ঐতিহ্যবাহী প্রসিদ্ধ মুক্তাগাছার মন্ডা খাওয়ার অনুভূতি।
![]() |
---|
শুভ রাত্রি
আজ ০৮ ই জুলাই,
সোমবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম ঐতিহ্যবাহী প্রসিদ্ধ মুক্তাগাছার মন্ডা খাওয়ার অনুভূতি পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
এক সপ্তাহ ধরে অফিসের কাজে আমি খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। সকাল সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত আমাকে ডাবল সিফটে ডিউটি করতে হচ্ছে। গতকাল রাতে যখন বাসায় এসে পোস্ট লিখতে বসি, তখন আমার মাথা প্রচন্ড ব্যাথা করছিল এবং শরীর অনেক ক্লান্ত ছিল। তাই আমি গতকালকে রাতে পোস্ট করতে পারিনি। আজকে সন্ধ্যায় আমি কিছুটা সময় ফ্রি ছিলাম, তখন পোস্ট লিখতে বসি পড়ি। আগামী সপ্তাহ থেকে আমার কাজের চাপ অনেকটাই কমে যাবে। যাইহোক আমি গত সপ্তাহে অফিসের কাজে মুক্তাগাছা গিয়েছিলাম। আমার অনেক দিন যাবৎ কাজ করার জন্য মুক্তাগাছা যাওয়া হয় না। সে দিন এটিএম মেশিনে অনেক সমস্যা ছিল। তাই ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে মেশিনে কাজ করতে গিয়ে ছিলাম। আমি কাজ শেষ করে সোজা চলে যাই মন্ডার দোকানে। আমি যেখানে কাজ করেছি সেখান থেকে কিছুটা দূরে ছিল সেই বিখ্যাত মন্ডার দোকান।
ছবির অবস্থান :- মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ।
বরাবরের মতোই মুন্ডার দোকানে অনেক মানুষের ভিড় ছিল। দোকানে মন্ডা ছাড়া আরও অনেক ধরনের বিশুদ্ধ ছানার তৈরি রসগোল্লা, চমচম পাওয়া যায়। মানুষ অনেক দূর থেকে আসে এই মুক্তাগাছা মন্ডা খাওয়ার জন্য। মানুষ লাইন ধরে ঐতিহ্যবাহী মন্ডা ও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি ক্রয় করছিল। বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ও জিনিসপত্রের দামের উপর নির্ভর করে ১ কেজি মন্ডা ৭০০ টাকায় বিক্রি করেন। আধা কেজি ৩৫০ টাকা। আবার অনেক মানুষ আছে দুই পিস এক পিস ক্রয় করতে পারেন। এক পিস মন্ডার দাম ৩৫ টাকা। এক কেজিতে বিশ পিস হয়। তাই যে কেউ তার চাহিদা অনুযায়ী মন্ডা ক্রয় করছিল।
ছবির অবস্থান :- মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ।
এই বিখ্যাত মন্ডা তৈরির কাজ পূর্ব পুরুষরা ধরে করে আসছে। প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে এই মন্ডা তৈরি করছেন ও বিক্রি করছেন। এই মন্ডার মধ্যে এক ধরনের বিশেষত্ব রয়েছে। তাই পর্ব পুরুষরা এই মন্ডার সুস্বাদু টেস্ট ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। মুক্তাগাছার মন্ডা বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম। সবাই খাওয়ার জন্য এবং বাড়িতে নেওয়ার জন্য ছুটে আসেন। মুক্তাগাছার মন্ডা বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার পেয়েছেন। সরকার থেকেও নানা ধরণের স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। দোকানের মাঝে বেশ কিছু স্মারকলিপি ও মন্ডার বিভিন্ন দেয়ালিকা ছিল। আমি কিছু স্মারকলিপি ও দেয়ালিকার ফটোগ্রাফি করেছিলাম। কিন্তু অনেক মানুষের মাঝে আমি ভালো করে ফটোগ্রাফি করতে পারিনি।
ছবির অবস্থান :- মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ।
আমার বাসায় মেহমান এসেছিল, তাই আমি বাসার জন্য আধা কেজি মন্ডা কিনেছিলাম। আমিও অনেকদিন ধরে মুক্তাগাছার মন্ডা খাইনি। তাই খাওয়ার জন্য আলাদা করে দুই পিস মন্ডা কিনেছিলাম। দুই পিস মন্ডা একটি লাল কাগজের ভিতরে সুন্দর করে পেঁচিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সে দোকানে মানুষের চাপের কারণে খাওয়ার মত সুব্যবস্থা পেয়ে ছিলাম না। বর্তমানে রমেন্দ্রনাথ পাল দাদা এই প্রসিদ্ধ ও বিখ্যাত মন্ডার দোকানের মালিক। তার বাবা ও তার দাদাও এক সময় এই দোকানের মালিক ছিলেন।
ছবির অবস্থান :- মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
তারপর আমি মন্ডা নিয়ে বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে অনেকদিন পর মুক্তাগাছা মন্ডা খেয়েছি। খেতে অসাধারণ টেস্ট ও অনেক মজা লেগেছে আমার কাছে। তবে আমি অনেক দিন পর খেয়েছিলাম তাই হয়তো খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল। তবে আগের মতো সেই টেস্ট আমার কাছে লাগে নি। হয়তো কিছুটা ভিন্নতা এসেছে। যাইহোক আমি আজকে ঐতিহ্যবাহী প্রসিদ্ধ মুক্তাগাছার মন্ডা খাওয়ার অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞।
বিভাগ | লাইফ স্টাইল। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
বিষয় | ঐতিহ্যবাহী প্রসিদ্ধ মুক্তাগাছার মন্ডা খাওয়ার অনুভূতি। |
লোকেশন | মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং অনার্সে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
https://x.com/nazmulhasanbd01/status/1810333308053844109?t=O4xiX95tlFKFvtyFruuueA&s=19
শরীর খারাপ থাকলে কোন কিছুই করতে ইচ্ছে করে না। আর শরীর যখন ক্লান্ত হয়ে যায় তখন কোন কাজ করতে ভালো লাগে না। যাই হোক গতকালকে পোস্ট করতে না পারলেও আজকে আপনি পোস্ট করেছেন দেখে ভালো লাগতো ভাইয়া। মুক্তাগাছার মন্ডা খাওয়ার অনুভূতি জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
আপনি ঠিক বলছেন আপু শরীর ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার কারণে কোন কাজ করতেই পারি নি। আপনার গুছানো মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম, ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ভাই আপনি অনেক সুন্দর লোভনীয় একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মুক্তগাছার মন্ডার কথা শুনে আমার সেই ২০১১ সালের কথা মনে পড়ে গেল। ২০১১ সালে এক্সারসাইজ এ গিয়ে আমি মুক্তাগাছার মন্ডা খেয়েছিলাম। তখন এই মুক্তাগাছার মন্ডার দাম ছিল ৩৫০ টাকা কেজি। যাইহোক গতকাল আপনি পোস্ট করতে পারেনি যেনে আমার খুব খারাপ লাগলো। আসলে শরীর মন খারাপ থাকলে কোন কিছুই তখন আর ভালো লাগেনা।সব শেষে এত সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
২০১১ সালে মুক্তাগাছার মন্ডার দাম ছিল ৩৫০ টাকা কেজি, তাহলে অনেক কম ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, আমার পোস্ট ভিজিট করে গঠনমূলক কমেন্ট করার জন্য।
ভাইয়া আপনার ঐতিহ্যবাহী মুক্তাগাছার মন্ডা খাওয়ার অনুভূতি পড়ে বুঝলাম এটা কুমিল্লার রসমলাইয়ের মত প্রসিদ্ধ। তবে জিনিষটা কি সেটা বুঝলাম না। দাম তো দেখতেছি ৭০০ টাকা কেজি। দাম যেমন বেশি,আশা করি স্বাদও তেমনই হবে। ধন্যবাদ।
ভাই মিষ্টির ছানার মতো দেখতে,খেতে অনেকটা দানাদার। আমি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আমাদের ময়মনসিংহ জেলায় চলে আসেন দাওয়াত রইলো। দুই জন সময় করে খাওয়া যাবো।