স্বরচিত মুক্তগদ্য—আমি ও আমাদের মহাবিদ্যা; সাথে আমার করা কিছু পেইন্টিং।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
আপনাদের আমার লেখা একটি মুক্তগদ্য পড়াতে চলেছি। যার শিরোনাম আমি ও আমাদের মহাবিদ্যা
আমি ও আমাদের মহাবিদ্যা
---------------------------------------- নীলম সামন্ত
যেভাবে তুমি জড়িয়ে রেখেছ এক প্লেট বিরিয়ানি সরিয়ে নির্ভরশীলতার পদ্মপাতায় মুড়ে দিলাম তীব্রতার মধ্যরাত৷
You know birds always love to live freely in their own forest.
ভালোবাসা বিস্ময় নয়। চন্দনের গন্ধ৷ শেষ ট্রাম ডিপোতে ঢুকে যাবার পরেও জেগে দ্যাখে হাতে হাত রেখে ঈশ্বর জ্বলছে অন্ধকার বিছানায়। আর একটি দুটি তিনটি করে সন্তানরা ইস্কুলের ব্যাগে ভরে দিচ্ছে বিদ্যের বোঝা৷ বিদ্যে কখনো বোঝা হয় না৷ আলো আলো পথ থেকে নিজের মতো উড়ে যাওয়া পরিক্রমা। যে কারণে আমরা আজও পিঠের দিক থেকে মাথা পর্যন্ত ঠেসে দিই বুদ্ধির বহর। আসলে ভালোবাসা, জীবন, শিক্ষা সময় সব কিছু মিলেই যেন একশ আটটা নীলপদ্মে গাঁথা মহাকালের নৈবেদ্য।
If I consider myself as next to zero there must be a vibration inside each and every cells.
শূন্যই মহাবিদ্যা। ধ্যান, মন্ত্র, তন্ত্র, কর্ম, ভক্তি - পথের ভেতর পথ- মহাপথ। বহুবার চেয়েছি গুছিয়ে লিখতে শ্মশান উল্লাস। ভিড়ভাট্টা জ্যাম অবরোধ পেরিয়ে কয়েকঘন্টার আগুন আর ধোঁয়ার মিলমিশই কি শক্তির বিনাশ? নাঃ। শক্তি পরিবর্তিত রূপ। ভালোবাসার তীব্রতা। এই যে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখছি পৃথিবীর প্রাণ উচ্ছ্বাস প্রকাশে তৎপর। সংসার নামক অলিখিত ধর্মে বিশ্বাস অবিশ্বাস মাথায় কত রকমের চলাফেরা চলে; অতিসুক্ষতায় তা অচলায়তনের স্রোত। যেন এই করতেই এসেছি। যেন আমরা ভয়ঙ্কর ভাবে জানি আমাদের দৃষ্টি অনুকূল প্রতিবেশি আমাদেরই মতো পাখি, নদী, গাছ গাছালি। কিন্তু প্রতিকূল? তার খবর কে রাখে? একটা মহাজগতের পাশাপাশি আরও একটা কিংবা কয়েকটা। যেখানে প্রতিফলন নেই৷ পরতে পরতে অন্ধকার।
আমি কোনদিন পাখি হতে চাইনি। কিংবা নদীও না। নামের খানিকটা অংশ উজ্জ্বল হলে বিজ্ঞান আর কো-ইন্সিডেন্ট ছাড়া কিছুই না। প্রতিবার ফাঁকফোকর দিনে গ্রামের বাড়িতে যখন আড়মোড়া ভাঙি গরু ডাকে, গোছা গোছা ধান মাথা ঝুলিয়ে দেখে সাপ ব্যাঙের ছুঁ-কিৎকিৎ। টুপ টাপ শিউলি পড়ে। ঘুম ঘুম নেশায় ভাবার চেষ্টা করি পৃথিবীর বিস্ময়। সহস্র অন্ধকারের ভিতর আমার দেখা শ্রেষ্ঠ ফুৎকার। আচ্ছা, এভাবে ভাবলেও তো হয়, পৃথিবী একটি অতিসুন্দর বিন্দু। যার পাশের রাজ্যে ট্রেন চলে না, ম্যানহোল নেই, আমার দেখা কিচ্ছু নেই। ভাবব কি? সত্যিই তো আমার দেখা কিছুই নেই।তাহলে?
তাহলে আর কি? রাত বাড়লে লাইট অফ করে বরং ভালবাসার কথা লিখি। প্রতিটা সম্পর্কে বাঁচিয়ে রাখা আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ আর চেনা রাজপথের অচেনা ম্যানহোল। তুমি বরং আরও একটু জড়িয়ে নাও। তাহলেই দেখতে পাবে আমার মতো ব্রহ্মান্ডের তলে সংস্কৃত মন্ত্র উচ্চারণ করছে কয়েকটি রঙিন মাছ।
মুক্তগদ্যের সাথে আমার আঁকা পুরনো কিছু ছবি দিলাম, মনে হল উপযুক্ত আজকের লেখার সাথে। কেমন হল জানাবেন৷
আজ এ পর্যন্তই থাক। আবার আসব আগামীকাল। আপনারা ভালো থাকুন ততক্ষণ।
টাটা
পোস্টের ধরণ | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
ছবিওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | স্যামসাং এফ৫৪ |
লোকেশন | পুণে,মহারাষ্ট্র |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ইনশট |
৫% বেনেফিশিয়ারি এবিবি স্কুলকে এবং ১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.