মেয়ে।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ মেয়েদের সম্পর্কে আমার কিছু অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে আমাদের সমাজে মেয়ে মানুষ একটা তুচ্ছ জীব হিসেবে পরিচিত। কথায় কথায় বলে, মেয়ে মানুষের দ্বারা কিছুই হয় না নাকি। মেয়ে মানুষ হলে পৃথিবীর মধ্যে একটু অদ্ভুত প্রাণী। যাদের বুক ফাটে তবুও তাদের মুখ ফোটে না।
অবহেলিত এ মেয়েরাই কিন্তু আমাদের মা। তাই মেয়েকে অপমান করার আগে নিজেদের মায়ের কথা একবার চিন্তা করে দেখবেন। যে মা তার সন্তানের জন্য তার সর্বস্ব ত্যাগ করে। মেয়ে মানুষ নিজেকে অনেক কষ্ট চাপা দিয়ে থাকতে পারে। আসলে আমাদের সমাজে মেয়ে মানুষের জন্ম হয় অনিচ্ছার শর্তে।
সকল পুরুষই ছেলে চান তার সন্তান হিসেবে। কারণ ছেলেরাই নাকি বংশের প্রদীপ। আর মেয়েরা বেড়ে ওঠে অবহেলার মাঝে। কখনো কি ভেবে দেখেছেন আমাদের পৃথিবীতে মেয়ে না থাকলে কি হত। যাক সেসব কথা বাদ দেয়া যাক। একটা মেয়ে কিন্তু তার সর্বস্ব ছেড়ে চলে আসে তার প্রিয়জনের কাছে।
এই মেয়েরা যখন বেড়ে ওঠে তখন তাকে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশের সাথে লড়াই করতে হয়। একটা ছেলে ১০ বছর বয়সে মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলা, ক্রিকেট খেলা ইত্যাদি খেলাধুলার কথা চিন্তা ভাবনা করে। কিন্তু একটা মেয়ের ক্ষেত্রে এই চিন্তা দ্বারা সম্পূর্ণই আলাদা। কারণ একটা ১০ বছরের মেয়ে তার সেই সময়টাতে তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে।
এটা কিন্তু সায়েন্টিফিক প্রমাণিত। কারণ ছেলেদের ম্যাচুরিটি মেয়েদের থেকে অনেক পরে আসে।
আসলে মেয়েদের সঠিক ঠিকানা বলে কিছুই হয় না। জন্মের পর থেকে কুড়ি বছরের আগে পর্যন্ত বাবার বাড়ি আর কুড়ি বছরের পরে শ্বশুর বাড়ি। আসলে কেমন যেন মেয়েদের জীবন। ভাবতে খুব অবাক লাগে। আর বাবা-মার সম্পত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে মেয়েদের অংশীদারি ছেলেদের তুলনায় কম থাকে।
একটি মেয়ে সব সময় অসহায় কখনো তার পরিবারের কাছে, কখনো তার স্বপ্নের কাছে, কখনো তার ইচ্ছার কাছে, আবার কখনো তার ভালোবাসার কাছে। একটা মেয়ে তার জীবনের প্রত্যেকটা সময় অন্যের জন্য বেঁচে থাকে। জন্মের পর মা-বাবার জন্য বিয়ের পর স্বামীর জন্য আর সন্তান হওয়ার পর সন্তানের জন্য। তাহলে একটি মেয়ের জীবনে কি থাকে। পুরোটা সময় তাদের অন্যের জন্য তাদের জীবন দিতে হয়।
একটি মেয়ে কখনো তার জীবনে কোন চাওয়া পাওয়া থাকে না। যা থাকে তাহলে সবাইকে নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন। আমাদের সমাজে মেয়েরা কখনো তার ইচ্ছামতো চলাফেরা করতে পারে না। না পারে তাদের ছোট ছোট স্বপ্নগুলো পূরণ করতে। আসলে একটা মেয়ে কখনোই কাউকে ভালোবেসে তার সাথে পালিয়ে যেতে পারে না। যদি তারা মা-বাবার কথামতো চলে তাহলে সে লক্ষী মেয়ে। আর যদি তারা মা-বাবার কথা মতো না চলে তখন তারা হল অবাধ্য মেয়ে। মেয়ে মানে অন্যের সাজানো ঘরকে নিজের মনে করে নেওয়া।
কিন্তু এখন সময় পাল্টে গেছে। মেয়েরা এখন সমাজের ঘৃণিত নয়। তারা সমাজের উচ্চ পর্যায়ে এখন পৌঁছে গেছে। শিক্ষা চাকরি সব ক্ষেত্রেই ছেলেদের থেকে মেয়েরা অনেক এগিয়ে। একসময় প্রচলন ছিল মেয়েরা বাড়িতে বসে রান্না করবে আর ছেলেরা বাইরে থেকে ইনকাম করবে। এখন ছেলেদের সাথে সাথে মেয়েরাও বাইরে থেকে ইনকাম করে সংসার চালাচ্ছে।
কোন দিক থেকেই মেয়েরা আর পিছিয়ে নেই। সমাজের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ে মেয়েদের অবদান অপরিসীম। এছাড়াও মেয়েরা আমাদের সমাজে বিভিন্ন বড় বড় নিদর্শন রেখে গেছে। তাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করতে হবে। আর আমাদের সমাজে ছেলেমেয়েদের সমান অধিকার বোধটা সবার ভিতরে জাগিয়ে তুলতে হবে।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।



.jpg)
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি ভাইয়া আগের দিনে মেয়েরা যায়হোক না কেনো? এখন কার মেয়েরা কিন্তু কিছুতেই পিঁছিয়ে নেই। আজ মেয়ের আর ঘরের মধ্যে বন্ধী নয়,তারা সমাজের উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এখন ছেলে ও মেয়ের সমান অধিকার। বর্তমান ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক এগিয়ে। আপনাকে ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাই অসাধারণ একটা টপিক নিয়ে আজকের পোস্টটি লিখেছেন আপনি। আসলে সমাজে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অধিকার খুবই কম। অবহেলায় বড় হচ্ছে প্রত্যেকটা মেয়ে কিন্তু আগের মতো এখন কিছুই নেই। মেয়েরা সমাজের অনেক বড় একটা পর্যায়ে চলে গিয়েছে এখন। ঠিকই বলেছেন এখন বর্তমান সময়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা খুবই এগিয়ে। খুবই ভালো লাগলো আপনার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আমার কাছে। সম্পূর্ণটা বেশ ভালোই লিখেছেন আপনি।
খুব চমৎকার একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। ভাবতে অবাক লাগে আধুনিক এই সমাজে এখনো মেয়েদের অবহেলার চোখে দেখা হয় অনেক জায়গাতেই। তবে দিন বদলাতে শুরু করেছে। ছেলে মেয়ের তফাৎ এখন অনেকাংশই দূর হয়ে গেছে। একটা মেয়ে যে পুরো বিশ্ব জয় করতে পারে সেটা সে প্রমাণ করে দেখাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কোথায় নেই তার পদচারন! মাঝে মাঝে তো আমার কাছে মনে হয় একটা মেয়ে তার সারা জীবনে যা যা সহ্য করেন এবং যত কিছু সেক্রিফাইস করেন, একজন ছেলে হিসেবে এত কিছু সহ্য করা প্রায় অসম্ভব আমার কাছে।