ময়নামতির চর
আমার বাংলা ব্লগে
বাংলা ২৬ মাঘ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রিয় বন্ধুরা আমার , কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছে ! আমিও বেশ ভালোই আছি ৷ তো আবারও আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে আমি নিরব বাংলাদেশ থেকে ৷ আজও আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবো ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷
কিছু দিন আগে ময়নামতির চর নামে একটি জায়গায় কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম ৷ জায়গায়টি বেশ আকর্ষনীয় , আমার বেশ পছন্দের একটি জায়গা ৷ মাঝে মাঝেই এখানে এসে কিছু সময় কাটিয়ে যাই ৷ এটি মূলত করতোয়া নদীর পাশে অবস্থিত ৷ আর আমার বাসা থেকে প্রায় সাত/আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৷ তো আজ এই জায়গাটির কিছু আলোকচিত্র এবং এই জায়গায় সময় কাটানোর অনুভুতি-ই আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷
কিছু দিন আগে দেবিগঞ্জ শহরে গিয়েছিলাম এক বন্ধু সহ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ৷ সকাল বেলায় গিয়েছিলাম , আমাদের কাজ শেষ হয়েছিলো বারোটার নাগাদ ৷ কাজ শেষ করে ভাবলাম একটু ময়নামতির চর থেকে ঘুরে আসি ৷ আসলে ময়নামতির চর জায়গায়টা আমার বেশ পছন্দের ৷ শহর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ময়নামতির চর জায়গাটি অবস্থিত ৷ আমরা সেখানে গেলাম ঠিক দুপুর বেলা ৷ তখনকার পরিবেশ টা একটু অন্য রকম ছিলো ৷ দুপুরে রোদে চারপাশ টা একটু ধুলো মাখা পরিবেশ হয়েছে ৷ আমরা সেখানে কিছু সব কাটিয়ে ই চলে এসেছি ৷
আসলে এই জায়গায় সময় কাটানোর সঠিক সময় হচ্ছে বিকেলে বেলা ৷ তখনকার পরিবেশ টা থাকে মনোরম ও প্রশান্তিতে ঘেরা ৷ চারপাশে দেখতেই পাচ্ছে শুধু গাছ আর গাছে ভরা ৷ বেশ ছায়াঘেরা একটি পরিবেশ ৷ মুলত এটি একটি বড় বাগান ৷ অনেকটা জমি জুরে শুধু গাছ আর গাছ ৷ বিভিন্ন রকম গাছ লাগানো আছে এই বাগানে ৷ আর বাগানের মাঝে রয়েছে অনেক ছোট ছোট রাস্তা ৷ আর রাস্তার পাশে ছোট ছোট বসার চেয়ার ৷ এই জয়গাটি আর্কষনীয় হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে এটি করতোয়া নদীর বুকে অবস্থিত ৷ এই চরে বসে করতোয়া নদীর সৌন্দর্য অনেক সুন্দর ভাবে উপভোগ করা যায় ৷
বিকেল বেলার পরিবেশটা অন্যরকম থাকে ৷ আর এই জায়গাটি ছায়াঘেরা অপূর্ব সৌন্দর্যের মোরানো ৷ বিকেলে অনেকেই এখানে এসে সময় কাটায় ৷ বিভিন্ন উৎসবমুখর দিনগুলিতে অনেক মানুষের অনাগনা হয় এই ময়নামতির চরে ৷ তবে দুপুর বেলা কোনো মানুষ ছিলো না তেমন ৷ চরের পাশেই চা বাগান , করতোয়া নদী , সব মিলিয়ে এই জায়গাটি অনেক নিরিবিলি এবং মনোরম পরিবেশের ৷ এখানে বিকাল বেলা এসে সময় কাটানোর অনুভুতি অন্যরকম প্রশান্তির ৷ মাঝে মাঝেই এখানে আসা হয় ৷ তবে সেদিন দুপুর বেলা হঠাৎ করেই এসে তেমন সময় কাটাতে পারিনি ৷ আসলে দুপুরে পরিবেশ ধুলোমাখা ৷ মোটেও পছন্দের না আমার ৷ তাই অল্প সময় কাটিয়েই চলে গিয়েছি ৷ ফটোগ্রাফি ও করি নি ঠিকঠাক দু একটা ৷ তবে জায়গায় টি অনেক সুন্দর এবং আমার পছন্দের ৷
ক্যামেরাঃ realme C11
লোকেশনঃ https://w3w.co/slotted.inward.quartered
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 7/8) Get profit votes with @tipU :)
হুম বন্ধু দারুন একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম সেদিন ৷ আসলে ময়নামতির চরে একা যেতে ভালো লাগে না ৷ যদি প্রিয় মানুষ একটা থেকে তাহলে কিন্তু ভালোই সময় কাটবে ৷ তবে সামনে ১৪ই ফেব্রুয়ারির অনেক প্রেমিক প্রেমিকা যাবে ৷ যা হোক জায়গাটি আমারও. অনেক ভালো লাগে ৷
ময়নামতির চর নামটি বেশ সুন্দর।আর এইরকম নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে।গাছগুলো খুবই লম্বাকৃতির।গাছের মধ্যে আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে হাঁটতে দারুণ মজার।আশা করি সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রথমেই বলতে চাই যে আপনার ময়নামতি চরের ফটোগ্রাফি দেখে তো এখনই দৌড় দিতে মনে চাইছে। দেখেই তো বুঝাই যাচ্ছে আপনি অনেক ভাল একটা সময় কাটিয়েছেন এত সুন্দর প্রাকৃতক মনোরম পরিবেশে। আর এমন জায়গায় তো একা গেলে কখনও ভাল লাগে না। সাথে তো প্রিয় কাউকে লাগবেই।
ময়নামতির চর জায়গাটা তো দারুন।দেখেই ইচ্ছে করছে ছুটে আসি।নিরিবিলি পরিবেশ,সারি সারি গাছ এমন প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে খুব ইচ্ছে করে।ময়নামতি চরে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি খুব ভাল লাগলো ভাইয়া। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।