কর্ম।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ কর্ম সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
কর্ম কত ছোট একটা শব্দ। কিন্তু শব্দটি ছোট হলেও এর ব্যাপ্তি কিন্তু অনেক বিশাল। আসলে আমাদের জন্মের পর থেকে কিছুদিন যাবৎ মায়ের কোলে থাকা অব্দি কর্ম শব্দটা থেকে আমরা বিরত থাকি। কিন্তু আস্তে আস্তে যখন আমরা বড় হতে থাকি তখন আমরা এই কর্মের ভিতর আস্তে আস্তে প্রবেশ করি। আসলে যখন আমরা এই কর্মের ভিতর প্রবেশ করি তখন দিন দিন শুধু আমাদের কর্ম বৃদ্ধি পেতে থাকে। কর্ম কমে যাওয়া তো দূরের কথা দিন দিন কর্ম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই কর্ম শেষ হয় একমাত্র মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।
আসলে একদিক থেকে কর্ম করা কিন্তু ভালো। কারণ আমরা সবাই জানি যে, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। আসলে যারা কর্ম করে তাদের বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ করার মত মানসিকতা কখনোই থাকে না। এছাড়াও কর্মের মাধ্যমে মানুষের মন ভাল থাকে যদি সেটা ভালো কর্ম হয়। আসলে এই কর্মের স্রোতে যে একবার প্রবেশ করে সে আর এই স্রোত থেকে কখনো বেরিয়ে আসতে পারে না। আসলে আমাদের মত এরকম মধ্যবিত্ত এবং গরিব শ্রেণীর লোকেদের জীবনে এই কর্ম নামক শব্দটা কিন্তু অনেক বেশি কঠিন।
কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকেদের কঠিন পরিশ্রম করতে হয় সবসময়। আসলে তারা সবসময় চেষ্টা করে যে একটু সুখের কাজ করার জন্য। কিন্তু তাতে সারা জীবনটাই কেটে যায় এই কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে। যতই কঠোর পরিশ্রম করুক না কেন তাদের কর্ম কিন্তু কখনোই শেষ হয় না। বরঞ্চ যত দিন যায় এই কর্ম কঠিন থেকে আরো বেশি কঠিন এবং জীবনের শেষ সময় অব্দি তারা কঠোর কর্ম করেও তাদের নিজেদের তেমন একটা বেশি উন্নতি সাধন করতে পারে না।
আসলে আমরা সবাই জানি যে কর্মই হলো ধর্ম। কিন্তু একটা কথা কি কখনো ভেবে দেখেছেন। যারা গরীব শ্রেণীর লোক তারা তো সারা জীবন কর্মই করে থাকে। এই কর্ম করতে করতে তারা তাদের নিজেদের পরিবারকে একটুও সময় দিতে কখনই পারেনা। তাইতো এই কর্মের পাশাপাশি তারা যে ধর্মের পিছনে সময় দেবে সে সময়টুকু কিন্তু তারা পায় না। যদিও ধর্মের মূল কথাই বলা হয়েছে যে, তুমি কর্ম কর, ফলের আশায় কর্ম করোনা। কিন্তু বাস্তবে আমরা যতই কর্ম করি না কেন, এই ফলের দেখা কিন্তু আমরা কখনোই পাইনা।
আসলে দেশের উঁচু শ্রেণীতে যেসব লোক রয়েছে তাদের জন্য তাদের পিতা-মাতা আগে থেকেই জীবনটাকে অনেক গুছিয়ে দিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ তাদের এই জীবনটাতে কর্ম না করে শুধু শুধু বসে বসে তাদের জীবন কাটিয়ে যেতে পারবে। কারণ তাদের জীবনে কোন কিছুর অভাব নেই। আর এজন্য তারা কখনো কোন কর্মে ব্যস্ত থাকে না। আসলে একদিকে যেমন কর্ম করাটা ভালো তেমনি অন্যদিকে কর্ম না করাটাও কিন্তু একটা খারাপ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আসলে যেসব ব্যক্তিরা কর্ম করে না তাদের মস্তিষ্ক সবসময় অলস থাকে। আরে অলস মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের খারাপ জিনিস ঘুরে বেড়ায় সব সময়।
আর আমরা যখন সব সময় কর্ম করি তখন আমাদের মস্তিষ্কে এই খারাপ জিনিস ঘুরে বেড়ানোর কখনো কোনো সময় থাকে না। কারণ সবসময় আমরা কর্মে ব্যস্ত থাকি। আর এজন্য আমাদের মস্তিষ্কে সব সময় কর্মই ঘুরে বেড়ায়। অন্য কিছু আর আমাদের মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে না তখন। আসলে মানুষের পুরো জীবনটাই একটা কর্মযজ্ঞ। শুধুমাত্র আমরা নয় এই পৃথিবীর সবাই কিন্তু এই কর্মের যজ্ঞে নিযুক্ত হয়ে আছে। আসলে আমরা যদি কর্ম না করি তাহলে দেশেরও কখনো উন্নতি সাধন হবে না।
এছাড়া আমাদের সবসময় উচিত আমাদের কর্মের দ্বারা দেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যদি আমরা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকেরা কর্ম না করে তাহলে দেশ কখনোই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে না। শুধুমাত্র মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকেরা নয়, পৃথিবীর সব শ্রেণীর লোকেরা যদি এই কর্মযজ্ঞে নিযুক্ত না হয় তাহলে আমরা দিন দিন পৃথিবী থেকে অনেক পিছিয়ে পড়বো। আসলে সবাই যদি হাতে হাত মিলিয়ে কর্ম করি তাহলে কোন কর্মই আমাদের কাছে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে না। বরং আমরা সবসময় উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে থাকবো।
এছাড়াও আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও সঠিক কর্ম করার জন্য সব সময় উদ্বুদ্ধ করব। আসলে কর্ম কিন্তু বিভিন্ন প্রকার আছে। আমরা সব সময় ভালো কর্ম করে থাকব। খারাপ কর্মের মাধ্যমে আমরা দ্রুত উন্নতির শিকারে পৌঁছে যে গেলেও সেই কর্মের কিন্তু কখনো কোন মূল্য নেই। আসলে খারাপ কর্মের দ্বারা যে যতই উপরে উঠুক না কেন, সেই ব্যক্তি কিন্তু বেশিদিন উপরে থাকতে পারে না। কারণ কুকর্মের ফল কখনোই ভালো হয় না এবং বেশিদিন এই কুকর্মের দ্বারা উন্নতির শিখরে করে অবস্থান করা যায় না।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
হ্যাঁ কর্ম শব্দটি ছোট হলেও এর ব্যাপ্তি অনেক। প্রতিটা মানুষ কোন না কোন কর্মের সাথে লিপ্ত হয়ে পড়ে জীবন জীবিকার তাগিদে সবাই ভালো ভাবে জীবনটা পার করতে চায়। সেজন্য জীবনের সফলতার পথে কর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ভালো লাগলো অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন।
একজন মানুষের সঠিক কর্ম শুধু তার নিজের না পুরো দেশের বা প্রজন্মের কাজে লাগে। ঠিক ঠিকইভাবে একজন মানুষের খারাপ কর্ম পুরো জাতির ফলাফল ভোগ করা লাগে। কর্ম ছাড়া মানবজীবন কখনো স্বার্থক হয়না। একজন সফল মানুষ কখনোই কর্ম ছাড়া সফল হতে পারে না। আর মানুষ কর্মঠ হয়ে জন্ম নেয় না। পরিবেশ পরিস্থিতি শিক্ষা তাকে কর্মঠ করে দেয়। সবমিলিয়ে দারুণ লিখেছেন ভাই।।
সুস্থ ও সঠিক কর্ম একজন মানুষকেই শুধু উন্নত করেনা।উন্নত করে সমাজ ও দেশকেও।কর্ম ছোট হলেও তা করা ভালো। কিন্তু খারাপ কর্ম করা মোটেও ভালো নয়।এতে পরিবার ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।নিজের জীবনে ও নেমে আসে অন্ধকার। খুব সুন্দর লিখেছেন দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।