দীর্ঘ অপেক্ষার পর পরীক্ষা শেষের পর দুই বোনের সময় কাটানো।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
[সোর্স](মেটা AI)


আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
প্রতি বছরের মতো এবছরও পরীক্ষা শেষের পরেই আমার দাদার মেয়ে অর্থাৎ আমার ভাইঝি মেহুলি চলে এসেছে আমাদের বাড়ি, পুণে। দুই বোন দূরে থাকলেও ভালোবাসার যে কমতি নেই তা সব সময়ই বুঝি। আমার মেয়েও রীতিমতো অপেক্ষা করে কখন তার বোন আসবে৷
এদিকে এবার দাদাদের আসার মতো পরিস্থিতি নেই। আসলে সবারই বাড়িতে কাজ থাকে৷ নিজের নিজের জীবিকায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ এদিকে বাড়িতে দোলপূর্ণিমাতে বড়সড় পূজো হয়। তাই বৌদিও আসতে পারবে না বলছিল। এদিকে মেহুর খুব মনখারাপ কেন না সে তার পিসির কাছে যেতে চায়। আসলে মেহু আমাকে কোন অজানা কারণে খুবই ভালোবাসে৷ তো দাদাকে খুব জ্বালিয়েছিল পিসি বাড়ি যাবো যাবো করে৷ তো সেই বলার মাত্রা এতোই বেশি ছিল যে দাদা রাতারাতি ফ্লাইটের টিকিট কেটে দিয়েছিল।
বাড়িতে পৌঁছনোর পর মেহুর সে কি বিশাল আনন্দ৷ সারাদিন খেলছে মনের আনন্দে৷ আমার মেয়ে বোন পেয়ে খুবই খুশি।
এই খুশির চাপে দুজনেই চায় দুজনের সাথে থাকতে৷ রাতে তারা নিজেদের মতো শুতে চায়। মেহু আমায় বলল বাইরে বিছানা করে দিতে। সে আর তার দিদি শোবে৷ এদিকে বাইরে এতো মশা৷ এক সাথে খাওয়া এক সাথে খেলা সব মিলিয়ে আমারও ছোটবেলা মনে পড়ে যায়। যখন আমার পরীক্ষা শেষের পর অপেক্ষা করতাম মাসির মেয়েরা কখন আসবে আর একসাথে চমৎকার সময় কাটবে।
আসলে সম্পর্কগুলো টিকে থাকে বা মজবুত হয় তার পেছনে বাবা মায়ের অবদান কম নয়। বাবা মায়েরা যে তাদের নিজের নানান ব্যবহারে জেনে বা অজান্তে কত কি শিখিয়ে চলেন তা আমরা অনেক সময় দেখতেও পাই না৷ পরে বুঝিও না কিন্তু আমাদের কাজকর্মগুলো তাই বহন করে৷
আমি মনে করি যার কাছে পরিবার আছে তার মতো ধনী মানুষ পৃথিবীতে আর কেউ নেই। ভাই বোন বা বোন বোন এর মতো মধুর সম্পর্ক পৃথিবিতে আর নেই। আমরাও যেমন বড় হয়েছি আমাদের কাজিন ভায়াইবোনেদের নিজের ভাইবোন ভেবেই এখনও সেরকমই সম্পর্ক তেমনি আমাদের মেয়েরাও বড় হচ্ছে৷
বোনে বোনে এতো ভালোবাসা দেখলে মনটা সত্যিই ভরে যায়। আপনারা সকলেই আশির্বাদ করুন যাতে ওরা ভালো থাকে আর ভালোবাসায় থাকে। এবং বড় হয়ে ভালো মানুষও হয়।

পোস্টের ধরণ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ছবিওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | মেটা এ আই |
লোকেশন | পুণে,মহারাষ্ট্র |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ক্যানভা, অনুলিপি |
১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিত গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/neelamsama92551/status/1901526637461794949?t=LW3kIywF2C_nZCs0ipw1BQ&s=19
আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমিও ছোটবেলায় অপেক্ষা করতাম কবে পরীক্ষা শেষ হবে এবং আমি আমার ভাইবোনদের সাথে দেখা করতে যাব। পরীক্ষার পর বেশ কয়েকদিন ভাইবোনেদের সাথে সময় কাটাতাম ঘুরতাম একসাথে খাওয়া দাওয়া একসাথে ঘুমানো সবকিছুই একসাথে করতাম। আপনার এই পোষ্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো পুরনো স্মৃতি তাজা হয়ে গেল।
ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। এই দিন আমরাও কাটিয়েছি।
বেশ ভালো লাগলো আপনার লিখাটি পড়ে। প্রত্যেকের জীবনের গল্পই মনে হয় এটা। সবার ছোট বেলায় পরীক্ষা শেষের গল্প। আর এটা একেবারেওই ঠিক এই সম্পর্ক তৈরিতে বাবা মার ভূমিকা অনেক। এখন আপনার মেয়ে বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছে তার বোনের সাথে।দোয়া করি যেনো দু'জনই ভালো মানুষ হয়ে উঠে। অনেক অনেক শুভ কামনা তাদের জন্য।
ধন্যবাদ আপু। ঠিকই বলেছেন আমরা প্রত্যেকেই এভাবেই বড় হয়েছি।