃতির মাঝে প্রকৃতির জন্যে কিছু কিছু কবিতা মাথায় আসছিলো।তাই ই তুলে ধরছি,

মেঘলা আকাশ বৃষ্টির তাল,
ধুয়ে মুছে যাক সব গ্লানী।
মুখোরিত এ জলধারাতেই,
ধরণী হোক স্নানযাত্রী।

---

---

---

---

আমাদের সম্পূর্ণ বিল্ডিং এ এই জায়গাটি হলো আমার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা।সিঁড়িটা দারুণ বলুন?

---

---

---

---

আকাশে আজ মেঘ করেছে,
মেঘেদের আজ খেলা,
মেঘে মেঘে আজ সয়লাব আকাশ,
মেঘেদের নেই তাড়া।

শহরতলীর ইট পাথরের শক্ত সব গাঁথুনী,
তার মাঝেই উল্লসিত বৃষ্টির তরে সকল ই।
যখন যখন থমকে দাঁড়ায় জীবনে সেই গতি,
তখনি ধরনীর তরে নামে মেঘেদের সেই বারি।
কালবৈশাখীর প্রচন্ড ঝড়ে,
আকাশ আজ উত্তাল।
সেই ঝড়েই খুঁজছি আমি,
শীতল জলের আহ্বান।

---

---

---

---

এটা হলো আমাদের ৭ম ফ্লোরের ছাদ।এখানের মাঝে উঁচু জায়গাটি হলো পানির ট্যাংক আর দু পাশে দু খন্ড ছাদ।দুইপাশেই উঠানামার জন্যে সিঁড়ি রয়েছে দেখতেই পাচ্ছেন।এই সিঁড়িতে বসে গল্প করতে দারুণ ভালো লাগে।
এরপর ফটোগ্রাফী ,আপুর সাথে গল্প শেষে তো বাসায় চলে এলাম।

---

---

সমাপ্তি

---

---

আজকে ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।
আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। আবার অন্যদিন অন্য কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।
ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---

---

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

---

---