"সংসার জীবন" || গল্প- পর্ব ০২ By @nurisalm || 10% beneficiary for @shy-fox

nurisalm (56)in আমার বাংলা ব্লগ • 2 years ago

💗আমার ব্লগে স্বাগতম💗

প্রিয় ব্লগার ভাই ও বোনেরা আশাকরি সকলে ভালো আছেন । সংসার জীবন গল্পের প্রথম পর্বে আমরা স্বামী-স্ত্রীর অভাব-অনটনে ভরা সংসারের জীবনের কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম । কথায় আছে অভাবে স্বভাব নষ্ট । কিন্তু আমার গল্পটির শুরু এভাবে হয়েছে- যতই অভাবে রাখুক না কেন প্রভু । সুন্দর এবং সত্যের পথে থাকার অঙ্গীকার যেন স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে ফুটে উঠে তার চেষ্টা করছি আমি ।

Image by Sasin Tipchai from Pixabay

"সংসার জীবন(০২)"

"প্রথম পর্বে "স্ত্রীর বলা কথাগুলোর জবাব দিচ্ছে

স্বামী -

আমি আশ্চর্য হই ঐ সমস্ত ব্যক্তির উপর যারা অভাব-অনটনে এবং তাদের কাছে আসা বিপদের উপর আফসোস করে । অথচ তারা বলে বেড়ায় যা কিছু হয় সবকিছু সৃষ্টিকর্তা থেকে । নিজের ভাগ্যে লেখা ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস করাটাই তো ধার্মিকতার পরিচয় । তুমি কি তোমার উপর আনীত অভাব-অনটনের উপর আফসোস করো ? অথচ তুমি নিজেকে শোকর-গুজার বন্দিদের মধ্যে সামিল করতে চাও ‌।

স্ত্রী-

আমি আবার উপর আনীত অবস্থার উপর বিন্দুমাত্র আফসোস করি না ।‌ বরং আমি তো আমার উপর সৃষ্টিকর্তার দয়া প্রাপ্ত হওয়ার জন্য চেষ্টার কথা বলছি । একটি নবজাতক শিশু যে নিজে থেকে কিছুই করতে পারে না । নিজের হাতে খেতে পারে না এবং নিজের পায়ে চলতে পারে না । এমনকি ভালো-মন্দের বিচার করতে পারেনা । সেই নবজাতক শিশুও কান্নাকাটি করে চেষ্টা করে । যাতে তার মায়ের হৃদয়ে মায়া এবং দরদ জাগ্রত হয় । আর সত্যিই তো নবজাতক শিশু কান্না করলে মা তার সকল কাজ কাম বাদ দিয়ে দ্রুত তার সন্তানকে বুকে নিয়ে দুধ দিয়ে শান্ত করে । অথচ শিশুটি ঘুমিয়ে থাকলে বা কান্নাকাটি না করলেও মা ভাবে আমার সন্তান ভালোই আছে । একজন নবজাতক শিশু যে নিজে কিছুই করতে পারে না অথচ সামান্য চেষ্টার ধারা নিজের প্রয়োজন পুরন করে নেই । আমি সেই চেষ্টাটুকুর কোথায় আপনার সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম ।

Image by Gerd Altmann from Pixabay

স্বামী-

সৃষ্টিকর্তা মায়ের হৃদয় তার সন্তানের প্রতি অমায়িক সুন্দর এবং স্বচ্ছ একটি ভালবাসা রোপন করে রেখেছে ।‌ যার দরুন মা তার সন্তানের যথা পূর্ব খেয়াল রাখেন। দিনশেষে সেই সন্তানটি যখন হাঁটতে পারে কথা বলতে পারে এবং নিজে নিজে সব করতে পারে তখনই সে তার সে শিশু অবস্থায় তার উপর সৃষ্টিকর্তার অপার করুণার কথা ভুলে যায় । অনেক সন্তান তো তার পিতামাতার প্রতি দুর্ব্যবহার করেন । পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানবের জন্য মা এবং বাবা সৃষ্টিকর্তার অপার করুণা । যারা মা এবং বাবার প্রতি দয়াবান নয় তারা কখনোই মুক্তিকামীদের অন্তর্ভুক্ত নয় । নবজাতক শিশু নিজে থেকে কিছুই করতে পারে না অথচ সৃষ্টিকর্তা তাকে খাদ্য পৌঁছায় এবং ধীরে ধীরে তাকে বড় এবং শক্তিশালী করে তুলে ।‌ তুমি কি সেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি নত শির হবে না

যিনি তোমাকে তোমার মায়ের গর্ভে কিছু না করা সত্বেও কি চমৎকার অবয়ব দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন । এবং কিছু না করা সত্বেও প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া অব্দি তোমার পর্যন্ত রিজিক পৌঁছিয়েছে । অভাব-অনটন এবং বিপদ-আপদ সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে রহমত স্বরূপ । কেননা তিনি বিপদ আপদ এবং অভাব-অনটনের মাধ্যমে আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন । যাতে আমরা এই বিশ্বাসে অটল থাকতে পারি আমার থেকে কিছুই হয় না । আসলে তো কিছু থেকেই কিছু হয় না ! সবকিছু সৃষ্টিকর্তার থেকে হয় । সুতরাং আমাদেরকে অবশ্যই ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে । কারণ সৃষ্টিকর্তায় আমাদের জন্য উত্তম পরিকল্পনাকারী ।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা অবশ্যই আমার গল্পের যে কোন চরিত্রের পক্ষে আপনার মন্তব্য উপস্থাপনা করতে পারেন । আপনাদের মন্তব্য পেলে আমার লেখা সার্থক হবে ।