এলোমেলো আলোকচিত্রে ভরা আজকের পাতা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
অনেকদিন হলো আপনাদের সাথে কোন আলোকচিত্র বা ফটোগ্রাফি শেয়ার করিনি। তাই ভাবলাম আজ কিছু এলোমেলো ছবি নিয়ে ব্লকটি তৈরি করি। এই ছবিগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় তোলা তবে বেশিরভাগটাই পুনেতে তোলা। ছবিগুলো যেভাবে তুলি না কেন সামান্য এডিটিং করেছি। কোন একটা নির্দিষ্ট অ্যাপে নয় দুটো তিনটে অ্যাপ মিলিয়ে এডিট করেছি। ফাইনাল লুকগুলো কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন।
আসুন দেখিয়ে নিই কিছু ছবি,
ছবিটি দেখে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর ছবি মনে হচ্ছে তাই না? না এই ছবিটি কলকাতার তোলা নয়, গত বছর বাড়ির পাশে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর আদলে তৈরি হয়েছিল। এই ছবিটি বাড়ির ছাদ থেকে তোলা। ছাদের টবে ফোঁটা নয়নতারার সামনে ক্যামেরা রেখে ছবিটা তুলেছিলাম। সে কারণেই পুরো ছবিটা আসেনি শুধু মেমোরিয়াল এর যে ডোমটা আছে তার ওপর দিকটা এসেছে। এই ছবিটা তুই এডিট করতে সামান্য কন্ট্রাস্ট আর লাইটের এডিটিং করেছি।
এই ছবিটা গোয়াতে তোলা। ওখানে সমুদ্রের ধারে যে সমস্ত খাবারের দোকান আছে তাদের টেবিলে এরকম ধরনের মোমবাতি দিয়ে ক্যান্ডেল লাইট তৈরি করা হয়। এ কাঁচের জাতটি দেওয়া আছে যাতে সমুদ্রের বাতাসে মোমবাতির আলো নিভে না যায়। এই ছবিটিতেও লাইট আর কন্ট্রাস্টের এডিটিং করেছি।
এই ছবিটা রাস্তার ধারে তোলা। খুব একটা এডিটিং নেই কারণ ছবিটা আমি ম্যাক্রো লেন্স বসিয়ে তুলেছিলাম। রাস্তার ধারে যে কোন ফুল দেখলেই আমার ভীষণ ছবি তুলতে ভালো লাগে। কারণ আমার মনে হয় পৃথিবীতে সব থেকে সুন্দর ফুল। এত বিভিন্ন রকমের ফুল দেখে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।
বর্তমানে যেখানে থাকি সেখানকার ছবি এটা। একদিন রাত্রিতে খুব বৃষ্টি হচ্ছিল, তখনই তুলেছিলাম। ছবিটার আসে পাশে এতো স্বচ্ছ ছিল না৷ এডিট করে সমস্ত অদরকারি জিনিসগুলোকে রিমুভ করে দিয়েছি। যাতে নিটোল দেখায় ছবিটা৷ ভালো লাগছে?
এই ছবিটা ডবলু পি ইউ এম আই টি ইউনিভার্সিটিতে ঢোকার মুখে তোলা। বিশাল সাইজের গ্লোবটি রাখা আছে৷ বর্ষাকাল ছাড়া অন্যান্য সময় এই গ্রুপটি কিন্তু ঘোরে। কিন্তু বর্ষাকালে এত বৃষ্টি হয়েছে ইলেকট্রিক কানেক্ট করতে পারে না৷ এই ছবিটি একদিন বৃষ্টির সন্ধেতে তোলা। সামনের রাস্তাটা বৃষ্টিতে ভিজে গেছিল। এই ছায়াটা তৈরি হয়েছে সেটা অল্প পরিমাণেই তৈরি হয়েছিল। ফটোশপ দিয়ে এডিট করে ছায়াকে আরো ডিপ করেছি। এবং হালকা করে জলের এফেক্ট দিয়েছি যাতে মনে হয় জলের ওপর ছায়াটা পড়েছে।
কাঠ চাঁপার ছবি। এই ছবিটা গোয়াতে তোলা। ঝকঝকে রোদের মধ্যে ফুলটি নিচে পড়েছিল তাকে ভালো করে বসিয়ে একটা ছবি তুলেছি তারপর ফটোশপে পেছনটা ব্লার করে ওয়ার্ম ও শাচুরেশনটা বাড়িয়েছি। কেমন হয়েছে ছবিটা? আসলে আইফোনে ছবি তোলার সময় ছবিটাই নানান ভাবে তোলা যায়। এটা ওখানেই একটা এফেক্ট ফেলে তোলা। বাকি এডিটিং ফটোশপে করেছি।
এই ছবিটা সম্পর্কে আর বিশেষ কি বলব। চায়ের কাপ দেখে বোঝাই যাচ্ছে। আমার ঘরে যেখানে আমি থাকি টেবিলে রাখা গরম চায়ের কাপ যেখানে ধোয়া উড়ছে । সেই ধোয়াটাকে ক্যাপচার করে ফটোশপে এডিট করেছি। খানিকটা এডিট করলে ছবিগুলো অনেক বেশি স্বচ্ছ ও নিটোল দেখায়।
বন্ধুরা, আজ এই কয়েকটি ছবি ছিল দেখানোর মতো। আবার আসবো অন্য কোনদিন অন্য ছবি নিয়ে। আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন। আপনাদের কমেন্টের অপেক্ষায় থাকবো। আজকের ব্লগটি এখানেই শেষ করছি। আবার আগামীকাল কিছু নিয়ে৷
টাটা
পোস্টের ধরণ | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ছবিওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | আইফোন ১৪ |
লোকেশন | ভারতবর্ষ |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ক্যানভা, অনুলিপি, ইনশট |
৫% বেনেফিশিয়ারি এবিবি স্কুলকে এবং ১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রতিটি ছবিই ছিলো অসাধারণ, ক্যাপচার দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি দারুন ফটোগ্রাফি করেন।খুবই ভালো লেগেছে আপনার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ দিদি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছবিগুলো যে আপনার ভালো লেগেছে তা জেনে আনন্দিত হলাম। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
বেশ চমৎকার কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু।আপনার তোলা প্রতিটি ফটো আমার কাছে দুর্দান্ত লেগেছে।খুবই নিখুঁতভাবে প্রতিটা ফটো উপস্থাপন করেছেন।খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ছবিটা আসলে শখেই তুলি৷ ভালোবাসি তুলতে তাই। এখানে ফটোগ্রাফি পোস্ট করার সুযোগ আছে তাই করি নইলে ছবিগুলো কোথায় যে হারিয়ে যায় তার কোন খোঁজই থাকেনা। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
বাহ,আপনার ব্লগটি সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন তো দিদি এলোমেলো ফটোগ্রাফি দ্বারা।যেটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ,আসলে সামান্য এডিটিং করাতে বেশ আকর্ষণীয় লাগছে ছবিগুলো।বৃষ্টির দিনে ধোয়া উড়া চায়ের কাপটি ভীষণই ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ দিদি।
হ্যাঁ ছবিগুলোতে অনেক সময় লাইটার কনট্রাস্টের কাজ একটু কমই থাকে সেগুলো একটু ঠিক করে নিলে বা আশেপাশের অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোকে রিমুভ করে দিলে ছবি আরো সুন্দর হয়ে ওঠে। তোমায় অনেক ভালোবাসা গ্রীন।
💝☺️
চমৎকার। এককথায় অসাধারণ বলতে হয় আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কে। সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার খুব ভালো লেগেছে। একেবারে সুন্দর পরিষ্কার। অবজেক্ট গুলো কে দারুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
আপনার এত সুন্দর লেগেছে ছবিগুলো জেনে আমি খুব খুশি হলাম । আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করলেন তাই।
আপনি তো দারুন ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করার পাশাপাশি খুব সুন্দর এডিট করতে পারেন। চায়ের কাপের ফটোগ্রাফি টা অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। খুব সুন্দর ভাবে এডিট করেছেন এটা। কসমস ফুলের ফটোগ্রাফি টাও ভীষণ সুন্দর। ধন্যবাদ আপু মনমুগ্ধকর প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
হ্যাঁ আপু, আজকাল নানান ধরনের অ্যাপ আছে বা ফটোশপে এডিট করা খুব সহজ। সামান্য এডিট করে দিলে ছবিগুলো আরো সুন্দর হয়ে ওঠে সে কারণেই আমি এডিট করে থাকি ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ কয়েকটি আলোকচিত্র শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি আলোকচিত্র অসাধারণ ছিল। বর্তমানে আপনি লেবেল ৪ এ রয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আশা করছি খুব দ্রুতই আপনি আমাদের মত একজন ভেরিফাইড সদস্য হয়ে যাবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। এভাবে পাশে থাকলেন দেখে আপ্লুত হলাম।
খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে কসমস ফুলের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।