আজ কবিতা পড়ার দিন।। স্বরচিত কবিতায় নীলম সামন্ত

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

।। নমস্কার বন্ধুরা।।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

নীলমের লেখামিতে আপনাদের স্বাগত



1000193850.jpg

ছবিটির সাথে কবিতার কতটা মিল আছে তা আপনারাই ভালো বলবেন। আমি আমার মতো দিলাম।

বন্ধুরা কেমন আছেন? আপনাদের ভালোথাকা কামনা করেই আজকের ব্লগ শুরু করছি৷

আজ আপনাদের কবিতা পড়াবো। কবিতার দিন হলে আমার একটু বেশিই আনন্দ হয়৷ মনে হয় নিজের প্রাণের সৃষ্টি তুলে ধরার মুহুর্ত বুঝি হাতের মধ্যে এলো৷ তাই ভালো থাকার পরিমান একটু বেড়েই যায়৷

কবিতার পটভূমি খানিক বলে রাখি। কবিতাটি একদিন দুপুরে বসে এক টানা লিখেছিলাম। এই কবিতায় অনেকগুলি প্রয়োগ আছে৷ কবিতাকে কবিতা করে তোলার আগে শব্দের সঙ্গে খানিকটা খেলেওছি। উত্তরাধুনিক কবিতার জোয়ারে শব্দের খেলা তো থাকেই৷ যে কারণে অনেক প্রয়োগ দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। তবে কিছু মানুষের কাছে উপভোগ্যও বটে।

এই কবিতাতে শুধু যে শব্দের খেলা আছে তাই নয়। শেষের দিকের কয়েকটি স্তবকে একটাই বাক্য। একটা সময় এই ধারায় অনেক লেখা হতো। বিশেষত ইউরোপীয় দেশগুলিতে৷ ওনারা হাজার হাজার শব্দ দিয়ে একটি বাক্যে একটি দীর্ঘ কবিতা লিখতেন। কবিতা যে শুধুই আবেগের প্রতিফলন তা নয়৷ সেখানে দর্শন যেমন থাকে মেধাও তেমনিই থাকে৷ একবার এক সাধারণ কবি(যাঁর খুব একটা পরিচিতি নেই)র কবিতা পড়ার পর অদ্ভুত ফরম্যাট পেয়েছিলাম। কবিতাটি শুরু থেকে পড়ে যেমন শেষ হচ্ছে তেমনি শেষের লাইন থেকে মানে বিপরীত পথে পড়লেও কবিতা হয়ে যাচ্ছে৷ ভেবে দেখুন কবি বন্ধুরা, দুটো জায়গার মধ্যে পথ আসলে একই। এগিয়ে যান বা পিছিয়ে আসুন৷ ওনাকে জিজ্ঞেস করায় উনি বলেছিলেন যেটা ঘটেছে সেটা ইচ্ছেকৃত না৷ লেখার পর আমাদের মতো পাঠক বলাতে উনি বুঝেছিলেন। একসময় কবিতা জ্যামিতিক ফরম্যাটে লেখা হত। মানে কবিতার লাইন এমন ভাবে সাজানো হবে যেন একটি ত্রিভুজ বা রম্বস ইত্যাদি দেখাবে৷ এভাবেই কবিতার অনেক রকম ফের রয়েছে। আর কবিতা নিয়ে জ্ঞান দেব না, চলুন আমার কবিতাটি পড়িয়ে দিই৷

নকার আপার্স
--------------------- নীলম সামন্ত

ডিসেম্বর কিংবা ফুড়ুৎ হেমন্ত—
পর্দার প্রিন্টে যাই থাক না কেন
জলের অভাবে গাছগুলো শুকিয়ে গেছে
কাঠবেড়ালিটা রোজই আসে
কাঙাল জিভ আর অহংকারের লেজ নিয়ে পালিয়েও যায়

প'এ পা, ফ'এ ফুড়ুৎ
ব'এ বলরুম

বলরুমেই কি বলডান্স হয়~ ধুর এতো জেনে কি হবে, এই জীবনে সপ্তর্ষীমন্ডলের সাত ঋষি চিনতেই চুল পেকে গেল এদিকে শীতের এগারোটা রাশভারী ফুলের নাম বলতে বলুক
গোবরে পা হটকে দুলালি পড়বে ক্লাইম্যাক্সের চাটনিতে

       ঘ্যাঁৎ ঘ্যাঁৎ... দ্রুউউউউউউউম 

আরে না না এ কোন অর্থবহুল শব্দ না, ওই যে হড়কে যাবে বললাম তারই শব্দ-পরিণতি, সে যাইহোক এবার বাড়ি থেকে আসার পথে দেখলাম চন্দ্রমল্লিকার বাগানে রাত্রিবেলা আলো করে রাখা আছে, যেন রাণী মহলে দুনিয়ার সেরা রানীদের সমাবেশ যা দেখে ভাস্কো ডি গামা চোখে সমুদ্রের ফেনা ঠেসে ধরতেন, ততক্ষণে গ্রামের লোকেরা দিব্য টাকা গোনার তাগিদে রাত পাটে পাটে পকেটে পুরে পগারপার

        প,প...প,প উল্লাস প,প...প,প

প নিয়ে আদিখ্যেতার পর
পৃথিবীতে সব চে' বড় রসগোল্লার দোকান হতে পারে
তারপর চুমুর নামকরণে
দুগ্ধস্নান করবে আলতাজাত
রাসায়নিক বিক্রিয়া

          দূর শালা...

কি হচ্ছে এসব কবিতা করতে এসে হাতে যক্ষা কিংবা গলায় সুড়সুড়ি, কোন হরমোনের ক্ষরণ, মনে হচ্ছে খালি পেটে লেবু জল জিভে ঢুকিয়ে
কতবার চেয়েছি মধু খেতে,
মুখের কাছে নিয়ে গেলেই মনে পড়ত
কুকুরের বমি প্রিয় উপজাতির কথা

     ~ সাপ-সাপ্তাহিক-তবাহি-হকিকত ~

হককতের গা ঘেঁষে শঙ্খ লাগল,
এখন সন্ধে সাতটা বেজে সাতচল্লিশ মিনিট,
চপ ভাজার আগুন নিভে আসছে...
আহা
ঠিক এই মুহুর্তে যদি কোন মেয়েলি স্তনের ট্যাটু থেকে
কামিনী ফুলের গন্ধ সেমিস্টারের প্রিপারেশন নেয়
হাইবারনেশন থেকে উঠে আসতে পারে
ফণা তোলা তবাহি

প্রেসার
কুকারে
সিটি
পড়ল কিছু ঝুলন্ত মাকড়সা প্রেম
সিটি
কুকারে
প্রেসার

জানালার বাইরে হতাশাগ্রস্ত হতাশা প্রেম নিবেদন করতে চায়
জন্নত লাথি মারে,
জাহান্নাম ভেবে সে ডালে মিশিয়ে দেয়
বিড়ালের থাবা—
আর প্রেম হোয়াটসঅ্যাপে শূন্য ডিমে তা দেয়

             ইয়ে রাত ভিগি ভিগি ইয়ে মস্তফিজায়েঁ

গান শুনছি না, এটা রিংটোন অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলে আমি ধরি না তবে ডায়েট চললে শাকাহারীদের রাস্তায় ঘি মাখাতে মাখাতে ক্লোরফিলের জোর বেশি প্রমান করার জন্য আলাদা হারমোনিয়ামে সুর তোলে সন্ধের টিফিন

তুমুল ঝগড়া
শালিক পাখির চোখে অবাক,
আর শীতের ক্রিম অন্যমনস্ক হয় আদিবাসী পাড়ায়

                     ছ্যাবলামো না
            এরপর সলিড কবিতা হোক 
                   হোক, ক্ষতি কি?

ক্ষতির হিসেবে গুমটিতে আলো জ্বালতে জ্বালতে চব্বিশ ঘন্টা কিভাবে যেন স্কিপ করে যায়, কুকুরের গোড়ালিতে ঘিয়ের গন্ধ, সে জানে না প্রাথমিকভাবে যেকোন বিশেষ সম্বোধন অতিথি হলেও ওড়না না পরা ইশারায় কিছু দ্বিধাগ্রস্ত মানে থাকে, চুষলে দেখা যায় শিরদাঁড়ায় কোন অতিরিক্ত চাঁদ নেই এমনকি খাবি খাওয়া প্রেসক্রিপশনটাও গো ওয়েন্ট গন

আলিঙ্গন ছাড়িয়ে হিটলারের পথে—
শব্দে জ্বলছে রেডিয়াম ঢেকুর

                           ছুঁ ~~~ কিৎ~~~কিৎ

দেখতে দেখতে ঘুমোবার সময় সশব্দে হেঁটে আসে যেমন লরি জ্যামে দাঁড়িয়ে থাকে কিংবা অকারণ ল্যান্ড ফোন বেজে ওঠে
কেননা পথ আটকে চাঁদা কাটা ছেলেপুলেগুলো নিজেরাই মশারি, পা-বালিশ নিদেন পক্ষে মহাদেশ বিতাড়িত কাঁটাতার, তারা জানে না কবে কবে শুকতারা দোকানে পা দোলায় আর গ্রাম গঞ্জ মফঃস্বল উল্কা চাষের আশায় পতনের সম্বোধনে কোন হোস্টেলকে ফলো করেনি তাই পতন আজ সকলেরই হাতখরচ সকলেরই জুতো আবিষ্কার

ঘন্টা √ কাল ~ ভ্রষ্ট নখ > গনগনে মতলব

রঙের প্রিয় শব্দ মহাকাল ও দীর্ঘ পূর্ণচ্ছেদ

অতয়েব ধ্যাৎত্তেরি বিষয়ক প্রতিটা বানান ভুল লেবার রুমের দরজায় আলস্য নিয়ে লিখছে যেভাবে নাটকের শেষ অধ্যায়ের পরেও গুমট আগুন বৈবাহিক স্তন লুকিয়ে এক থালা ভাত বেড়ে দেয় আর বিকেলে চায়ের কাপে মিশিয়ে দেয় অতিরিক্ত বৃন্তদ্বয় তা সিম্প্যাথেটিক ভালগারিজম বলে অদ্ভুত ইজমে কবিতা লিখতে গিয়ে পরবর্তী অধ্যায় লিখে ফেলবে অর্থাৎ রবার ঘষে তুলে দেবার পর দেখব সিঁদুর জুড়ে শুয়ে আছে গুটি বসন্ত ও ললিপপ খাওয়া পাখি

এ কথা ভাবিনি—

তাই মিলিমিটার মেপে অসুস্থতা ও হৃৎপিণ্ড বিষয়ক দূর্বলতা কারও মধ্যবর্তী না হলেও পাশ থেকে জন্ম দেয় অবৈধ কুয়াশা যা বৃষ্টির পরবর্তী জীবনে সুখ খুঁজে নিতে নিতে মুখোশের রঙ তোলে বালিকাগজ ঘষে আর সেটাই ভুমিকম্পহীন কুলকুচি কিংবা অস্থির সঙ্গম বলে প্রমাণিত অভ্যাস

---------o----------



বন্ধুরা, নকার আপার্স মানে জানেন তো? তাও আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি৷ নকার আপার্স হল মানবীয় অ্যালার্ম। যখন অ্যালার্ম ঘড়ি আবিষ্কার হয়নি তখন পাশ্চাত্য দেশগুলো তে কিছু মানুষ চাকুরীজীবিদের সকালে ঠিক সময়ে ঘরের দরজায় বা জানালায় টোকা মেরে ঘুম থেকে তুলে দেবার কাজে নিযুক্ত থাকতেন। তাঁদেরই বলা হত নকার আপার্স। আমার কবিতাটির নাম কেন নকার আপার্স? আমিও টোকা মেরে ওঠাতে চেয়েছি। কাকে? বলব না। কবিরা কি কবিতার সব বলে দেয়? আমার কাজ লেখা পর্যন্তই৷

আপনারা লেখা পড়ুন আমি বিদেয় নিই৷ ভালো থাকবেন সবাইকে নিয়ে৷ আবার কাল আসব অন্য কিছু নিয়ে৷ আজ শুভরাত্রি।

টা টা

ছবিটি ওয়েল প্যাস্টেল রঙের সাহায্যে এই অধমের মানে আমারই হাতে আঁকা



1000192865.png


~লেখক পরিচিতি~

1000162998.jpg

আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। তবে বর্তমানে বেশ কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ বর্তমানে ভারতবর্ষের পুনে তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা



কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।

🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾


Sort:  
 2 months ago 

খুবই চমৎকার একটি কবিতা পড়লাম কিন্তু পড়তে গিয়ে বারোটা বেজে গিয়েছিল। তুমি ঠিকই বলেছিলে খটমটে একটা কবিতা। এই কবিতা পড়তে গেলেও খটোর মটর লাগে। দারুন বিনোদন ছিল কবিতাটিতে। অনেক কিছুই শিখলাম। ভালো থেকো সৃষ্টিতে।

 2 months ago 

হ্যাঁ তোমাদের খটমট লাগবে বলেই বলেছিলাম জেনারেলে৷ তবে আজকাল কবিতার তো অনেক মুখ৷ তাই আমি চেষ্টা করি একটু অন্যরকম লিখতে। এক ধরণের কাব্য যা দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে তা লিখে আমি আর কি করব? এই একটা ভাবনাই আমায় দিয়ে পরীক্ষা করায়৷

তুমি পড়লে এই আমার পরম পাওয়া৷ ভালো থেকো।

 2 months ago 

আসলে সব লেখক কবিরাই তো আর এক ধারায় লেখেনা। প্রত্যেকেরই একটা নিজস্বতা আছে। যেমন আমি খুব সহজ সরল ভাষায় লিখি। যেন সব শ্রেণীর মানুষের হৃদয়ে পৌঁছাতে পারে আমার কবিতার বার্তা। 💕

 2 months ago 

তোমার লেখা আমারও খুব ভালো লাগে পড়তে।

 2 months ago 

ভালোবাসা নিও 💕

 2 months ago 

আজকে আপনি বেশ ভিন্ন আঙ্গিকে একটা কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা কবিতা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দর হয়েছে আপনার কবিতা লেখা। আশা করব এভাবে আরো সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখে শেয়ার করবেন।

 2 months ago 

আমি এরমই চেষ্টা করি একটু অন্যরকম লেখার৷ সব সময় যে গ্রহণযোগ্য হয় এমনটা নয়৷ তবে বাঙালির সাহস বরাবরই একটু বেশি৷ ভাঙাগড়ার কাজ বাঙালিরাই বোধহয় একটু বেশি করে। আমিও তাদেরই একজন তাই হয়তো ভাঙাগড়া আমার রন্ধ্রে।

আপনার মন্তব্য বেশ ভালো লাগল। আমার এই কবিতাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ নেবেন।

 2 months ago 

আজকে আপনার কবিতাটি পুরোপুরি ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরেছেন। কবিতাটি পড়তে অনেক কষ্ট হয়েছে। তবে খুবই ভাবার্থ পূর্ণ কবিতা। কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটা কবিতা আমাদেরকে উপহার দেয়ার জন্য।

 2 months ago 

কবিতাটি একটি প্যাটার্নে লিখেছিলাম৷ কিন্তু এখানে সেটা লিখতে পারলাম না। কেন বুঝতে পারিনি৷ হয়তো কোড ব্যবহার করতে হত৷ এখনও সম্পূর্ণ কোডের ব্যবহার শিখতে পারিনি৷ তাও আপনি যে কষ্ট করে পড়েছেন এবং ভাবার্থে গেছেন এটাই আমার প্রাপ্তি৷

ধন্যবাদ জানবেন৷

 2 months ago 

কবিতার পংক্তি থেকে আদ্যক্ষর সাজিয়ে যে কবিতার জন্ম হয়, তা কবিতার অন্তর্বর্তীকালীন সংলাপকেই যেন তুলে আনে। এই কবিতার যে অভিনবত্ব, তা বলবার মত৷

ধ্বংসজাত কাশফুল থেকে টিফিন কৌটো খুঁজে এনে দেখি
আর কতটা দূরত্ব পেরিয়ে এলো দমবন্ধ হাঁসেদের দল...

 2 months ago 

তোমার মন্তব্য পরবর্তী লেখা লিখতে সাহায্য করে সব সময়৷ ভাল থেকো৷

 2 months ago 

সেখানে দর্শন যেমন থাকে মেধাও তেমনিই থাকে

আমার মনে হয় যে কবিতার মধ্যে দর্শন নেই সেটা পুরোপুরি কবিতা না। যদিও এটা আমার একান্ত ব‍্যক্তিগত অভিমত। কবিতা শুধু কয়েকটা ছন্দ মেলানো লাইন না।

আপনার লেখা কবিতা টা একেবারে আলাদা ছিল। এমন ধারার কবিতা আমাদের কমিউনিটিতে কম দেখা যায়। চমৎকার লিখেছেন আপু। খুবই ভালো লাগল।

 2 months ago 

কবিতায় দর্শন থাকেই। কিন্তু আজকাল এমন অনেক কবিতা লেখা হয় যা মানুষের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা গতিপ্রকৃতির ওপর নির্ভর করে৷ তাই সব ক্ষেত্রে যে দর্শন থাকেই এমন নয়। কিন্তু পঠনে তৃপ্তি আসে। সে কবিতাও কবিতা হয়ে ওঠে৷

আমি একটু ভিন্নধর্মী লিখতে পছন্দ করি৷

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.17
JST 0.032
BTC 63626.54
ETH 2727.44
USDT 1.00
SBD 2.56