পুসের দামের হ্রাস-বৃদ্ধি ও আমার চিন্তাভাবনা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী
আশাকরি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমিও বেশ ভালো আছি। তবে আমার দেশের বাএইর দিকে বন্যা হচ্ছে শুনেছি। যদিও আমার দুই বাড়িতে সেরম কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি কারণ বাঁধ উলটো দিকে ভেঙেছে৷ তবে যেদিকেই ভাঙুক ক্ষয় তো হবেই। চাষ হবে না৷ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই৷ যাইহোক জীবন যখন আছে নানান ধরণের ওঠা পড়ার মধ্য দিয়েই আমাদের কাটাতে হবে৷ তাই আপনাদের সবার মঙ্গল কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
টাইটেল দেখেই বুঝতে পারছেন আমি আজ পুস নিয়ে কথা বলব৷ তাই শুরুতেই আমার নিজের করা নতুন ব্যানারটি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। খুবই ছিমছাম ভাবে করেছি ক্যানভা অ্যাপে। ল্যাপটপে বসলে ফটোশপে করা যায়। কিন্তু সে তো আর হয়ে ওঠে না৷ তাই মোবাইলেই যতটা কাজ করা যায়। কেমন হয়েছে আপনারাই বলুন ?
লাস্ট পুস কিনেছিলাম ৩/৯/২০২৪ তারিখে৷ তারপর থেকে রোজ সকালে, দুপুরে রাতে প্রায় তিনবার করে ট্রন অ্যাকাউন্ট খুলে একবার করে দেখি। অবশ্য মাঝে মধ্যে ভুলেও যাই৷ তো এই কয়েকদিনের মধ্যে পুসের দাম যেমন তরতরিয়ে বেড়েছে, তেমনি মাঝে মধ্যে কমেওছে। তবে আজকের আগে বিগত কয়েক দিন ধরে দেখেছি সামান্য কমবেশি হলেও দাম প্রায় একই জায়গায় রয়েছে, প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না এমন কেন হচ্ছে৷ ভাবলাম আমাদের মার্কেটিং এ সমস্যা হচ্ছে কি যার ফলে ইনভেস্টমেন্ট কমে যাচ্ছে৷ নাকি অন্য কিছু৷ ক্রিপ্টোর ব্যপারে আমি খুব একটা বেশি কিছুই জানি না৷ ওই যা rme দাদা আলোচনা করেন সেটা শুনি৷ তবে বুঝি তার অর্ধেক। গতকাল কিং পরসের ব্লগ পড়ে জানলাম হিউজ সেলিং প্রেসার ছিল। তবে অনেক সেল হবার পরেও যে পুস হু হু কমে যায়নি এটা সত্যিই দারুণ ব্যপার৷
আমি প্রথম পুস যখন কিনি তখন অনেকটাই দাম কম ছিল তাই পরিমানটাও বেশ ভালো পেয়েছিলাম৷ আমার তো কোন TRX ছিল না। আর স্টিমও যে অনেক ছিল তা নয়৷ তবু যেটুকু ছিল একটা রিস্ক নিয়ে সিংহভাগটাই কিনেছিলাম৷ এর পেছনে আমার একটি অভিজ্ঞতা কাজ করেছে৷ বেশ কিছু বছর আগে, আমার এক বন্ধু সরস্বতী পূজাতে আমার বাড়ি খেতে এসে বসে গল্প করতে করতে বলেছিলেন বিট কয়েনের কথা৷ তারপর আমার এক ভাই মুম্বাই আই আইটি তে পড়ত তার কাছে শুনেছিলাম। সেই সব শুনে যা বুঝেছিলাম নো রিস্ক নো গেইন টাইপ খেলা। তবে ধৈর্য্য রাখতে হয়৷
এখানে যেহেতু rme দাদা হোতা৷ আর উনি বেশ বোঝেন সব কিছু তাই কেন জানি না ভরসাই করেছি৷ উনি বলেছিলেন এই কয়েনের দাম কোনদিনই শূন্য হবে না৷ অতয়েব সামান্য রিস্ক নেওয়াই যায়৷ আর একটা কথা আমি জানতাম মার্কেট ভ্যালু শুরুতেই কম থাকে। আর সেই দাম কোনদিনই ফিরে আসবে না একটি আপগ্রোয়িং কয়েনের৷ তাই আমার চেষ্টা ছিল যতটা ম্যাক্সিমাম কেনা যায়৷
এর পর যখন মার্কেট ভ্যালু আপডাউন হয় তখন আমি একটা কথাই ভেবেছি। কোন একটা ব্যবসা যদি শুরু করি তবে তা কোনদিনই একদিনে বড় করা যায় না৷ আস্তে আস্তে করে বড় হয়। সেখানে অনেক ঝড় বৃষ্টিও আসে। সবই সামলাতে হয়৷ আমার একটা ছোট্ট ব্যবসা ছিল। আমি একটা সময় অক্সিডাইসের গয়না বানাতাম৷ শুরুর দিকে ভালো মার্কেটিং করতে পারতাম না৷ তবে যারা কিনত দ্বিতীয় বার আসত। কারণ আমি যে ডিজাইন বানাতাম তার দ্বিতীয় পিস বাজারে পাওয়া যেত না৷ বলে রাখি আমি ফ্যাশন ডিজাইনিং কোর্স করেছিলাম বলেই হয়ত এমন ডিজাইন করতে পারতাম৷ যখন মানুষ জানল তখন যে সবাই সব সময় আসত তা নয়। কখনও খুব বিক্রি হল আবার কখনও একেবারেই নেই৷ তবে আমার দু হাজার টাকা দিয়ে শুরু করা ব্যবসাটা মোটামুটি ভালোই চলত। তারপর মুম্বাই থেকে চলে আসার পর সেটা বন্ধ করে দিই৷ আমার এই অভিজ্ঞতাই আমায় শিখিয়েছে বড় হতে গেলে সময়ের সাথে ধৈর্য্য রেখে প্ল্যান করে পা ফেলতে হয়৷ এখানে প্ল্যানার তো রয়েইছেন অ্যাডমিন মড প্যানেল সাথে সবার ওপরে আমাদের rme দাদা৷ তাই ওসবে আমার মাথা ব্যথা নেই। তবে আমি ধৈর্য্য টা রেখেছি। এখন দাম কমলে ভাবি কাল বেড়ে যাবে। আর বাড়লে ভাবি নতুন সূর্য।
এর মধ্যে কখনোই বিক্রির কথা ভাবিনি৷ বরং চেয়েছি আপাতত বছর পার করে ভাবব আগে কি করব বা করব না৷ এখন যেমন আছে থাক। নিজের টাকা বাড়ছে এটা তো দেখেও আনন্দ। রোজ নিজের টাকা দেখতে পাব এমন সুযোগ কোথায় পাওয়া যায়? তাছাড়া এখনও পথ অনেক বাকি। এখনই তুলে নিলে মাঝ পথে থমকে যেতে হয়৷ তাই চুপচাপ নাকে সরষের তেল দিয়ে ঘুমোই, বেশি কোলাহল করে কাজ নেই৷ পুস এখন ব্রহ্মাণ্ড চষে বেড়াক। আমি বরং ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখি আমার বৃদ্ধাশ্রমটা কেমন দেখতে হবে৷
আপনারা কি ভাবেন পুসের দাম বাড়া কমা নিয়ে? কমেন্ট করে জানাবেন৷
আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার আগামীকাল আসব অন্য কিছু নিয়ে। ততক্ষণ আপনারা ভালো থাকুন।
টাটা
৫% বেনেফিশিয়ারি এবিবি স্কুলকে এবং ১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/neelamsama92551/status/1836469065319354556?t=X8YpVIXPIkuxI_12DPgmZQ&s=19
Puss দাম কমের চেয়ে বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। এটা বেশ ভালো একটা দিক। আর ক্রিপ্টো কখনও একবারে আকাশে উঠে না। আপ ডাউন করে করেই উঠে। এটাই মার্কেট ট্রাজেডি। puss এর দাম নিয়ে করা আপনার পোস্ট টা বেশ ভালো লাগল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
আসলে আমরা যারা পুস কয়েন কিনেছি সবার ভেতরে কিন্তু ভালো চিন্তাধারা রয়েছে। অনেকে চাই আমরা হোল্ড করে রাখি এই কয়েন। হয়তো ভালো একটা দামে বিক্রি করতে পারব। কিন্তু ইতিমধ্যে আমরা ওটা নামা করতে দেখে একটু টেনশন করে থাকি। তবে এটা টেনশনের কিছুই না। কোন কয়েন প্রাথমিক পর্যায়ে নিচের দিকে যায় না। আস্তে আস্তে হলে উপরের দিকে আসতে থাকবে। আর আমরা তো কিনেছি একদম সেই নিম্ন অবস্থায় থাকতে তাই আমাদের এ নিয়ে টেনশন এর কিছুই নেই।
একদম ঠিক বলেছেন দিদি যেকোনো কিছু শুরু করতে গেলে অবশ্যই আস্তে আস্তে পা ফেলতে হবে।তাড়াহুড়োর ফল কখনোই ভালো হয় না।আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদার উপর ভরসা রাখা উচিৎ বলে আমি মনে করি।আমি অল্প কিছু কিনেছি আশাকরি আগামীতে আরও বাড়ানোর ইচ্ছে আছে।সুন্দর করে আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।